Connect with us

ইস্টবেঙ্গল

ডিফেন্সে ফুটবলার নেওয়ার ভাবনা কুয়াদ্রাতের

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক – সন্ধ্যা তখন সাতটা বেজে ১৫ মিনিট। রাজারহাটে এআইএফএফের সেন্টার অফ এক্সিলেন্সের বাইরে জনা পাঁচেক ইস্টবেঙ্গল সমর্থক দাঁড়িয়ে। গেটের সামনে এসে দাঁড়াল লাল-হলুদ হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের গাড়ি। হাসি মুখে গাড়ি থেকে নেমে, সমর্থকদের সঙ্গে সেলফি তুলে এবং করমর্দন করে ভিতরে ঢুকে গেলেন কার্লেস। ইস্টবেঙ্গল টিম বাসও কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে এল। প্রথম দিনে মোট ১৭জন ফুটবলার অনুশীলনে যোগ দিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন দুই বিদেশি ক্লেইটন সিলভা এবং সউল ক্রেসপো। এছাড়া নতুন যোগ দিলেন জোথানপুইয়া, প্রভাত লাখড়া এবং দেবজিৎ মজুমদার। দলে থাকা ভারতের জাতীয় দলের ফুটবলারদের কয়েকদিনের অতিরিক্ত ছুটি দেওয়া হয়েছে। এদিন অনুশীলন উপস্থিত ছিলেন লাল-হলুদ শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার এবং ইমামি কর্তা বিভাস আগরওয়াল।

অন্যদিকে অনুশীলনে এদিন শুরুতে গা ঘামানোর পরে, বেশ কিছুক্ষণ ফুটবলারদের সিচুয়েশন অনুশীলন করতে দেখা যায়। সাধারণত মরশুম শুরুর প্রথম দিন ফুটবলাররা শুধুমাত্র গা ঘামানোর দিকেই নজর দেন, তবে এদিন ইস্টবেঙ্গল অনুশীলনে দেখা গেল একেবারে অন্য ছবি।

অনুশীলন শুরুর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গেও বেশ কিছুক্ষণ কথা বললেন লাল-হলুদ হেড কোচ। সেখানে তিনি বলেন, “এটা ইস্টবেঙ্গলে আমার দ্বিতীয় মরশুম। আমাদের গতবারের তুলনায় এবারে অবশ্যই ভালো ফল করতে হবে। গত মরশুমে আমরা যা করতে পেরেছি, তাতে আমি খুশি। ১২ বছর পরে দল সর্বভারতীয় ট্রফি জিতেছে। এবারে তাই দলে আরও উন্নতি ঘটিয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দুইয়ে ভালো ফল করতে চাই।”

দলে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু আক্রমণভাগের ফুটবলার নেওয়া হয়েছে। তবে কার্লেস বলছেন তিনি ডিফেন্সের দিকেও বাড়তি নজর দিচ্ছেন। “বিষয়টা এমন নয় যে আমরা ডিফেন্স শক্তিশালী করতে চাই না। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আমরা ডিফেন্স আরও শক্তিশালী করতে নতুন ফুটবলার নেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে দলের নতুন ফুটবলারদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আমি খুশি।”

আইএসএল

ISL 2024/25: ম্যাচ হেরেও আশাবাদী কোচ অস্কার ব্রুজো

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: আইএসএলে টানা ছয় ম্যাচে হেরে ইতিমধ্যেই প্রশ্নের মুখে গোটা ইস্টবেঙ্গল দল। তার উপর প্রচুর গোলের সুযোগ তৈরি করেও বারবার তা নষ্ট করছে দলের ফুটবলাররা। মঙ্গলবার, ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে হারের পর, নিজের লক্ষ্য জানিয়ে গেলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো।

মঙ্গলবার ২২ মিনিটের মাথায় রয় কৃষ্ণা গোল করে প্রথমে দলকে এগিয়ে দেন। অপরদিকে প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে, পেনাল্টি থেকে গোল করে, লাল-হলুদকে সমতায় ফেরান তাদের গ্রিক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিয়স দিমানতাকস। কিন্তু ৬৯ মিনিটের মাথায়, ফ্রিকিক থেকে আহমেদ জাহুর ভাসানো বল থেকে হেড করে যান ওড়িশার দীর্ঘদেহী ডিফেন্ডার মুর্তাদা ফল। ফলে ওড়িশা এফসি তাদের ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ গোলে পরাস্ত করে। এই ম্যাচে হারের পর ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার বলেন, “আমরা আজ যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলেছি। বেশি সুযোগ তৈরি করে, ওড়িশা এফসিকে আমরা প্রচুর সমস্যায় ফেলেছি। একটা সময়ে ওরা অপেক্ষা করছিল যে কখন আমরা একটা ভুল করব আর সেখান থেকে ওরা পাল্টা আক্রমণ শুরু করবে। তবে দুর্ভাগ্যবশত, একটি পাল্টা আক্রমণেই গোল করে যান রয় কৃষ্ণা। তবে এই জায়গাটা মেরামতির কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি ইতিমধ্যেই”।

গোলের একঝাঁক সুযোগ পেয়েও, সেই সুযোগ হাতছাড়া হয় এই ম্যাচে। সেই নিয়ে অস্কার বলেন, “আমরা অনেক সুযোগ মিস করেছি। তবে খেলা পুরোপুরি আমাদের দখলেই ছিল। কিন্তু ওরা যখন ১-০ গোলে এগিয়ে যায়, তখন আমাদের কাছে কাজটা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। খেলার গতি কমিয়ে, পাল্টা আক্রমণ তুলে আনছিল ওড়িশা ফুটবলাররা। এটাই ওদের স্ট্র্যাটেজি ছিল”। সামনেই ইস্টবেঙ্গলের এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ এবং নভেম্বরে আন্তর্জাতিক বিরতিও রয়েছে। এই বিরতিকে কাজে লাগিয়ে, আইএসএল লড়াইয়ে ফিরে আসতে চান ব্রুজো। তাদের পরবর্তী ম্যাচ ৯ নভেম্বর মহমেডান স্পোর্টিঙের বিরুদ্ধে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “আমি বিরতি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছি না। আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফলাফলের প্রয়োজন। তবে নতুন কোচের নতুন ধারণাগুলোকে ফুটবলারদের মানিয়ে নেওয়ার জন্য এই বিরতির প্রয়োজন। তবে আমাদের এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, ছয়টি ম্যাচ খেলে আমাদের পয়েন্ট এখনও শূন্য। আমাদের হাতে রয়েছে এখনও ১৮টি ম্যাচ। তার মধ্যে সেরা ছয়ে শেষ করতে হলে দশটি ম্যাচে আমাদের জিততে হবে। আমরা এসব কিছুই হিসেবে রাখছি”।

অপরদিকে টানা ছয় ম্যাচে হেরে মনমরা সমর্থকেরা। তাদের উদ্দেশ্যে কোচ বলেন, “আমরা খুব শিগগিরই ফিরে আসব, আমাদের দলের উপর বিশ্বাস রাখুন। কারণ আপনারাই এই দলের সবকিছু। আসা করছি এই পরিস্থিতি বদলানোর জন্য আমরা আরও ভালো কিছু করবই। তাই আপনারা দলের সাথে থাকুন”।

Continue Reading

আইএসএল

ISL 2024/25: আইএসএলে হারের ‘ডবল হ্যাটট্রিক’ ইস্টবেঙ্গলের

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: ইতিমধ্যেই বদল হয়েছে কোচ। কার্লেসের পরিবর্তে দলের দায়িত্ব সামলাতে এসেছেন স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজো। তবে কোচ বদল হলেও, ভাগ্য বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি লাল-হলুদ ব্রিগেডের। ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে ১-২ গোলে হেরে, টানা ছয় ম্যাচ এবং মরশুমে টানা আট ম্যাচে হারের মুখে দেখল ইস্টবেঙ্গল। ওড়িশার হয়ে গোল করেন রয় কৃষ্ণা ও মোর্তাদা ফল এবং ইস্টবেঙ্গলের হয়ে  পেনাল্টি থেকে একমাত্র গোলটি করেন দিমানতাকোস।

ম্যাচ হারলেও, খেলার ধরনে পরিবর্তন দেখা যায় ইস্টবেঙ্গলের। ডিফেন্সিভ খোলোস থেকে বেরিয়ে যথেষ্ট আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে তাঁরা। প্রথম ১০ মিনিটে নিরন্তর আক্রমণ চালাতে থাকে লাল-হলুদ ফুটবলাররা। যার ফলে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই মাদিহ তালালের বাড়ান ক্রস থেকে হেডে গোল করে ফেলেছিলেন অধিনায়ক সাউল ক্রেসপো। তবে ফাউলের কারণে বাতিল হয় সেই গোলটি। এছাড়াও বেশ কয়েকবার গোলমুখি আক্রমণ তুলে এনে, ওড়িশা গোলরক্ষককে পরীক্ষার মুখে ফেলে দিয়েছিলেন দিমানতাকোস, তালালরা। তবে গোলমুখ খুলতে পারেননি তাঁরা। অপরদিকে ১১ মিনিটে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন হিজাজী মাহের। ম্যাচের ২০ মিনিটের মাথায় রয় কৃষ্ণার একটি অনবদ্য গোলমুখী শট বাঁচান আনোয়ার আলি। তবে ম্যাচের ২২ মিনিটে, সেই রয় কৃষ্ণার করা গোলেই, ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ওড়িশা এফসি। তারপরে বেশ কয়েকবার দুই দলই তাদের আক্রমণ তুলে আনতে থাকে এবং তারই মাঝে ৩৬ মিনিটে নিজের এবং দলের দ্বিতীয় গোলটি করে ফেলেছিলেন রয় কৃষ্ণা। তবে অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল করা হয়। এরপর সংযোজিত সময়ের খেলায় বক্সের ভেতর থেকে পেনাল্টি আদায় করে নেন মাদিহ তালাল। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান দিমানতাকোস। প্রথমার্ধের শেষে ১-১ ফলাফলে সাজঘরে ফেরে দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে, দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা বজায় রাখে। বেশ কয়েকবার গোলকেন্দ্রিক আক্রমণ তুলেও আনেন ফুটবলাররা, তবে গোল তুলে আনতে পারেননি কেউই। ম্যাচের ৫২ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে একটি শট নেন রয় কৃষ্ণা তবে সেই শট বার উঁচিয়ে চলে যায়। অপরদিকে ৬৭ মিনিটে একটি শট নেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার নন্দকুমার কিন্তু তেকাঠিতে রাখতে সক্ষম হননি তিনি। তার পরের মিনিটেই, অময় রানাওয়াড়েকে ফাউল করে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন প্রভাত লাকড়া। ফলে ফ্রিকিক পায় ওড়িশা এফসি। সেই ফ্রিকিক থেকেই ম্যাচের ৬৯ মিনিটে, আহমেদ জাহুর ভাসানো ক্রসে হেডে বল জালে জড়িয়ে দিয়ে যান ওড়িশা রক্ষণের ফুটবলার মোর্তাদা ফল। ফলে ১-২ গোলে আবারও ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে অস্কার ব্রুজোর দল। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে মেজাজ হারিয়ে, আহমেদ জহুকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান প্রভাত লাকড়া। ম্যাচের ৮১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়ে গেছিলেন দিয়েগো মরিসিও, তবে তার শট রুখে দেন ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক প্রভসুখান গিল। এর পরে বেশ কয়েকবার গোলকেন্দ্রিক শট নিয়েছিলেন ওড়িশা ফুটবলাররা তবে সেগুলি সব চলে জয় বার উঁচিয়ে। শেষের দিকে কয়েকবার ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা আক্রমণ তুলে আনলেও, গোল পরিশোধ করতে পারেননি তাঁরা। অবশেষে ১-২ গোলে ম্যাচ হেরে, হারের “ডাবল হ্যাটট্রিক” পূর্ণ করল অস্কার ব্রুজোর ইস্টবেঙ্গল দল।

Continue Reading

আইএসএল

ISL 2024/25: ৪০০তম কলকাতা ডার্বির রং সবুজ-মেরুন। পরপর পাঁচ ম্যাচে হেরে লজ্জার রেকর্ড ইস্টবেঙ্গলের…

Published

on

নিজস্ব প্রতিনিধি: শনিবার মরসুমের প্রথম কলকাতা ডার্বিতে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। ইতিমধ্যেই ডুরান্ড কাপে বাতিল হয়েছিল বড় ম্যাচ। কিন্তু আইএসএলের বড় ম্যাচেই বাজিমাত সবুজ-মেরুনের। এছাড়াও এটি ছিল ইস্ট-মোহনের ৪০০তম সাক্ষাৎলার। দুই অজি ফুটবলার জেমি ম্যাকলারেন এবং দিমিত্রি পেত্রাতোসের করা গোলে ইস্টবেঙ্গলকে ২-০’তে হারিয়ে কলকাতা ডার্বির রং সবুজ-মেরুন। এর পাশাপাশিই প্রথমবারের জন্য আইএসএলের প্রথম পাঁচ ম্যাচে হারের মুখ দেখল লাল-হলুদ বাহিনী।

এদিন ম্যাচ শুরুর তিন মিনিটের মাথায় প্রথম আক্রমণ তুলে এনেছিল মোহনবাগান। তার পরেই কর্নার পায় সবুজ-মেরুন। তবে সেখান থেকে কাজের কাজ হয়নি কিছুই। এরপর মুহুর্মুহু আক্রমণ তুলতে থাকে বাগান ফুটবলাররা। অনেক ছোট ছোট পাস খেলে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছিল বাগান ফুটবলাররা। তবে খেলার গতির বিপরীতে গিয়ে ইস্টবেঙ্গলও গোলের সুযোগ তৈরি করছিল। আসতে আসতে ইস্টবেঙ্গলও বল ধরে খেলার চেষ্টা চালাচ্ছিল। অপরদিকে ম্যাচের ১৫ মিনিটে বক্সের ভেতরে একটি শট নেন জেমি ম্যাকলারেন। বাঁ প্রান্ত বরাবর বারংবার আক্রমণ তুলে আনছিল লিস্টন কোলাসো। ম্যাচের ১৮ মিনিটে গোল পেয়ে গিয়েছিলেন মানবীর সিং। তবে অফসাইডের কারণে বাতিল করা হয় সেটি। অপরদিকে তালালের একক দক্ষতায় ইস্টবেঙ্গল প্রথম কর্নার পেলেও সেটির ফায়দা তুলতে পারেননি তারা। ম্যাচের ২৬ মিনিটে প্রায় গোল পেয়ে গেছিলেন মাদিহ তালাল। তবে অল্পের লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় তাঁর শট। ম্যাচের ৩০ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর দারুন শট রুখে দেন লাল-হলুদ গোলরক্ষক প্রভসুখান গিল। জলপানের বিরতির পরেই আরেকটি ফ্রিকিক পায় ইস্টবেঙ্গল তবে সেখান থেকেও কিছু আশানুরূপ ফল করতে পারেননি ফুটবলাররা। অবশেষে ম্যাচের ৪১ মিনিটে গোল করে যান মোহনবাগানের অজি তারকা জেমি ম্যাকলারেন। ডানপ্রান্ত থেকে মানবীরের ডিফেন্স চের পাসকে জালে জড়িয়ে দেন তিনি। ফলে প্রথমার্ধের শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ইস্টবেঙ্গল দলে পরিবর্তন করেন হেড কোচ ব্রুজো। ডেভিডকে তুলে পিভি বিষ্ণুকে মাঠে নামান লাল-হলুদ হেড স্যার। অপরদিকে প্রথমার্ধ যেখানে শেষ করেছিল মোহনবাগান, দ্বিতীয়ার্ধেও সেই খেলা বজায় রাখে বাগান ফুটবলাররা। বামপ্রান্ত বরাবর বারংবার ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন লিস্টন। অপরদিকে ম্যাচের ৫৬ মিনিটে ফাউল করে বসেন সবুজ-মেরুনের রক্ষণের ফুটবলার আলবার্তো রদ্রিগেজ। ফলে হলুদ কার্ড দেখতে হয় তাঁকে। ৫৯ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের পাওয়া কর্নার থেকে প্রতি আক্রমণে উঠে আসে মোহনবাগান। সেখান থেকে লিস্টনের গোলমুখি শট রুখে দেন ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক গিল। এদিনের ম্যাচে একদমই নিজের চেনা ছন্দে খেলতে পারছিলেন না লাল-হলুদ অধিনায়ক ক্লেইটন সিলভা। ফলে ম্যাচের ৬৪ মিনিটে, তাঁর পরিবর্তে মাঠে নামেন গতবার আইএসএলের গোল্ডেন বুট বিজয়ী দিমিত্রিয়স দিমানতাকোস। অন্যদিকে ৭০ মিনিটের পরে মাঠে নামেন বাগান জনতার নয়নের মণি দিমিত্রি পেত্রাতোস। মাঠের বাইরে চলে যান প্রথমে মোহনবাগানকে গোল করে এগিয়ে দেওয়া জেমি ম্যাকলারেন। অপরদিকে পরিবর্তন আনে ইস্টবেঙ্গলও। নন্দকুমার এবং রাকিপের জায়গায় মাঠে আসেন নুঙ্গা এবং জেসিন টিকে। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে গ্রেগ স্টুয়ার্টের একটি অনবদ্য শট একটুর জন্য বার ঘেষে চলে যায়। তবে ম্যাচের শেষের দশ মিনিটে জলে উঠতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। তবে তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয় নি। উল্টে ৮৭ মিনিটে বক্সের ভিতরে দিমি পেত্রাতোসকে ফাউল করে বসেন গোলরক্ষক প্রভসুখন গিল। এর ফলে পেনাল্টি পেয়ে যায় মোহনবাগান। সেই পেনাল্টি থেকে জোড়ালো শটে বল জালে জড়িয়ে ব্যবধান বাড়ান পেত্রাতোস। গোলের পরে দেখা যায় তাকে সমর্থকদের দিকে উদ্দেশ্য করে তাঁর সেই চেনা সেলিব্রেশন করতে। অবশেষে ২-০ গোলে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে, লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল হোসে মোলিনার দল।

Continue Reading

Trending