রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের পরে, এবার ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল। নিজের দুরন্ত ব্যাটিং পারফর্মেন্স দিয়ে ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় দল হিসেবে দু’বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করলেন বেন স্টোকস। রবিবার মেলবোর্নে তার অপরাজিত অর্ধশতরানের সৌজন্যে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল জস বাটলারের ইংল্যান্ড।

এদিন প্রথমে টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বাটলার। আর এদিন সেই সিদ্ধান্তকে একেবারে সঠিক প্রমাণ করেন দলের জোরে বোলার থেকে স্পিনাররা। স্যাম কারান, বেন স্টোকস, ক্রিস ওকসরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুরন্ত বল করেন। শুরুতেই মাত্র ১৫ প্রাণের মাথায় মহম্মদ রিজওয়ানকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন কারান। এরপর মাত্র ৮ রানে ফিরে যান মহম্মদ হ্যারিস।

এরপর কিছুক্ষণের জন্য অধিনায়ক আদিল রাশিদ এবং সান মাসুদ কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও দলের ৩২ রানের মাথায় আদিল রশিদের গুগলিতে আউট হয়ে যান পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। পরের ওভারেই শূন্য রানে আউট হয়ে যান ইফতিকার আহমেদ। ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান।

এরপর কিছুটা পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে যান সান মাসুদ এবং সাদাব খান। তাদের বেশ কয়েকটি বড় শট খেলার সৌজন্যে পাকিস্তানের রান কিছুটা বাড়ে। তবে ডেথ ওভারে পরপর উইকেট খোয়াতে থাকে বাবরের দল। ৩৮ রান করে আউট হয়ে যান সান এবং ২০ রানে আউট হয়ে যান সাদাব। নির্ধারিত কুড়ি ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রাম তুলে পাকিস্তান। দারুন বল করে ১২ রান দিয়ে তিনটি উইকেট পান কারান, এছাড়া দুটি করে উইকেট পান আদিল রশিদ এবং ক্রিস জর্ডান।

এর প্রত্যুত্তরে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংও খুব একটা ভাল শুরু হয়নি। ফাইনালে মাত্র এক রানে আউট হয়ে যান অ্যালেক্স হেলস। তাকে দুরন্ত ইয়র্কারে আউট করেন শাহিন আফ্রীদি। অপরদিকে বাটলার বেশ ভালই ব্যাট করছিলেন। পাকিস্তানের জোরে বোলার নাসিম শাহকে এক ওভারে এক সময় চারটি চার মারেন তিনি। যদিও এরপরেই পাকিস্তানকে ফের খেলায় ফেরান তাদের আরেক বোলার হারিস রউফ। তিনি পরপর ফিলিপ সল্ট এবং ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলারকে আউট করেন।

যদিও বাটলার আউট হয় একেবারেই চাপে পড়েনি ইংল্যান্ড। এরপর ব্যাট হাতে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান বেন স্টোকস এবং হ্যারি ব্রুক। ব্রুক কুড়ি রানে আউট হয়ে গেলেও, অপরদিকে ধরে থাকেন বেন স্টোকস। যদিও তাকে রান আউটের একটি সুযোগ হারান সাদাব।

যদিও ম্যাচের শেষ পর্বে এক সময় খেলায় ফেরে পাকিস্তান। তারা একসময় ইংল্যান্ডের রানের গতি কমিয়ে দিয়েছিলেন। নাসিম, হ্যারিসদের বিরুদ্ধে বড় শট খেলতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন বেন স্টোকস। এমন সময় যখন শেষ পাঁচ ওভারে ৪১ রান বাকি তখন বল করতে আসেন শাহিন। প্রসঙ্গত তিনি এই ম্যাচে কয়েক ওভার আগে ক্যাচ ধরতে গিয়ে আঘাত পেয়েছিলেন। এরপর যখন তিনি বল করতে আসছিলেন তখন দেখা যাচ্ছিল তিনি খোঁড়াচ্ছেন। এরপর ১ বল করেই চোট বেড়ে যাওয়ার কারণে উঠে যেতে বাধ্য হন শাহিন। তারপরের পাঁচ বল করতে হয় ইফতিকারকে। আর্থিক তখনই খোলস ছেড়ে বেরোন বেন। তিনি তার শেষ দুটি বলে একটি চার এবং একটি ছয় মেরে ইংল্যান্ডের উপর থেকে চাপ কমিয়ে দেন। এরপর আর পিছনে ঘুরে তাকায়নি ইংল্যান্ড এবং তার অনবদ্য ৫২ রানের সৌজন্যে দ্বিতীয়বারের জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতেন বাটলাররা।