Connect with us

ইস্টবেঙ্গল

সুপার কাপে একই দিনে মাঠে নামছে বাংলার দুই প্রধান। কী বলছেন দুই দলের কোচ?

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল সুপার কাপে অভিযান শুরু করছে বাংলার দুই প্রধান। একদিকে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ হায়দ্রাবাদ এফসি, অন্যদিকে মোহনবাগানের সামনে শ্রীনিধি ডেকান। তুলনামূলকভাবে ভালো জায়গায় রয়েছে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। মোহনবাগানের মূল দলের অধিকাংশ ফুটবলার জাতীয় দলে রয়েছে। তাই প্রথম একাদশ বাছাই করতে সমস্যায় পড়তে পারেন ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে লাল হলুদের হেড স্যার কার্লেস কুয়াদ্রাত কিন্তু বেশ আত্মবিশ্বাসী। তিনি বললেন “আমরা এর আগেও একটা সর্বভারতীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছি। আমরা নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে অবগত আছি। আমাদের প্রথম লক্ষ্য সেমিফাইনালে জায়গা পাকা করা।”

প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ হায়দ্রাবাদ এফসি হলেও হালকা ভাবে নিচ্ছেন না কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। আইএসএলের প্রথম লেগে ক্লেইটন সিলভার শেষ মুহূর্তের দুরন্ত গোলে জয় পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। বর্তমান পরিস্থিতির বিচারে হায়দ্রাবাদকে হালকা ভাবেন নিচ্ছেন না তিনি। বরং যথেষ্ট কঠিন ম্যাচ হবে বলেই মনে করছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। ডার্বির প্রসঙ্গে তিনি বললেন “এখনই কিছু ভাবছি না, আমরা ধাপে ধাপে এগোতে চাই। প্রথম দুটো ম্যাচ জিতে এগিয়ে থাকতে হবে আমাদের।” কুয়াদ্রাত জানালেন সুপার কাপের দলে বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। নতুন ভারতীয় ফুটবলারদের দেখা যেতে পারে লাল-হলুদ জার্সিতে। আইএসএল, ডুরান্ড কাপের পর সুপার কাপেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাইছেন লাল হলুদের হেড স্যার। হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের পুরনো রেকর্ড যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে ফুটবলারদের।

অন্যদিকে সমস্যায় জর্জরিত মোহনবাগান। নতুন বছরে শুরুতেই কোচ বদল হয়েছে। দলের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার চোটের কবলে। মূল দলের অধিকাংশ ফুটবলার জাতীয় দলের ডিউটিতে রয়েছেন। ফলে প্রথম একাদশ নির্বাচন করতে বেশ সমস্যায় পড়তে হতে পারে ক্লিফোর্ড মিরান্ডাকে। মঙ্গলবার ৭:৩০ টায় শ্রীনিধি ডেকানের মুখোমুখি হবে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে ক্লিফোর্ড বললেন “আমাদের জন্য পরিস্থিতি বেশ কঠিন। শ্রীনিধি ডেকান আই লিগে ভালো পারফর্ম করেছে। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেই জিততে হবে।” হাবাস এখনও দলের সাথে যোগ দিতে পারেননি। তাই সুপার কাপের আগে নিয়মিত হাবাসের সাথে যোগাযোগ রাখছেন ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। এর আগে এফসি গোয়া এবং ওড়িশার হয়ে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বলেই মনে করছেন তিনি।

প্রথম একাদশ কেমন হতে পারে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রাখলেন মোহনবাগান কোচ। ছ’জন বিদেশি সুযোগ নাও পেতে পারে প্রথম একাদশে। সকলের ফিটনেস দেখেই আগামীকাল চূড়ান্ত একাদশ নির্বাচন করা হবে। ক্লিফোর্ড আরও যোগ করেন “কোন ফরমেশনে দল খেলছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল দলের খেলার স্টাইল আর অ্যাপ্রোচ।” আনোয়ার প্রসঙ্গে তিনি বললেন “আনোয়ার দলের সঙ্গে আছে। তবে সুপার কাপে খেলার কোনো সম্ভাবনা নেই। আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বে মাঠে নামবে বলে আশাবাদী। তবে কবে তা নিশ্চিত নয়।” সব মিলিয়ে অনেকগুলো সমস্যার মোকাবিলা করেই মাঠে নামতে হবে মোহনবাগানকে। এখন দেখার বাংলার দুই প্রধান সুপার কাপ এর অভিযানটা কেমনভাবে শুরু করে।

ইস্টবেঙ্গল

চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত কুয়াদ্রাত

Published

on

রে স্পোর্টজ: ইন্ডিয়ান সুপার লিগ শুরু হতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তবে ১৪ সেপ্টেম্বর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরু এফসির মুখোমুখি হওয়ার আগে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মনে একটাই শঙ্কা কাজ করছে। তা হল বেশ কিছু স্বদেশি এবং বিদেশি তারকা ফুটবলারের চোট। কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল সউল ক্রেসপো, মাদিহ তালাল, দিমিত্রিয়স দিমানতাকোসরা চোটের তালিকায় রয়েছেন। তবে কলকাতায় আয়োজিত আইএসএলের মিডিয়া ডে অনুষ্ঠানে সমর্থকদের অভয় দিলেন লাল-হলুদ হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি সমর্থকদের আবেগ ভালোমতই বুঝি। আমি সকলকে বলতে চাই নিশু কুমার এবং প্রভাত লাকড়া ছাড়া প্রত্যেকে ফিট। দলের বেশ কিছু ভারতীয় ফুটবলার নানা কারণবশত অনুশীলনে ছিলেন না। পাশাপাশি জাতীয় দলে খেলার জন্য বেশ কয়েকজন ফুটবলার চলে গেছেন। এছাড়া অনেকে আবার প্রাক মরশুমে ঠিকঠাক প্রস্তুতির মধ্যে ছিল না। সেই কারণেই একটা ছোট সমস্যা তৈরি হয়েছিল, তবে বর্তমানে গোটা দল প্রস্তুত এবং আমি তাতে খুশি।”

ইস্টবেঙ্গল বেশ কয়েক বছর আইএসএল খেললেও, কোনওবারই প্লে-অফে পৌঁছতে পারেনি। সেই ব্যাপারে উত্তর দিতে গিয়ে কুয়াদ্রাত বলেন, “শেষ পাঁচ বছরে এই প্রথমবার দল একটা ভালো সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আইএসএলে এটা আমাদের পঞ্চম বছর। এই প্রথম পরপর দু’বছর কোচ একই রয়েছে। দল এবার একটু থিতু হয়েছে। গত বছরের বেশ কিছু ফুটবলার এবারেও দলে রয়েছেন। দীর্ঘ কয়েক বছর পরে একজন কোচ টানা ৩৫টি ম্যাচে দলকে পরিচালনা করার সুযোগ পাচ্ছে। দল একেবারে সঠিক পথে চলছে, আর আমরা প্রত্যেকে আসন্ন আইএসএলে কঠিন চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য তৈরি।” এখন দেখার কার্লেস কুয়াদ্রাত তাঁর দলকে প্রথমবারের জন্য আইএসএলের প্লে-অফে নিয়ে যেতে পারেন কিনা।

Continue Reading

ইস্টবেঙ্গল

ইস্ট-মোহনের আন্দোলনে সামিল ক্যাপ্টেন শুভাশিস

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: বিকেল সারে পাঁচটা, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে তখন শুধুই কালো মাথা। আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদে একসঙ্গে মিছিলে পা মেলালো বাঙাল-ঘটি। ইস্ট-মোহনের যৌথ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হলেন ক্যাপ্টেন শুভাশিস। ডার্বি বাতিলের প্রতিবাদে এবং ন্যায় বিচারের দাবিতে এত মানুষের সমাগম দেখে আপ্লুত বাগান অধিনায়ক। তিনি বললেন “আজ আমি সাধারণ হিসাবে, মানুষের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। আমি চাই দোষীদের শাস্তি হোক। আর যতদিন না আমরা জাস্টিস পাচ্ছি, ততদিন এই লড়াই চলবে। দুই প্রধানের সমর্থকদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন শুভাশিস।

Continue Reading

Uncategorized

ফলাফল বদলাতে চান কুয়াদ্রাত

Published

on

রে স্পোটজ নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই মহারণ। দীর্ঘ ৯ বছর পরে ফের একবার এএফসির কোনও প্রতিযোগিতায় নামতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। তবে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এই ম্যাচে নামার আগে একেবারেই প্রতিশোধের কথা ভাবছেন না ইস্টবেঙ্গল হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। ২০১৮ সালে তিনি যখন বেঙ্গালুরু এফসির হেড কোচ ছিলেন, তখন এই আল্টিন আসিরের বিরুদ্ধেই এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে হেরেছিল বেঙ্গালুরু।

এই ম্যাচটা কি তাহলে প্রতিশোধের? উত্তরে হাসি মুখে লাল-হলুদ হেড কোচ বললেন,”আমি একেবারেই প্রতিশোধের কথা ভাবছি না। এখানে আসার আগেই আমার ওদের কোচের সঙ্গে দেখা হল। ওরা প্রায় প্রতিটা এএফসি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। শেষবার ওদের বিরুদ্ধে আমার দল বড় ব্যবধানে হেরেছিল। তবে এবারে আমি সেই ফলাফল বদলাতে চাই।”

তাঁর দলে বেশ কয়েকজন বিদেশি ফুটবলার থাকলেও, প্রতিপক্ষের স্কোয়াডে একজন বিদেশি ফুটবলারও নেই। এতে তাঁর দলের বাড়তি কোনও সুবিধা হবে কিনা, প্রশ্নের উত্তরে কুয়াদ্রাত বলেন, “বিদেশি ফুটবলার দলে থাকলে তা সব সময় দলকে সাহায্য করে। বর্তমান সময়ে সব দলই, একটা সেরা স্কোয়াড তৈরির চেষ্টা করে। আমরাও একটা ভালো স্কোয়াড তৈরির চেষ্টা করছি।”

দুটি প্রতিযোগিতা একসাথে খেলার কারণে, এএফসি কাপ এবং ডুরান্ড ডার্বি মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে খেলতে হবে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। যদিও কার্লেস এই ব্যাপারে চিন্তিত নন। তিনি বলেন, “এএফসি কাপ এবং ডার্বি পরপর হওয়ায় আমরা একেবারেই চিন্তিত নই। আমাদের এইরকম ম্যাচ খেলার জন্যই প্রস্তুতি নিতে হয়। আমার দলের ফুটবলাররা প্রত্যেকেই তৈরি। তবে বর্তমানে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য এএফসি কাপের ম্যাচে ভালো ফলাফল করা। তারপরে আমরা ডার্বি নিয়ে ভাবব।”

ইস্টবেঙ্গলে মরশুমের শুরু থেকেই চোট আঘাত লেগেই রয়েছে। যদিও বুধবারের ম্যাচের জন্য তাঁর স্কোয়াড যে পুরোপুরি তৈরি তা জানিয়ে দিলেন কুয়াদ্রাত। “জিকসন সহ সব ফুটবলাররাই স্কোয়াডে থাকবে। নিশু কুমার ছাড়া সকলেই এই ম্যাচের জন্য প্রস্তুত। তবে আমাদের দলের সব ফুটবলাররা ৯০ মিনিট খেলার জন্য প্রস্তুত নয়। সেই ফুটবলারদের প্রয়োজন মতো আমি ব্যবহার করব।”

পাশাপাশি সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের দলকে আন্ডারডগ বলে গেলেন লাল-হলুদ হেড কোচ। “আল্টিন এই দলটা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে রেখেছে। শুধু তাই নয় ওরা পরপর এএফসি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণও করেছে। তাই আমি মনে করি এই ম্যাচে আমরা আন্ডারডগ হয়েই নামব।”

Continue Reading

Trending