রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: ট্রেন্টব্রিজে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করে সেঞ্চুরি করেও ভারতকে জেতাতে ব্যর্থ হলেন সূর্যকুমার যাদব। তার শতরানের পরে অনেকেই আশা করেছিলেন যে ভারত এই ম্যাচেও ইংল্যান্ডকে হারিয়ে হোয়াইটওয়ার সম্পূর্ণ করবে, তবে এদিন তা হল না এবং শেষ পর্যন্ত ১৭ রানে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি হেরে গেল রোহিত শর্মা ব্রিগেড। এই ম্যাচে হারার ফলে ভারত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিল।

প্রসঙ্গত এদিন ফের একবার ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি, তার পাশাপাশি এদিন রান পাননি অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। শেষ দুটি ম্যাচে ভারতীয় বোলাররা দুরন্ত বল করে দলকে জিতিয়েছিলেন, তবে ভারত সিরিজ আগেই জিতে যাওয়ার কারণে এই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয় অভিজ্ঞ পেসার জসপ্রীত বুমরাহ এবং ভুবনেশ্বর কুমারকে। তাদের জায়গায় দলের সুযোগ পাওয়া আবেশ খান এবং উমরান মালিক এদিন ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের কাছে বেধড়ক মার খান। তারা যখন বল করছিলেন তখন মনেই হয়নি যে তারা বলের লাইন, লেংথ এসব কিছু জানেন। এদিন ট্রেন্টব্রিজের উইকেট অতিরিক্ত ব্যাটিং সহায়ক হওয়ায় সেখানে সামান্যতমও সুবিধা করতে পারলেন না বোলাররা। সেখানে তারা ক্রমাগত জোরে বল করে গেলেন এবং সেই গতি কাজে লাগিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৫ রান করে ইংল্যান্ড। উমরান, জাদেজা এবং আবেশ খান নিজেদের নির্ধারিত চার ওভারে যথাক্রমে ৫৬, ৪৫ ও ৪৩ রান দেন।

প্রত্যুত্তরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারতীয় দল। দ্বিতীয় ওভারে ইংল্যান্ড পেসার রিস টপলি প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দেন ঋষভ পন্থকে (১)। এরপর তিনে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করেছিলেন কোহলি। তিনি পরপর দু’বলে একটি চার এবং একটি ছয় মারেন। তাকে যখনই দেখে মনে হচ্ছিল যে আজকে তার ব্যাটে বড় রান আসতে চলেছে, ঠিক তার পরের বলেই কভার অঞ্চলে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১১ রান করে আউট হন তিনি। এর খানিকক্ষণ পরে ১১ রানে ফিরে যান রোহিতও।

তখন সকলেরই মনে হতে শুরু করেছিল যে ভারত এই ম্যাচটা খুব বড় ব্যবধানে হারবে, তবে তখনই চতুর্থ উইকেটে দারুন জুটি তৈরি করেন সূর্যকুমার যাদব এবং শ্রেয়স আইয়ার। তারা দুজনেই প্রতি ওভারে বাউন্ডারি মেরে রানের গতি একেবারেই কমতে দেননি। বরং প্রতি আক্রমণে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় ইংল্যান্ড দল। এরই মধ্যে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন সূর্যকুমার, সাথে অন্য প্রান্তে শ্রেয়সকেও যথেষ্ট পোক্ত দেখাচ্ছিল। এরা দুজনে মাত্র ৫৭ বলে চতুর্থ উইকেটের জন্য শতরান যোগ করেন। একটা সময় ৩০ বলে ৬৬ রান দরকার ছিল ভারতের, ঠিক সেই সময়ে ব্যক্তিগত ৩০ রানে আউট হয়ে যান শ্রেয়স। ইংল্যান্ডের হয়ে সব থেকে সফল বোলার ছিলেন টপলি। তিনি তিনটে উইকেট পেয়েছেন।

শ্রেয়স আউট হয়ে গেলেও দলের রানের গতি কিন্তু একেবারেই কমতে দেননি সূর্যকুমার যাদব। তিনি মাত্র ৪৮ বলে ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন। তবে তাকে শেষদিকে যোগ্য সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন দীনেশ কার্তিক এবং রবীন্দ্র জাদেজার মত ভাল ফিনিশাররা। শট খেলতে গিয়ে তারা আউট হয়ে যান।

ভারতকে জিততে গেলে শেষ তিন ওভারে তাদের দরকার ছিল ৪৯ রান। এমন সময় ১৯তম ওভারে মইন আলি বল করতে এলে দলকে জেতানোর জন্য বড় শট খেলতে গিয়ে ব্যক্তিগত ১১৭ রানে আউট হয়ে যান সূর্য। তিনি আউট হতেই ভারতের জয়ের সমস্ত আশা শেষ হয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত তারা ১৭ রানে ম্যাচটি হেরে যায়।