ফুটবল
ন্যাশনাল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জিতল অসম
রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: এবারের সাব জুনিয়র ন্যাশনাল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজিত হয়েছিল অসমে। ফাইনালে ১১-০ গোলে হরিয়ানাকে হারালো অসম। প্রথমার্ধেই ৭-০ গোলে এগিয়ে ছিল তারা। দ্বিতীয়ার্ধে আসে আরও চারটি গোল।
ম্যাচের শুরু থেকেই অসম্ভব আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল অসম। ফলে ম্যাচের ৬ মিনিটেই তমাশ ডাইমারীর গোলে এগিয়ে যায় তারা। দলের অধিনায়ক তন্ময় বরুয়া ১২ মিনিটে আরেকটি গোল করেন। চার মিনিট বাদে আবার গোল করেন অরূপ কর্মকার। ম্যাচের ১৯ এবং ২১ মিনিটে ফের গোল তুলে আনেন তমাশ। আবার ২৫ মিনিটে গোল করেন তন্ময় এবং ৩১ মিনিটে গোল করেন অরূপ। এর ফলে প্রথমার্ধেই ৭-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে সাজঘরে ফেরে অসম।
দ্বিতীয়ার্ধেও তমাশ তার অনবদ্য খেলা চালিয়ে যান এবং ম্যাচের ৫৪, ৫৯ এবং ৭৮ মিনিটে আরও তিনটি গোল করেন। অবশেষে পরিবর্ত খেলোয়াড় হয়ে আসা নিভির প্রতিম বর্গোহাইন ৬২ মিনিটে গোল করে ব্যবধান ১১-০ করে ফেলেন। ফলে খুব সহজেই হরিয়ানাকে হারিয়ে সাব জুনিয়র ন্যাশনাল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ নিজেদের ঘরেই রাখতে পারল অসম।
আইএসএল
ISL 2024/25: কলিঙ্গতে জয় অধরা মোহনবাগানের
সৌরভ রায়, ভুবনেশ্বর: পরপর তিন ম্যাচে জয় পেয়ে দুরন্ত ছন্দে ছিল মোহনবাগান দল। তবে ওড়িশার বিরুদ্ধে লড়াইটা বরাবরই কঠিন হবে সেটা জানাই ছিল। তার উপর চোটের কারণে দলে ছিলেন না বাগান মাঝমাঠের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ফুটবলার গ্রেগ স্টুয়ার্ট। অপরদিকে দুই প্রাক্তনী সবুজ-মেরুন ফুটবলার শুরু করেছিলেন ওড়িশা দলে। প্রথমে এক গোলে পিছিয়ে গেলেও অবশেষে মনবীর সিংয়ের করা গোলে ১-১ গোলে ম্যাচ শেষ হয় ম্যাচ।
ম্যাচ শুরুর ২ মিনিটেই ডানদিক থেকে ভেসে আসা বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে, মোহনবাগানের ডিফেন্ডার আশিস রাই সেই বল সোজা ব্যাকপাস করে বসেন গোলরক্ষক বিশাল কাইথের হাতে। যার ফলে বক্সের ভিতরে ইনডিরেক্ট ফ্রিকিক দেন ম্যাচ রেফারি ক্রিস্টাল জন। তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করেনি ওড়িশা এফসি। প্রাক্তন মোহনবাগান ফুটবলার হুগো বুমোসের করা গোলে এগিয়ে যায় জাগার্নটসরা। তার কিছুক্ষণ পরে আরেকটি সুযোগ চলে আসে আরেক প্রাক্তন বাগানী রয় কৃষ্ণার কাছে। তবে সেক্ষেত্রে বাগান দূর্গ রক্ষা করেন বিশাল কাইথ। তারপর থেকে নিজেদের ছন্দে ফিরতে শুরু করে মোহনবাগান ফুটবলাররাও। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে কর্নার থেকে ভেসে আসা বল দুরন্ত হেড দিয়ে জালে জড়িয়ে দলকে সমতায় ফেরান মনবীর সিং। ফলে প্রথমার্ধের শেষে ১-১ গোলে সাজঘরে ফেরে দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই মরিয়া চেষ্টা চালায় ব্যবধান বাড়ানোর। ওড়িশা রক্ষণের ফুটবলারদের ভুলে সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন জেমি ম্যাকলারেন তবে সেই বল দুরন্ত সেভ করেন অমরিন্দর সিংহ। বারংবার বাগান রক্ষণে ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন রয় কৃষ্ণা। যদিও পরের দিকে মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে মাঠে নামান জেসন কামিন্স এবং সাহাল আব্দুল সামাদকে। কিন্তু তাও গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ হয় মেরিনার্সরা। অপরদিকে দুরন্ত কিছু সেভ করে মোহনবাগানকে খেলার মধ্যে রেখে দিয়েছিলেন বিশাল কাইথ। যার ফলে ১ পয়েন্টেই সন্তুষ্ট থাকতে হল হোসে মোলিনার ফুটবলারদের। এর পাশাপাশিই ৭ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার দ্বিতীয় স্থানেই থাকল সবুজ-মেরুন দল।
আন্তর্জাতিক ফুটবল
বিদায় ইন্টার মায়ামির। মেজর লিগ সকার প্লেঅফের সেমিফাইনালে আটলান্টা ইউনাইটেড
রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: মেজর লিগ সকারের প্রথম প্লেঅফে জয় পেয়েছিল ইন্টার মায়ামি। দ্বিতীয় প্লেঅফে আবার পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছিল লিওনেল মেসিদের। অপরদিকে সেই দুই ম্যাচেই মেসির পা থেকে কোনও গোল আসেনি। তবে শনিবার তৃতীয় প্লেঅফে আটলান্টার বিরুদ্ধে গোল পেলেও, ২-৩ ব্যবধানে ম্যাচ হারতে হয় লিওনেল মেসিদের। যার ফলে মেজর লিগ সকারের প্লেঅফ পর্বের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিল ইন্টার মায়ামি।
প্রথম প্লেঅফে জয় পেলেও, দ্বিতীয় প্লেঅফে হারতে হয়েছিল ইন্টার মায়ামিকে। যার ফলে শনিবার তৃতীয় প্লেঅফে মুখোমুখি হয়ে জেতার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন লিওনেল মেসিরা। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে দেয় সকল মায়ামি ফুটবলাররা। তবে আক্রমণ চালায় আটলান্টা ইউনাইটেডের ফুটবলাররাও। আক্রমণ প্রতিআক্রমনের খেলায় ম্যাচের ১৭ মিনিটে, মাতিয়াস রাজোস গোল করে এগিয়ে দেন ইন্টার মায়ামিকে। কিন্তু তার পরেই ঘটে ছন্দপতন। ম্যাচের ১৯ এবং ২১ মিনিটে জামাল থিয়ারে পরপর দুটি গোল করে এগিয়ে দেন আটলান্টাকে। তার পরেও গোল করতে তৎপর হয়ে ওঠে মায়ামি ফুটবলাররা। তবে প্রথমার্ধের শেষে ১-২ গোলেই পিছিয়ে থাকে তাঁরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা চালিয়ে যায়। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একসঙ্গে তিনটি ফুটবলার পরিবর্তন করেন ইন্টার মায়ামি কোচ জেরার্ড মার্তিনো। এই পরিবর্তনের ফলে খেলার গতি আরও বেরে যায় মায়ামি দলের। এর সুবাদেই ম্যাচের ৬৫ মিনিটে, মার্সেলো ভাইগান্টের বাড়ানো ক্রস থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান লিওনেল মেসি। টানা দুই ম্যাচ বাদে এই ম্যাচে গোল পেলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। তবে শেষরক্ষা হলোনা। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে বার্তোজ সিলজের গোলে ম্যাচ জিতে যায় আটলান্টা। এরই সঙ্গে মেজর লিগ সকারের প্লেঅফ পর্ব থেকে বিদায় ঘটল ইন্টার মায়ামির। অপরদিকে সেমিফাইনালে, আটলান্টার বিরুদ্ধে মুখোমুখি হবে অরল্যান্ডো সিটি।
আইএসএল
ISL 2024/25: জোড়া লাল কার্ড ইস্টবেঙ্গলের। ৯ জনে অনবদ্য লড়ে পয়েন্ট ছিনিয়ে নিলেন আনোয়ার-হিজাজিরা
রে স্পোর্টজের প্রতিবেদন: দীর্ঘ বহুবছর বাদে আবারও ভারতীয় ফুটবলে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান স্পোর্টিং। এটাও ছিল এক ঐতিহ্যের ডার্বি। তবে এবারেই প্রথমবারের জন্য বাংলার দুই প্রধান মুখোমুখি হল আইএসএলের মঞ্চে। ম্যাচের ৩০ মিনিটে জোড়া লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় নাওরেম মহেশ সিংহ এবং নন্দকুমার সেকারকে। যার ফলে গোটা ম্যাচে ১১ জনের বিরুদ্ধে ৯ জন নিয়ে অদম্য লড়াই লড়ল ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের এই পরিস্থিতিতেও জয় তুলে নিতে পারল না মহামেডান। বরং লড়াই করে এই মরশুম আইএসএলে প্রথম পয়েন্ট তুলে নিল অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা।
শুরু থেকেই ম্যাচে আধিপত্য বেশিই থাকে সাদা-কালো ফুটবলারদের। তবে ইস্টবেঙ্গলও মাঝে মধ্যে উঠে আসছিল আক্রমণে। তবে আক্রমণ প্রতিআক্রমনে খেলা চললেও বিতর্ক শুরু হয় ম্যাচের ২৮ মিনিটে। মহামেডানের ফুটবলার অমরজিৎ সিং কিয়াম ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার নন্দকুমারকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তখনই নিজের মেজাজ হারিয়ে নন্দার হাত সোজা গিয়ে লাগে অমরজিতের মুখে। সঙ্গে সঙ্গে রেফারি হরিশ কুণ্ডু প্রথমে হলুদ কার্ড দেখালেও পরে সহকারী রেফারির সঙ্গে কথা বলে সোজা লাল কার্ড দেখিয়ে দেন নন্দকে। ঠিক তার পরেই আরও একটি লাল কার্ড দেখেন নাওরেম মহেশ সিংহ। মূলত নন্দার লাল কার্ড দেখা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠে পরে থাকা জলের বোতলে লাথি মারে বসেন তিনি। এর আগে একটি হলুদ কার্ড দেখেছিলেন মহেশ। এবারে রেফারি সামনে থাকায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দিয়ে মাঠের বাইরে বের করে দেন তাকে। যার ফলে ৯ জন নিয়ে গোটা ম্যাচে ফুটবল খেলে যেতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে।
৯ জনে খেলা ইস্টবেঙ্গলকে সামনে পেয়ে মুহুর্মুহু আক্রমণ সানাতে থাকে মহামেডান ফুটবলাররা। তবে তাদের সেই আক্রমণ রুখে দিতে সক্ষম হয় ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের ফুটবলাররা। অপরদিকে আজকের ম্যাচে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন লাল-হলুদ গোলরক্ষক প্রভসুখন সিং গিল। যার ফলে প্রথমার্ধে ০-০ ফলাফল রেখেই মাঠ ছাড়ে দুই দল। এছাড়াও ম্যাচ চলাকালীন দেখা যায় মহামেডান ফুটবলার কাসিমোভ ও অ্যালেক্সিস গোমেজ নিজেদের মধ্যেই ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। শেষে মহামেডান দলের বাকি ফুটবলাররা তাদেরকে শান্ত করান।
দ্বিতীয়ার্ধে অ্যালেক্সিসকে তুলে মাঞ্জোকিকে মাঠে নামান মহামেডান কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ। তার পরেও অনেকবার আক্রমণ তুলে আনছিল সাদা-কালো ফুটবলাররা। বেশ কয়েকবার ইস্টবেঙ্গল বক্সে ঢুকে শট নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তাঁরা তবে সেই সব আক্রমণ রুখে দিতে সক্ষম হয় ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ। এছাড়াও গোটা ম্যাচে অনবদ্য খেলা প্রভসুখন গিল বেশ কয়েকটি গোল বাঁচিয়ে খেলার মধ্যে রাখেন ইস্টবেঙ্গলকে। যার ফলে ০-০ ফলাফলেই ম্যাচ শেষ করে এই মরশুম আইএসএলের প্রথম পয়েন্ট অর্জন করে ফেলল অস্কার ব্রুজোর দল। অপরদিকে ৯ জনে খেলা ইস্টবেঙ্গল দলকে না হারাতে পেরে চাপের মুখে পড়লেন কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ।
-
আইএসএল11 months ago
বড় ধাক্কা কেরালা ব্লাস্টার্সের
-
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট1 year ago
ICC CWC 2023: বিশ্বকাপে যুগ্ম দ্রুততম ১০০০ রোহিতের, ভাঙলেন ছয়ের রেকর্ড…
-
ফুটবল1 year ago
এএফসি কাপ আয়োজনের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে
-
ফুটবল11 months ago
এশিয়ান কাপের সম্ভাব্য দল ঘোষণা করল ভারত
-
ফুটবল1 year ago
কলকাতায় প্রাক মরশুম প্রস্তুতি শুরু করল ইন্টার কাশি
-
ইস্টবেঙ্গল1 year ago
দলে আমূল পরিবর্তন, তবুও সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচেই হার ইস্টবেঙ্গলের
-
ফুটবল12 months ago
ঘরের মাঠে অসহায় আত্মসমর্পণ, এএফসি কাপে স্বপ্নভঙ্গ মোহনবাগানের
-
ফুটবল1 year ago
ফিফা বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে ভারতের প্রথম দুটি হোম ম্যাচে আয়োজনের দায়িত্ব পেল ভুবনেশ্বর এবং গুয়াহাটি