ইস্টবেঙ্গল
তিন বছরের চুক্তিতে প্রভসুখন গিলকে চূড়ান্ত করল ইস্টবেঙ্গল
রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্কঃ আমরা আগেই জানিয়েছিলাম লাল হলুদে চূড়ান্ত হয়ে গেছে গিল ভাতৃদ্বয়। আসন্ন মরশুমের জন্য কেরালা ব্লাস্টার্সের গোলরক্ষক প্রভসুখন গিলকে সই করিয়ে নিল লাল হলুদ ম্যানেজমেন্ট। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে তিন বছরের জন্য গিলকে দলে নেওয়া হচ্ছে। গত কয়েকটি মরশুমে গোলকিপার সমস্যায় ভুগেছে লাল হলুদ ব্রিগেড। এবার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবে বলেই আশা করা যায়। কারন কেরালা ব্লাস্টার্সের জার্সিতে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন তিনি। ২০২১-২২ মরশুমে গোল্ডেন গ্লাভস জিতেছিলেন এই গোলরক্ষক। সেই ছন্দ ধরে রাখত পারলে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে শেষ দূর্গের বিশ্বস্ত প্রহরী হয়ে উঠতে পারেন তিনি। গিলকে ঘরে তুলতে কত টাকা ট্রান্সফার ফি খরচ করলেন কর্তারা সেই অঙ্কটা যদিও অপ্রকাশিতই থেকেছে।
লাল হলুদের হেড স্যার কার্লোস কুয়াদ্রাত বললেন “গিলের পারফর্মেন্স সত্যিই চোখে পড়ার মত। আমি প্রথম দিন থেকেই চেয়েছিলাম গিল এই দলে যুক্ত হোক। সেটা সম্ভবপর হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তাদের জন্য। আমি সমস্ত সদস্য সমর্থকদের আশ্বস্ত করতে চাই গিলের সংযুক্তিকরণ এই দলকে আরও শক্তিশালী করবে।” লাল হলুদ যোগ দিয়ে গিল বললেন “শতবর্ষ প্রাচীন এই ক্লাবে যোগ দিতে পেরে আমি অত্যন্ত খুশি। এই ঐতিহ্যবাহী জার্সি পড়ে মাঠে নামবো এটা আমার কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি। আমি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য নিজের সেরাটা উজার করে দেব।” প্রভসুখন গিলের ফুটবল কেরিয়ারে সিনিয়র দলে খেলার সময় ইন্ডিয়ান এরোজের হয়ে এই ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেই অভিষেক ঘটেছিল। সেই দলের হয়ে এখন নিজেকে আরও বেশি করে প্রমাণ করতে চাইবেন তিনি। গত কয়েকটি মরশুম একেবারেই ভালো যায়নি লাল হলুদের। আসন্ন মরশুমের জন্য শক্তিশালী দল গড়ছে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। এই দল নিয়ে এখন থেকেই স্বপ্ন দেখতে পারেন লাল হলুদের অগণিত ভক্তরা।
ইস্টবেঙ্গল
AFC CHALLENGE LEAGUE: নেজমেকে হারাতে নিজেকে উজাড় করে দেবেন নন্দ…
সৌরভ মুখার্জী ও শুভম মন্ডল, থিম্পু: ইতিমধ্যেই হারের খরা কাটিয়ে, জয়ের সরণিতে ফিরেছে ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা কিংসকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে, এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার আশা জিইয়ে রেখেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেখানে গোল পেয়েছেন তারকা উইঙ্গার নন্দকুমার সেকারও। ম্যাচের পর বুধবার সকালে রে স্পোর্টজকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নন্দকুমার। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তার সমস্ত বক্তব্য:
প্রশ্ন: প্রথম ম্যাচে ভাল ছন্দে না থাকলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে বাম প্রান্ত থেকে যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলে দলকে জিতিয়েছেন। এর পিছনের রহস্য কী?
নন্দকুমার: আমরা যথেষ্ট ভাল দল। আমাদের কোচ এবং কোচিং স্টাফেরা আমাদের সব সময় ভাল খেলার জন্য উজ্জীবিত করেন। আমরা গত তিনটে ম্যাচেই ভাল ফুটবল খেলেছি এবং আশা করছি এমনভাবেই ভাল খেলব আগামীতেও এবং পরের ম্যাচ থেকেও তিন পয়েন্ট তুলে আনতে পারব।
প্রশ্ন: নতুন কোচের তত্ত্বাবধানে কি আপনি নিজের ফর্ম ফিরে পাচ্ছেন?
নন্দকুমার: অবশ্যই ফিরে পাচ্ছি। তিনি আমায় সেই স্বাধীনতাটা দিচ্ছেন খেলার এবং আমি সেটাকে কাজে লাগাচ্ছি।
প্রশ্ন: বসুন্ধরার বিরুদ্ধে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে জয় পেলেন। এই জয়টা কি শক্তিশালী নেজমেহর বিরুদ্ধে ম্যাচে বাড়তি সুবিধে দেবে?
নন্দকুমার: অবশ্যই। এছাড়াও ৪-০ গোলে জয়ের পাশাপাশি মরশুমের প্রথম ক্লিনশিটও পেয়েছি আমরা। দলের বাকি ফুটবলাররাও তৈরি রয়েছে নেজমে ম্যাচে ভাল ফুটবল খেলার জন্য।
প্রশ্ন: সমর্থকদের জন্য কী বার্তা দিতে চান?
নন্দকুমার: অবশ্যই সমর্থকরা মাঠে আসুন। আমাদের সমর্থন করুন। পরের ম্যাচটা আমরা জিতলে চ্যালেঞ্জ লিগের পরের রাউন্ডে যোগ্যতা অর্জন করব। তাই সমর্থকেরা আসুন এবং আমাদের সমর্থন করুন।
প্রশ্ন: অনেক সমর্থকেরা ভুটান থেকে ফিরে গেছেন। শেষ ম্যাচে মাঠে সমর্থকেরা অনেক কম ছিল। তাদেরকে কি মিস করছেন?
নন্দকুমার: সমর্থকেরা শেষ ম্যাচটা মিস করেছেন। তাছাড়া শুধু খারাপ সময়তেই নয় আমরা চাই আপনারা আমাদের ভাল সময়তেও আমাদের পাশে থাকুন। আমরা নিজের ২০০% দেওয়ার চেষ্টা করব এবং পরের ম্যাচে ভাল ফল করে আপনাদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করব।
ইস্টবেঙ্গল
AFC CHALLENGE LEAGUE: মশাল জ্বলল ভুটানে, বসুন্ধরাকে নিয়ে ছেলেখেলা করে জিতল ইস্টবেঙ্গল…
সৌরভ মুখার্জী ও শুভম মন্ডল, থিম্পু: এর আগে টানা আট ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি ইস্টবেঙ্গল। ইতিমধ্যে আইএসএলের “লাস্ট বয়” তাঁরা। ফলে মানসিক দিক থেকেও অনেকটাই পিছিয়ে ছিলেন ফুটবলাররা। অবশেষে নবম ম্যাচে এসে সেই যন্ত্রণার অবসান ঘটল। বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন দল বসুন্ধরা কিংসকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে, এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে বহু কাঙ্খিত জয় তুলে নিলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। গোল করলেন দিমিত্রিয়স দিমানতাকোস, সৌভিক চক্রবর্তী, নন্দকুমার সেকর এবং আনোয়ার আলি।
ম্যাচের একেবারে শুরুতেই, ৩৩ সেকেন্ডে নন্দর ক্রস থেকে দিমানতাকোসের শটে প্রথম গোল তুলে নেয় ইস্টবেঙ্গল। ২০ মিনিট পরে সৌভিক চক্রবর্তীর বক্সের বাইরে থেকে জোড়ালো শট জালে জড়িয়ে দিয়ে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। দুই গোলে এগিয়ে এগিয়ে থেকেও আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। বামপ্রান্ত থেকে নন্দকুমার বক্সের ভেতরে ঢুকে অনবদ্য গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে দুর থেকে শট নিয়ে দলের চতুর্থ গোলটি করেন আনোয়ার আলি। ফলে প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকে সাজঘরে ফেরে অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দলে একটি পরিবর্তন আনেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। দিমানতাকোসের জায়গায় তিনি মাঠে নামান ক্লেইটন সিলভাকে। অপরদিকে বসুন্ধরা কোচও মাঠে নামান তাদের মাঝমাঠের ফুটবলার মিগুয়েলকে। তারপর যথেষ্ট গোলমুখি আক্রমণ চালায় বসুন্ধরা। তবে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ তা সামাল দিতে সক্ষম হয়। মাঝে মধ্যে ইস্টবেঙ্গলও আক্রমণে উঠতে থাকে ব্যবধান বাড়ানোর জন্য। একটি গোলের সহজ সুযোগ মাঠে নেমেই হাতছাড়া করেন ক্লেইটন। এছাড়াও অনেক সুযোগ নষ্ট করায় ব্যবধান আর বাড়েনি। এই ম্যাচে জয় পেয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। পরবর্তী ম্যাচে তাঁরা মুখোমুখি হবে শক্তিশালী নেজমেহ এসসির বিরুদ্ধে এবং সেই ম্যাচেই বোঝা যাবে কোন দলটি যাবে পরবর্তী রাউন্ডের জন্য। অপরদিকে দুই ম্যাচ হেরে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেল বসুন্ধরা কিংস।
ইস্টবেঙ্গল
AFC CHALLENGE LEAGUE: ভাল ফুটবল খেলেও তিন পয়েন্ট হাতছাড়া ইস্টবেঙ্গলের।
সৌরভ মুখার্জী ও শুভম মন্ডল, থিম্পু: শনিবার এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্রথম ম্যাচে পারো এফসির মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। প্রতিকূল আবহাওয়া এবং কৃত্রিম ঘাসের মাঠে প্রথমবার খেলতে নামছিল অস্কার ব্রুজোর ইস্টবেঙ্গল দল।গোটা ম্যাচে যথেষ্ট দাপটের সঙ্গেই ফুটবল খেলেও এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তালাল, দিমিদের। তবে এই ম্যাচ থেকে জয় আসতেই পারত। ম্যাচ শেষে দলের অজস্র গোল মিসকেই দোষারোপ করছেন হেড কোচ অস্কার ব্রুজো।
প্রিয় দল ইস্টবেঙ্গলকে সমর্থন করতে কলকাতা থেকে অনেক সমর্থকেরা পৌঁছে গিয়েছেন সুদূর ভুটানে। তারা সকলেই মনে করছেন যে হয়ত এই এশিয়ার মঞ্চ থেকেই ভাগ্যের চাকা ঘুরবে ইস্টবেঙ্গলের। ম্যাচ শুরুর আগে পারো এফসি দলে খেলা জাপানি কিংবদন্তি ফুটবলার কাইসুকে হোন্ডার জার্সিও সংগ্রহ করতে দেখা গেল এক ইস্টবেঙ্গল সমর্থককে। অপরদিকে ম্যাচের দিকে তাকালে, যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলেছেন সকল লাল-হলুদ ফুটবলাররা। প্রথমে এক গোলে এগিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। তবে অজস্র গোলের সুযোগ হাতছাড়া করার ফলেই যে এই ম্যাচ থেকে জয় এলনা, এমনটাই মনে করছেন ইস্টবেঙ্গল হেড কোচ অস্কার ব্রুজো। এছাড়াও রক্ষণের ফুটবলারদের ফিটনেস অনেকটাই কম সেটাও বলেছেন তিনি। প্রথম পেনাল্টি হজম করার ব্যাপারে তিনি বলেছেন, “ওই জায়গা থেকে বক্সের ভেতরে ওরম ট্যাকেল করা উচিত নয় এবং সেই জায়গা থেকে পেনাল্টিটা হজম করাটার কোনও প্রয়োজনই ছিলনা।” তার পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, “আমি আমার ফুটবলারদের জেররকম ফুটবল খেলাতে চাইছি তাঁরা সেটা বুঝতে পারছে এবং সেরকমভাবে খেলার চেষ্টাও করছে।” তিনি আরও বলেন, “এছাড়াও অনেক সমর্থক এসেছিলেন আমাদের সমর্থন করতে। তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে দল যখন প্রথমার্ধ শেষে ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিল তখন সমর্থকেরা তাদের মেজাজ হারিয়েছিলেন। তবে আমি বলব আমাদের দলের উপর ভরসা রাখতে।”
এছাড়াও গোটা ম্যাচে দুরন্ত ফুটবল খেললেন ইস্টবেঙ্গলের মাঝ মাঠের অন্যতম ভরসা সউল ক্রেসপো। আক্রমণ থেকে রক্ষণ, সব জায়গাতেই রাজ করছিলেন তিনি। এছাড়াও তাঁর একটি জোড়ালো শট গোললাইন সেভ হয়, নাহলে কিন্তু আবারও একবার ম্যাচে এগিয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচ শেষে গোটা দল যখন মাঠ ছাড়ছিল তখন চোখে মুখে তাদের হতাশা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। তবে ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সউল বলে গেলেন, “আগামী ম্যাচে আমরা জয়ের জন্য ঝাঁপাব, এবং বসুন্ধরার বিরুদ্ধে পুরো তিন পয়েন্টই আমাদের লক্ষ্য হবে।”
-
আইএসএল11 months ago
বড় ধাক্কা কেরালা ব্লাস্টার্সের
-
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট1 year ago
ICC CWC 2023: বিশ্বকাপে যুগ্ম দ্রুততম ১০০০ রোহিতের, ভাঙলেন ছয়ের রেকর্ড…
-
ফুটবল12 months ago
এএফসি কাপ আয়োজনের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে
-
ফুটবল11 months ago
এশিয়ান কাপের সম্ভাব্য দল ঘোষণা করল ভারত
-
ফুটবল1 year ago
কলকাতায় প্রাক মরশুম প্রস্তুতি শুরু করল ইন্টার কাশি
-
ইস্টবেঙ্গল1 year ago
দলে আমূল পরিবর্তন, তবুও সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচেই হার ইস্টবেঙ্গলের
-
ফুটবল11 months ago
ঘরের মাঠে অসহায় আত্মসমর্পণ, এএফসি কাপে স্বপ্নভঙ্গ মোহনবাগানের
-
ফুটবল1 year ago
ফিফা বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে ভারতের প্রথম দুটি হোম ম্যাচে আয়োজনের দায়িত্ব পেল ভুবনেশ্বর এবং গুয়াহাটি