Connect with us

ক্রিকেট

বিসিসিআইয়ের পদে থাকার জন্য সুপ্রিম কোর্টে ‘সৌরভ-শাহ’কেই সমর্থন রাজ্য সংস্থাগুলির…

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেট তথা বিশ্ব ক্রিকেটে এখন জোর জল্পনা চলছে যে বিসিসিআইয়ের প্রশাসক হিসেবে কি মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও আর দেখা যাবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং জয় শাহকে? তারা কি আর নিজে নিজে পদে থাকতে পারবেন? বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে অক্সিজেন পেলেন সৌরভ এবং শাহ দুজনেই। দেশের সমস্ত রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলি একযোগে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়ে দিল যে তারা, সৌরভ-শাহ জুটিকেই বিসিসিআইয়ের প্রশাসনে দেখতে চায়।

এ কথা সকলেরই জানা যে বিসিসিআই ইতিমধ্যেই তাদের সংবিধান সংশোধন করতে চেয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। বিসিসিআই আবেদন জানিয়েছে যে বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং সচিব জয় শাহের পদে থাকার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তাদেরকে যেন রেখে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার এই ব্যাপারে করা মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয়। সেখানেই বিভিন্ন রাজ্য সংস্থা গুলির তরফ থেকে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের সমর্থন সৌরভ-শাহের দিকেই আছে। ‌

এই মামলার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট প্রাক্তন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল মনিন্দর সিংকে অ্যামিকাস কুরে নিযুক্ত করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা, বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারি এবং বিচারপতি হিমা কোহলি যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর কারণ হল এর আগে যিনি অ্যামিকাস ছিলেন, সেই আইনজীবী পিএস নরসিমাহ বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হয়ে গিয়েছেন। তাই এই বদল আনা হয়েছে।

এদিন বিসিসিআইয়ের নিযুক্ত আইনজীবী হরিশ সালভে বৃহস্পতিবার এই মামলাটি মুলতবি রাখার জন্য আবেদন করেন এবং আদালত সেই আবেদন গ্রাহ্য করে নেয়। সুপ্রিম কোর্ট পরবর্তী শুনানির তারিখ ২৮ জুলাই ঠিক করেছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

IND vs BAN: অশ্বিন-জাদেজার পার্টনারশিপে প্রথম দিনের শেষে ভাল জায়গায় ভারত…

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: আজ থেকে শুরু হয়েছে ভারত বনাম বাংলাদেশের টেস্ট। চেন্নাইতে মেঘলা আবহাওয়ায় প্রথম ব্যাট করতে নামে ভারত। দীনেশ কার্তিক ম্যাচ শুরুর প্রথমে বলেন, “ওয়েদারটা অনেকটা লন্ডনের মত। তবে এখানে জোরে বোলারদের আধিপত্য বেশি থাকবে।” প্রথম দিনের খেলা শেষে আশ্বিন এবং জাদেজার অপরাজিত ১৯৫ রানের জুটিতে ৬ উইকেটে স্কোর ৩৩৯ রান ভারতের।

যদিও সকালের দিকে ভারতের ব্যাটিং খুব একটা ভাল হয়নি। বাংলাদেশের বোলার হাসান মাহমুদ ভারতের টপ অর্ডারকে প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই সাজঘরে ফিরিয়ে দেন। পরে যদিও ঋষভ পন্থ ও যশস্বীর মধ্যে একটা অর্ধ শতরানের জুটি হয়। কিন্তু সেটাও ভেঙে দেন হাসান। অপরদিকে ওপেনার যশস্বীকে ৫৬ রানে আউট করে দেন নাহিদ রানা। কেএল রাহুল আউট হয়ে যাওয়ার পর ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৪৪।

বাংলাদেশ ভেবেছিল ভারতকে ২০০ রানের মধ্যেই অলআউট করে দেবে, কিন্তু জাদেজা এবং অশ্বিন তাঁদের আশাকে চুরমার করে দিয়েছিলেন। তাদের অপরাজিত ১৯৫ রানের জুটি, যা সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি। অপরদিকে অশ্বিন, এই ফরম্যাটে তাঁর কেরিয়ায়ের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি করেন এদিন। এই সেঞ্চুরিটি অশ্বিনের ঘরের মাঠে দ্বিতীয় এবং কেরিয়ারের দ্রুততম সেঞ্চুরি। এবং জাদেজাও তাঁর শতরানের কাছাকাছি পৌঁছে যান। ভারত ৬ উইকেটে ৩৩৯ রানে প্রথম দিন শেষ করে। এবারে দেখার দ্বিতীয় দিনে খেলতে নেমে বোর্ডে আরও কত রান যোগ করতে পারেন জাদেজা ও অশ্বিনরা!

Continue Reading

আইপিএল

নভেম্বরেই হবে আইপিএল মেগা নিলাম

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে হয়ত নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আসন্ন আইপিএলের মেগা নিলাম। যা শোনা যাচ্ছে, নভেম্বরের মাঝামাঝি এই মেগা নিলামের আসর বসতে পারে। সময় এগিয়ে এলেও এখনও বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে জানান হয়নি খেলোয়াড় রিটেনশনের নিয়ম।

এবার বিদেশের মাটিতেই বসতে চলেছে এই নিলামের আসর। ভারতে এটি অনুষ্ঠিত হবেনা তা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। গতবারের নিলামের ভেন্যু ছিল দুবাই। যদিও গতবার হয়েছিল মিনি নিলাম। কিন্তু শোনা যাচ্ছে এবারের মেগা নিলাম লন্ডনে আয়োজিত হতে পারে। পাশাপাশি এটাও শোনা যাচ্ছে, দুবাইতে নিলাম হওয়ার আয়োজনের প্রস্তাবও রাখা হয়েছে। তবে সবটাই এখন আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে।

এছাড়াও শোনা যাচ্ছে ডিসেম্বরের বদলে নভেম্বরেই হয়ে যেতে চলেছে আসন্ন আইপিএল মরশুমের নিলাম। কিন্তু এর ফলে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর খুব একটা সুবিধে হচ্ছেনা। কারণ বিসিসিআইয়ের তরফে এখনও জানানো হয়নি খেলোয়াড় রিটেনশনের নিয়মগুলি। কতগুল করে খেলোয়াড় ধরে রাখা যাবে সেই নিয়ে এখনো ভিন্নমত রয়েছে। বোর্ডের সঙ্গে আইপিএল দল গুলি বৈঠকে বসলেও এখনও চূড়ান্ত কিছু যানা যায়নি বলেই খবর। যা শোনা যাচ্ছে চলতি মাসের শেষের দিকেই নিয়ম জানিয়ে দেবে বোর্ড।

নভেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যেই সমস্ত দল গুলিকে তাদের রিটেন করা খেলোয়াড়দের তালিকা জমা করে দিতে হবে বোর্ডের কাছে। তার পরে নিলামের দিন ধার্য করবে বোর্ড।

Continue Reading

ক্রিকেট

মহেন্দ্র সিং ধোনি নিয়ে খোলামেলা বিরাট, জানতে পড়ুন

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: মাঠের বাকবিতণ্ডা থেকে ড্রেসিংরুম শেয়ার, অনেকটা পথ একসাথে হেঁটে ফেলেছেন ভারতের দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর এবং বিরাট কোহলি। একাধিকবার মাঠে দুজনের মধ্যে বচসার সাক্ষী থেকেছে ক্রিকেট দুনিয়া। সেই গৌতম গম্ভীরই এখন জাতীয় দলের কোচ। তবে অতীতকে পিছনে ফেলে কোহলি এবং গম্ভীর দুজনেই সামনের লক্ষ্যে স্থির, একথা স্পষ্টই বোঝা গেল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে। সেখানে মুখোমুখি আড্ডা জমালেন বিরাট কোহলি এবং গৌতম গম্ভীর। উঠে এলো অজানা নানা তথ্য।

২০১৪-১৫ সালের অস্ট্রেলিয়া সিরিজের কথা উঠতেই যে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন বিরাট, সে কথা জানালেন তিনি। মহেন্দ্র সিং ধোনি তখন অবসর ঘোষণা করেছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে। স্বাভাবিকভাবেই দলের দায়িত্ব গিয়ে পড়ে বিরাট কোহলির উপর। সেই প্রসঙ্গে বিরাট বলেন, “আমার কাছে সবথেকে চ্যালেঞ্জিং মুহূর্ত ছিল এটাই। তোমরা তখন নতুনদের জন্য জায়গা করে দিয়েছ, অন্যদিকে মাহি ভাই টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে অবসর নিল। আমরা তখনো ট্রানজিশন পিরিয়ড কাটিয়ে উঠতে পারিনি। আমার বয়স তখন ২৫, আর তাই আরো কয়েকজন ২৪ ২৫ বছরের ছেলেকে নিয়ে কী করে এত বড় দায়িত্ব পালন করব আমার মাথাতেই আসছিল না। তারপর মনে হল ঠান্ডা মাথায় বসে কোন পরিকল্পনা করা উচিত। হুটহাট এই ধরনের কাজ করা চলে না। তখন ঠিক করি একটু দূরের কথা ভাবব। আগামী ৭ বছরে আমি দলকে কোথায় নিয়ে যেতে চাই সেটা ভাবতে গিয়েই সমাধান পেয়ে গেলাম। আমাদের প্রয়োজন ছিল বেশ কয়েকজন ফাস্ট বোলার। তার সাথে এমন ব্যাটার যারা দীর্ঘক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারে। পাঁচজন ব্যাটার এবং একজন উইকেট রক্ষক মিলিয়ে মোট ৩৫০ থেকে ৪০০ টার্গেট সেট করেছিলাম। সাত নম্বরটা আমাদের অপশনই ছিল না। আর এই চ্যালেঞ্জটাই আমার জেদকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল নিজেকে প্রমাণ করার জন্য ” বলেন বিরাট। জবাবে গম্ভীর জানান, “আমি অনুমান করতে পারি তোমার উপর দিয়ে কতটা চাপ গেছে। মাত্র ২৫ বছর বয়সে তুমি যা করে দেখিয়েছ তা অসাধারণ। তোমাদের বোলিং ইউনিট খুব শক্তিশালী ছিল। এটা মাথায় রাখতেই হবে টেস্ট ক্রিকেট ২০ টা উইকেট নিলে তবে জেতা যায়। সেক্ষেত্রে বোলিংটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই কারণেই দেশের অন্যতম সফল টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে তোমাকে মনে রাখবে ভারত। তবে এরপরেও তোমার ক্রেডিট প্রাপ্য নিজের ব্যাটিং স্কিল এর পাশাপাশি নিজের দৃঢ় মনোভাবের জন্য। অ্যাডিলেডে আমার সেই ইনিংসটার কথা মনে আছে। ৪০০ রানের টার্গেট ছিল আমাদের সামনে আর তুমি সেই ম্যাচটাও জিততে চেয়েছিলে। এই হার না মানা মানসিকতাটা খুব জরুরী। তুমি অধিনায়ক থাকাকালীন দলের মধ্যে যে জেদ, যে অ্যাগ্রেশন, যে স্পিরিট নিয়ে এসেছিলে সেটাই আজকের দিনেও আমাদের প্রয়োজন।”

মাঠে লড়াই মাঠে ভুলে দুই ক্রিকেটারই যে এখন হাত মিলিয়েছেন তা বলাই বাহুল্য। গৌতম গম্ভীর এবং বিরাট কোহলি দুজনের এই মেলবন্ধন যে নিঃসন্দেহে ভারতীয় ক্রিকেটে যুগান্তকারী ফলাফল আনতে পারে এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Continue Reading

Trending