Connect with us

ইস্টবেঙ্গল

জয়ের হ্যাটট্রিক লাল হলুদের মেয়েদের

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: হিরো ইন্ডিয়ান ওমেন্স লিগে লাল হলুদের মশাল জ্বলছেই। টানা তিন ম্যাচে জয়। লিগের শুরুটা ভাল না হলেও এবার যেন তারা লড়াইয়ে ফিরছে। পরপর দুই ম্যাচ জিতে খানিকটা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল মহিলা ফুটবল দল। আজ আহমেদাবাদে মুম্বই নাইটস এর মুখোমুখি হয়েছিল তারা। শুরু থেকেই খেলায় আধিপত্য বিস্তার করে লাল হলুদ ব্রিগেড। ম্যাচের ৩০ মিনিটের মাথায় রিম্পা হালদারের করা গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যবধান বাড়াতে সাহায্য করেন তুলসী হেমব্রম। টাইম এর বাঁশি বাজার আগেই ৪৪ মিনিটে ম্যাচের তৃতীয় গোলটি করেন মৌসুমী মূর্মূ। ঝকঝকে ফুটবল খেলে ৩ গোল এগিয়ে থেকে বিরতিতে সাজঘরে যায় ইষ্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই খেলায় আরো আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় ইষ্টবেঙ্গলের মেয়েরা। ৫৫ মিনিটে রিম্পা হালদারের দ্বিতীয় গোল মুম্বই নাইটসের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেয়। ৪ গোলে পিছিয়ে থেকেও ম্যাচে ফেরার আশা ছাড়েনি প্রতিপক্ষ।

৬৫ মিনিটে প্রিয়াঙ্কার গোলে ব্যবধান কমায় মুম্বই নাইটস। ৮৩ মিনিটে নম্রতা মুম্বইয়ের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করলেও ম্যাচে ফেরার মতো যথেষ্ট সময় তাদের হাতে ছিলনা। শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলে ম্যাচ জিতে হিরো ইন্ডিয়ান ওমেন্স লিগের তৃতীয় জয় পেল ইস্টবেঙ্গল।

আইএসএল

ISL 2024/25: নর্থইস্টকে সমীহ করলেও নিজের দলের উপর ভরসা রাখছেন কোচ অস্কার ব্রুজো

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: এই মরশুম আইএসএলে যথেষ্ট শক্তিশালী দল গড়েছে ইস্টবেঙ্গল। গতবছরের সর্বাধিক গোল করা এবং সর্বাধিক গোলের বল বাড়ানো দুই ফুটবলারও রয়েছেন লাল হলুদ শিবিরেই। তবুও ফলের নিরিখে একদমই তলানিতে দল। প্রথম ছয়টি ম্যাচের ছয়টিই হারতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। গত ম্যাচে ঘরের মাঠে নয় জনে অদম্য লড়াই করে এই মরশুম আইএসএলের প্রথম পয়েন্টটি তুলে আনতে সক্ষম হয়েছে অস্কার ব্রোজোর দল। দীর্ঘ বিরতির পর শুক্রবার আবারও ঘরের মাঠে ম্যাচ খেলতে নামবে তালাল, ক্রেস্পো, দিমানতাকোসরা। প্রতিপক্ষ এই মরশুমে দুরন্ত ছন্দে থাকা নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি। তার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হলেন ইস্টবেঙ্গল হেড কোচ অস্কার ব্রোজো এবং ফুটবলার পিভি বিষ্ণু।

প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলেও নিজের দলের উপরে ভরসা রাখছেন কোচ অস্কার ব্রুজো। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “নর্থইস্ট যথেষ্ট ভালো ফুটবল খেলছে এই মুহূর্তে। লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে তারা। তবে আমি আমাদের দল নিয়ে ভাবতে চাই। নর্থইস্ট এই মরশুমে যেমন অনেক গোল করেছে সেরকমই অনেক গোল হজমও করেছে। তাছাড়া তাদের আক্রমণভাগের তিনজন ফুটবলার যথেষ্ট ভালো ছন্দে রয়েছেন। তাই আমাদের তাদের বিরুদ্ধে ভালো খেলতে হবে এবং গোল করতে হবে”। দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ঘরের মাঠে খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কোচ অস্কার বলেন, “লম্বা বিরতির ফলে আমরা আরও নিজেদের গুছিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছি। মহামেডান ম্যাচে আমরা এগারোজনের বিরুদ্ধে নয়জনে লড়েছি। তার আগে ওড়িশা ম্যাচে আমরা ভালো ফুটবল খেললেও জয় পায়নি। দলের মূল সমস্যা হচ্ছে গোল করাতে। সুযোগ তৈরি করেও সেখান থেকে গোল করতে না পারায় ম্যাচের ফল আশানুরূপ হচ্ছেনা। তবে এই বিরতিতে আমরা নিজেদের তৈরি করেছি”। অপরদিকে গত ম্যাচে লাল কার্ড দেখার ফলে আগামীকালের ম্যাচে দলে থাকবেননা দুই উইঙ্গার নন্দকুমার এবং নাওরেম মহেশ। সেই বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “মহেশ এবং নন্দকুমার দুজনেই দলের মূল ফুটবলার। তবে এই ম্যাচে আমরা তাদেরকে পাবনা। কিন্তু আমার দলে বাকি ফুটবলাররাও যথেষ্ট ভালো। আমার দলে বিষ্ণুর মতো ফুটবলার রয়েছে এবং আমি মনে করি কালকের ম্যাচে ও নিজের সেরাটা দিয়ে খেলবে এবং তারপর বিষ্ণুর খেলা নিয়ে সবাই খুব খুশি হবে”। চোটের কারণে গত ম্যাচেও খেলেননি রক্ষণের ফুটবলার হেক্টর ইয়ুস্তে। চোটের কারণে দলে নেই নিশু কুমারও। সেই বিষয়ে কোচ অস্কার জানিয়েছেন, “হেক্টর নিজেকে সুস্থ করে তোলার জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করছে। আগের থেকে এখন ও অনেকটা ভালো জায়গায় এসেছে। আসা করছি আগামীকালের ম্যাচে ওকে দলে পাওয়া যাবে। অপরদিকে নিশুও সুস্থ হয়ে উঠছে। কিছুদিন পর থেকে সেও দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দেবেন”।

নর্থইস্ট দলের যথেষ্ট শক্তিশালী ফুটবলার আলাদিন আজারাই। প্রায় সব দলের বিরুদ্ধেই বিশ্বংসী হয়ে উঠেছেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে কোচ অস্কার ব্রুজো বলেছেন, “আলাদিন ভালো ফুটবলার। একটা গোটা ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর মধ্যে। তাঁকে নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। তার দিকে আমাদের যেই ফুটবলার থাকবে তাকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে তার আক্রমণগুলোকে রুখতে। তবে শুধু আলাদিন নয়, আমরা গোটা দলকে নিয়েই পরিকল্পনা করেছি”। গত ম্যাচে অনেক সংখ্যক সমর্থক মাঠে এসেছিলেন দলকে সমর্থন করতে। এবারে সমর্থকদের বিষয়ে কোচ অস্কার বললেন, “গত ম্যাচে প্রায় তিরিশ হাজার সমর্থক মাঠে উপস্থিত হয়েছিল আমাদের সমর্থন করতে। তবে দলের খেলায় খুশি হলেও, দলের রেজাল্টে কোচ হিসেবে একদমই খুশি হইনি। আমাদের পরবর্তী রাউন্ডে যেতে হলে সব ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট প্রয়োজন এবং সেই কারণে আমাদের ঘরের মাঠে সমর্থকদের সমর্থনের প্রয়োজন রয়েছে। ডিসেম্বর মাসে আমরা চারটি ম্যাচ ঘরের মাঠে খেলব। তাই চাইবো সমর্থকেরা আসুক এবং আমাদের সমর্থন করুক”।

অপরদিকে কার্ড সমস্যার জন্য এই ম্যাচে পাওয়া যাবেনা দলের দুই তারকা উইঙ্গার নাওরেম মহেশ এবং নন্দকুমার সেকারকে। ফলে সেই জায়গায় দলে প্রথম থেকে থাকতে পারেন বিষ্ণু। আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বিষ্ণু বলেন, “আমার কোচ আমার উপরে আস্থা রেখেছেন। আমি যদি সুযোগ পাই তাহলে চাইবো কালকের ম্যাচে নিজের একশো শতাংশ দিতে এবং গোল করতে”। ইতিমধ্যেই লাল হলুদ জার্সিতে দুটি মরশুম খেলে ফেলেছেন বিষ্ণু। সেই বিষয়ে তাকে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “ইস্টবেঙ্গল ভারত তথা এশিয়ার মধ্যে অনেক বড় ক্লাব। সেখানে খেলার সুযোগ পেয়েছি বলে আমি খুব খুশি। আমি প্রথম ইস্টবেঙ্গলের হয়েই পেশাদারী ফুটবল শুরু করি এবং প্রথম আমি রিসার্ভ দলে খেলতে আসি। তারপর সেখান থেকে মূল দলে আমার জায়গা হয়। এছাড়াও আমার দলের ফুটবলার থেকে শুরু করে বাকি স্টাফেরা সকলেই আমায় এই জায়গায় আসতে সাহায্য করেছে। এতে আমি খুব খুশি”। এছাড়াও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বিষ্ণু বলেন, “গত ম্যাচে আমরা ভালো ফুটবল খেলেছিলাম। সেই ম্যাচে অনেক সংখ্যক সমর্থক মাঠে এসেছিলেন। আমি আসা করব তারা আগামীকালও মাঠে আসবেন এবং আমাদের সমর্থক করবেন”।

Continue Reading

আইএসএল

ISL 2024/25: জোড়া লাল কার্ড ইস্টবেঙ্গলের। ৯ জনে অনবদ্য লড়ে পয়েন্ট ছিনিয়ে নিলেন আনোয়ার-হিজাজিরা

Published

on

রে স্পোর্টজের প্রতিবেদন: দীর্ঘ বহুবছর বাদে আবারও ভারতীয় ফুটবলে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান স্পোর্টিং। এটাও ছিল এক ঐতিহ্যের ডার্বি। তবে এবারেই প্রথমবারের জন্য বাংলার দুই প্রধান মুখোমুখি হল আইএসএলের মঞ্চে। ম্যাচের ৩০ মিনিটে জোড়া লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় নাওরেম মহেশ সিংহ এবং নন্দকুমার সেকারকে। যার ফলে গোটা ম্যাচে ১১ জনের বিরুদ্ধে ৯ জন নিয়ে অদম্য লড়াই লড়ল ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের এই পরিস্থিতিতেও জয় তুলে নিতে পারল না মহামেডান। বরং লড়াই করে এই মরশুম আইএসএলে প্রথম পয়েন্ট তুলে নিল অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা।

শুরু থেকেই ম্যাচে আধিপত্য বেশিই থাকে সাদা-কালো ফুটবলারদের। তবে ইস্টবেঙ্গলও মাঝে মধ্যে উঠে আসছিল আক্রমণে। তবে আক্রমণ প্রতিআক্রমনে খেলা চললেও বিতর্ক শুরু হয় ম্যাচের ২৮ মিনিটে। মহামেডানের ফুটবলার অমরজিৎ সিং কিয়াম ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার নন্দকুমারকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তখনই নিজের মেজাজ হারিয়ে নন্দার হাত সোজা গিয়ে লাগে অমরজিতের মুখে। সঙ্গে সঙ্গে রেফারি হরিশ কুণ্ডু প্রথমে হলুদ কার্ড দেখালেও পরে সহকারী রেফারির সঙ্গে কথা বলে সোজা লাল কার্ড দেখিয়ে দেন নন্দকে। ঠিক তার পরেই আরও একটি লাল কার্ড দেখেন নাওরেম মহেশ সিংহ। মূলত নন্দার লাল কার্ড দেখা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠে পরে থাকা জলের বোতলে লাথি মারে বসেন তিনি। এর আগে একটি হলুদ কার্ড দেখেছিলেন মহেশ। এবারে রেফারি সামনে থাকায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দিয়ে মাঠের বাইরে বের করে দেন তাকে। যার ফলে ৯ জন নিয়ে গোটা ম্যাচে ফুটবল খেলে যেতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে।

৯ জনে খেলা ইস্টবেঙ্গলকে সামনে পেয়ে মুহুর্মুহু আক্রমণ সানাতে থাকে মহামেডান ফুটবলাররা। তবে তাদের সেই আক্রমণ রুখে দিতে সক্ষম হয় ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের ফুটবলাররা। অপরদিকে আজকের ম্যাচে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন লাল-হলুদ গোলরক্ষক প্রভসুখন সিং গিল। যার ফলে প্রথমার্ধে ০-০ ফলাফল রেখেই মাঠ ছাড়ে দুই দল। এছাড়াও ম্যাচ চলাকালীন দেখা যায় মহামেডান ফুটবলার কাসিমোভ ও অ্যালেক্সিস গোমেজ নিজেদের মধ্যেই ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। শেষে মহামেডান দলের বাকি ফুটবলাররা তাদেরকে শান্ত করান।

দ্বিতীয়ার্ধে অ্যালেক্সিসকে তুলে মাঞ্জোকিকে মাঠে নামান মহামেডান কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ। তার পরেও অনেকবার আক্রমণ তুলে আনছিল সাদা-কালো ফুটবলাররা। বেশ কয়েকবার ইস্টবেঙ্গল বক্সে ঢুকে শট নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তাঁরা তবে সেই সব আক্রমণ রুখে দিতে সক্ষম হয় ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ। এছাড়াও গোটা ম্যাচে অনবদ্য খেলা প্রভসুখন গিল বেশ কয়েকটি গোল বাঁচিয়ে খেলার মধ্যে রাখেন ইস্টবেঙ্গলকে। যার ফলে ০-০ ফলাফলেই ম্যাচ শেষ করে এই মরশুম আইএসএলের প্রথম পয়েন্ট অর্জন করে ফেলল অস্কার ব্রুজোর দল। অপরদিকে ৯ জনে খেলা ইস্টবেঙ্গল দলকে না হারাতে পেরে চাপের মুখে পড়লেন কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ।

Continue Reading

ইস্টবেঙ্গল

AFC CHALLENGE LEAGUE: নেজমেহকে হরান ছাড়া আর কোনও সমীকরণ দেখছেন না অস্কার ব্রোজো

Published

on

সৌরভ মুখার্জী ও শুভম মন্ডল, থিম্পু: নেজমেহর বিরুদ্ধে এই প্রতিযোগিতার সবথেকে কঠিন ম্যাচটি খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। যদিও বসুন্ধরার বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে দাপুটে জয়ের ফলে মনোবল বেড়েছে লাল-হলুদ ফুটবলারদের। তবে নেজমেহর বিরুদ্ধে জয়ের দিকেই পাখির চোখ করেছেন অস্কার ব্রুজো। বৃহস্পতিবার ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হলেন তিনি এবং দলের অধিনায়ক সাউল ক্রেসপো।

আগামীকালের ম্যাচ নিয়ে অস্কার ব্রোজোকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “অবশ্যই একটা কঠিন ম্যাচ হতে চলেছে। তবে এখানে কোনও সমীকরণের জায়গা নেই। দুই দলের কাছেই এই ম্যাচটা একটা আলাদা মাত্রা নেবে। কারণ এই ম্যাচটা যেই দলই জিতবে সেই গ্রুপের প্রথম দল হিসেবে পরের রাউন্ডে যাবে। তাই আমরাও এই ম্যাচটা জেতার জন্যই মাঠে নামব”। তিনি আরও বলেন, “আমরা কোনও প্রেসার নিচ্ছিনা। এটা আমাদের কাজ। তাই সেরকমভাবেই আমরা নিজেদের প্রস্তুতি সারছি এবং দিনের পর দিন আরও উন্নতি করছি”।

বসুন্ধরা ম্যাচে চোট পেয়েছেন দলের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার হেক্টর ইউস্তে। তার বিষিয়ে জানতে চাওয়া হলে অস্কার বলেন, “তার খেলার সম্ভবনা ৫০-৫০। আগামীকাল তার রিপোর্ট দেখে তবেই মেডিকেল টিম সিদ্ধান্ত নেবে তাকে ম্যাচে খেলতে নামান যাবে কিনা, নয়ত প্ল্যান ‘বি’ ভাবা হবে”। এছাড়া গত ম্যাচে গোটা ম্যাচেই ভাল ফুটবল খেলেছিলেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। সেই বিষয়ে অস্কার বলেছেন, “গত ম্যাচে গোটা দল খুব ভাল ফুটবল খেলেছে বিশেষত প্রথমার্ধে। ফুটবলারদের আমরা বলেছি শুধু ৪৫ মিনিট ভাল ফুটবল খেললে হবেনা, গোটা ম্যাচ ভাল খেলতে হবে। ফুটবলাররাও সেটা বুঝতে পারছে এবং তারাও যথেষ্ট তাগিদ নিয়ে খেলার চেষ্টা করছে”।

সমর্থকদের নিয়েও কথা বললেন অস্কার ব্রুজো। তিন বলেন, “সমর্থকরাই এই দলের আসল চালিকাশক্তি। তাঁরা সব সময় যেকোনও পরিস্থিতিতে দলের পাশে থাকেন। তাছাড়া প্রচুর সমর্থক ভুটানে এসেও আমাদের সমর্থন করেছেন। এবারে আমাদেরও সময় এসেছে তাদের মুখে হাসি ফোটানোর। তাই আমরা চাইছি ভাল ফুটবল খেলে আগামীকাল ম্যাচ জিতে পরের রাউন্ডে কোয়ালিফাই করতে”।

এছাড়া সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত থাকা দলের অধিনায়ক সাউল ক্রেসপোকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আমরা নিজেদের আরও উন্নতি করার চেষ্টা করেছি এবং আমাদের কাছে এই প্রতিযোগিতায় ভাল ফল করাটাই মূল লক্ষ্য”। এছাড়াও বসুন্ধরা ম্যাচে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল হেক্টর ইউসস্তেকে। ফলে দলের রক্ষণ কি হবে সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সাউল জানান, “আমাদের দলে অনেক ফুটবলার রয়েছেন যারা সেই রক্ষণ, মাঝমাঠের জায়গাটায় খেলতে পারেন। তাই আসা করছি সেইটা নিয়ে খুব বেশি সমস্যা হবেনা”।

Continue Reading

Trending