Connect with us

আইএসএল

সমাজমাধ্যমে আবেগঘন বার্তা কুয়াদ্রাতের

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: ইতিমধ্যেই ইস্টবেঙ্গল দলের হেড কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। কয়েকদিন কলকাতায় থাকার পরে, শুক্রবার সকালের বিমানে নিজের দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তিনি। তারই মাঝে নিজের সমাজমাধ্যমে ইস্টবেঙ্গল দলের খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফ এবং সমর্থকদের নিয়ে আবেগঘন বার্তা দিলেন প্রাক্তন হেড কোচ কুয়াদ্রাত।

কার্লেস প্রথম কলকাতায় পা রাখার দিনে তাঁকে বিমানবন্দরে রাজকীয় সংবর্ধনা দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা। গতবছর বেশ সাফল্যও পেয়েছিলেন কুয়াদ্রাত। দীর্ঘ চার বছর বাদে ইস্টবেঙ্গলকে কলকাতা ডার্বি জেতানো থেকে শুরু করে, ডুরান্ড কাপের ফাইনালে পৌঁছনো এবং সুপার কাপ জয়, সবকিছুতেই দলের সাফল্যের পিছনে বড় ভূমিকা ছিল লাল-হলুদ হেড কোচের। তাঁর হাত ধরেই দীর্ঘ ১২ বছর বাদে সর্বভারতীয় স্তরে প্রথম ট্রফি এসেছিল ইস্টবেঙ্গলে। সাথে এসেছিল এশিয়ার মঞ্চে নিজেদের আবারও মেলে ধরার সুযোগ।

তবে চলতি মরশুমে খুব একটা ভাল ফল করতে পারেননি কুয়াদ্রাত। প্রায় দু’মাস আগে থেকে প্রাক মরশুম প্রস্তুতি শুরু করলেও, ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে হারতে হয়েছে আইলিগের দল শিলং লাজংয়ের কাছে। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দুইয়ের বাছাই পর্বের ম্যাচেও হারেন নন্দ কুমাররা। এছাড়াও আইএসএলের প্রথম তিন ম্যাচেই হার স্বীকার করতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। ফলে সমর্থকেরাও তাদের ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেন।

এই সবের পরেই দলের দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন কুয়াদ্রাত। গত সোমবার তিনি তার এই সিদ্ধান্ত ক্লাব কর্তাদের জানিয়ে দেন । তারপর সমাজমাধ্যমে তিনি বলেন, “ক্লাবের সমস্ত সমর্থক ও লাল-হলুদ জনতার প্রতি আমার শুভেচ্ছা রইল। ইমামি কর্তৃপক্ষ, দলের কর্মী ও সমস্ত ফুটবলারদের ধন্যবাদ জানাই। তাঁরা গত মরশুম ও এখনও পর্যন্ত প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। ক্লাবের সমস্ত সমর্থক ও লাল-হলুদ জনতার প্রতি আমার শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইল।” এছাড়াও তিনি ভারতে তার অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেছেন, “এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ভারতে আমার কোচিং করান।যার মধ্যে ২০১৯ সালে বেঙ্গালুরু এফসিকে আইএসএল খেতাব জেতানো এবং চলতি বছরের শুরুতে ইস্টবেঙ্গলকে সুপার কাপ জেতানোর সুযোগ আমি পেয়েছি। ভারতীয় ফুটবলকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। অবশেষে আমার সহকারীদের অসংখ্য ধন্যবাদ। তাদের চেষ্টা, ভালবাসা ও আন্তরিকতা ছাড়া কিছুই সম্ভব হত না। পাশাপাশি অসংখ্য ধন্যবাদ সমর্থকদের যারা, এত সুন্দর মুহূর্ত গুলি আমায় উপহার দিয়েছেন। জয় ইস্টবেঙ্গল”। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বিনো জর্জ।

আইএসএল

ISL 2024/25: প্লেঅফ খেলা নিয়ে এখনও আশাবাদী বিনো জর্জ

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: ইতিমধ্যেই আইএসএলে টানা চার ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গল দলকে। কার্লেস কুয়াদ্রাতের চলে যাওয়ার পর দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ বিনো জর্জ। তার তত্ত্বাবধানে শনিবার জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ভালো ফুটবল খেলেও ২-০ গোলে ম্যাচ হারতে হয় লালহলুদ ফুটবলারদের। তারই মাঝে খেলার শেষে ইতিবাচক বার্তা দিলেন ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান কোচ বিনো জর্জ।

দলের টানা চতুর্থ ম্যাচে হারের পরেও বিনো জর্জ বলছেন, “আমার দলের প্রতি আমার পূর্ণ ভরসা রয়েছে। এবং আমি আশাবাদী দল ঘুরে দাঁড়াবেই”। এমনিতেই অজস্র গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছে তার দল। সাউল ক্রেস্পো পেনাল্টি মিস করেন। অপরদিকে ক্লেইটন সিলভা এবং রক্ষণের খেলোয়াড় হেক্টর ইউস্তের শট বাড়ে লাগায়, সেই গোল থেকেও বঞ্চিত হয় তাঁরা। ম্যাচের শুরুতেই রেই তাচিকাওয়ার দূরপাল্লা শটে এবং দ্বিতীয়ার্ধে লালচাংনুংগার আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে তাঁর দল। তবে তিনি মনে করছেন সুযোগের সদ্ব্যবহার না করতে পারাতেই ম্যাচ থেকে হেরে ফিরতে হয় তাদেরকে।

তিনি বলেন, “জামশেদপুর ভালো ফুটবল খেলেছে। তবে তাঁরা তাদের সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে। ম্যাচে তারা যেই দুটো সুযোগ পেয়েছে সেই দুটো থেকেই গোল তুলে নিতে পেরেছে তাঁরা। তবে আমরা আজকে যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলেছি। বলের উপরে দখলও আমাদের অন্য ম্যাচের তুলনায় এই ম্যাচে বেশি ছিল। তবে হ্যাঁ, পয়েন্টটা দরকার যেটা আমরা পাইনি আজকের ম্যাচে”। অপরদিকে তিনি আরও বলেছেন, “ভাগ্যও একটা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। পেনাল্টি মিস করা, গোলের বল বাড়ে লাগা তার পাশাপাশি জামশেদপুর গোলরক্ষকও কিছু দারুন সেভ করেন। তবে আমরা যদি পেনাল্টি থেকে গোল করে দিতে পারতাম তাহলে আমরা ম্যাচে ফিরে আসতে পারতাম”।

তিনি আরও বলেন, “বাকি তিনটে ম্যাচের তুলনায় আমরা যথেষ্ট ভালো ফুটবল খেলেছি এবং আমি ১০০% আশাবাদী যে আমাদের দল এবারে প্রথম ছয়ে শেষ করবেই”। এছাড়াও কলকাতা লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতা জেসিন টিকে দলে থাকা সত্ত্বেও তাকে না খেলানো নিয়ে বিনো জর্জকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “জেসিনের এখন বয়স কম। আমাদের এটা বুঝতে হবে কলকাতা লীগ এবং আইএসএলের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। তাই ওকে আরও সময় দিতে হবে নিজেকে এই মঞ্চে খেলার উপযুক্ত করে তোলার জন্য। তাছাড়াও আমাদের দলে অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা রয়েছে যারা এই চাপের মুহূর্তে ম্যাচের রঙ পরিবর্তন করতে জানেন”।

Continue Reading

আইএসএল

ISL 2024/25: স্টুয়ার্ট জাদুতে ডার্বির রঙ সবুজ-মেরুন

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: দীর্ঘ অনেক বছর বাদে কলকাতা ডার্বিতে আবারও মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান এবং মহামেডান। ডার্বিকে ঘিরে দুই দলের সমর্থকদের উন্মাদনাও ছিল আকাশছোঁয়া। সেই ডার্বিতেই সাদা-কালো ব্রিগেডকে ৩-০ গোল উড়িয়ে দিল মোহনবাগান। গ্রেগ স্টুয়ার্টের অনবদ্য একটি গোল এবং জোড়া অ্যাসিস্টে, সমর্থকদের পুজোর আগে ডার্বি জয় উপহার দিলেন তিনি। গোল পেলেন জেমি ম্যাকলারেন এবং শুভাশিস বসুও।

দুই দলই প্রথম থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করে। কিন্তু ম্যাচের ৭ মিনিটেই গোল পেয়ে যান অস্ট্রেলিয়ান তারকা জেমি ম্যাকলারেন। দুরন্ত হেডে পদম ছেত্রীকে পরাস্ত করে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। তারপর ম্যাচের ১২ মিনিটে একটি দুরন্ত শটে মহামেডান গোলরক্ষককে পরীক্ষার মুখে ফেলে দিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। তারপরেও মোহনবাগান বহুবার আক্রমণ তুলে আনতে থাকে মহামেডান রক্ষণে। আবারও ম্যাচের ২১ মিনিটে জেমি ও লিস্টনের যুগলবন্দিতে প্রায় দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যাচ্ছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ম্যাচের ২৮ মিনিটে আশিস রাইয়ের বাড়ানো বল থেকে নিজের এবং দলের দ্বিতীয় গোলটি প্রায় তুলে ফেলেছিলেন জেমি ম্যাকলারেন। তার পরেই ফ্রি-কিক পায় মোহনবাগান। সেই ফ্রি-কিক থেকে ম্যাচের ৩১ মিনিটে গ্রেগ স্টুয়ার্টের ভাসানো বল থেকে হেড দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন দলের অধিনায়ক শুভাশিস বসু। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে আবারও গোল পায় মোহনবাগান। গ্রেগ স্টুয়ার্টের অসামান্য শটে পরাস্ত হন মহামেডান গোলরক্ষক। মাঝে মধ্যে সাদা-কালো ফুটবলাররাও আক্রমণে উঠে আসলেও গোল তুলতে পারেননি তাঁরা। আবারও প্রথমার্ধের শেষের দিকে গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন ম্যাকলারেন, কিন্তু তাঁকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয় মহামেডান রক্ষণের ফুটবলাররা। প্রথমার্ধে সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের দুরন্ত ফুটবলে ৩-০ গোল এগিয়ে থাকে হোসে মোলিনার দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফ্রাঙ্কার জায়গায় কোচ মাঠে আনেন মানজোকিকে। তবুও শুরু থেকে আক্রমণের ধার বেশিই থাকে মোহনবাগানের। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বেশ আক্রমণাত্মক মেজাজেই ফুটবল খেলতে দেখা যায় মহামেডান ফুটবলারদের। বেশ কয়েকবার সবুজ-মেরুন রক্ষণে ঢুকে পড়েন কাসিমভ, মানজোকিরা। তবে গোল তুলে আনতে ব্যর্থ হন তাঁরা। অপরদিকে ম্যাচের ৬৩ মিনিটে, লিস্টন কোলাসোর শট রুখে দেন মহামেডান রক্ষণের খেলোয়াড়রা। ৭৮ মিনিটে প্রায় গোল পেয়ে যাচ্ছিল মহামেডান। আলেক্সিসের বাড়ানো বল থেকে বিকাশের শট অল্পের জন্য বার উঁচিয়ে চলে যায়। অপরদিকে ম্যাচের ৮০ মিনিটে, বহুদিন পর চোট সরিয়ে আবারও মোহনবাগান জার্সি পরে মাঠে নামেন আশিক কুরুনিয়ান। এবং নেমেই ম্যাচের সংযোজিত সময়ে প্রায় গোলের সুযোগ তৈরি করে ফেলেছিলেন তিনি। তবে ব্যবধান আর বাড়েনি। অবশেষে ৩-০ গোলে মহামেডানকে হারিয়ে মরসুমের প্রথম কলকাতা ডার্বি জয় সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের।

Continue Reading

আইএসএল

ISL 2024/25: অজস্র গোল মিসের খেসারত দিতে হল ইস্টবেঙ্গলকে

Published

on

নিজস্ব প্রতিনিধি, জামশেদপুর: বিনো জর্জের তত্ত্বাবধানে ভাল ফুটবল খেললেও বহু প্রত্যাশিত পয়েন্ট থেকে আজও বঞ্চিত রইল ইস্টবেঙ্গল। অজস্র গোলের সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে ব্যর্থ হন ক্লেইটন-তালালরা। আর সেই মিসের খেসারতই দিতে হল তাদের। আইএসএলে টানা চার ম্যাচে হারের মুখ দেখল লাল-হলুদ ব্রিগেড। অপরদিকে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ২-০ গোলে ম্যাচ জিতল খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসি। এর ফলে লিগ টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এল রেড মাইনার্সরা।

এদিন ম্যাচের ১০ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন ইস্টবেঙ্গলের মাঝ মাঠের ফুটবলার মাদিহ তালাল। প্রভাত লাকড়ার বাড়ান বল অল্পের জন্য বার ঘেষে চলে যায় বাইরে। তার পরেও মুহুর্মুহু আক্রমণ চালায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ১৫ মিনিটে জর্ডান মারের নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক দেবজিত মজুমদার। ম্যাচের শুরু থেকেই বলের উপর আধিপত্য রেখেই ফুটবল খেলছিল গোটা ইস্টবেঙ্গল দল। কিন্তু ম্যাচের গতির বিপরীতে গিয়েই ২০ মিনিটে, বক্সের বাইরের দূরপাল্লা শটে বল জালে জড়িয়ে দেন রেই তাচিকাওয়া। ম্যাচের ৩১ মিনিটে সহজ একটা সুযোগ বার উঁচিয়ে বাইরে মেরে বসেন ক্লেইটন সিলভা। আবারও ৩৫ মিনিটে সহজ গোল মিস করেন সেই ক্লেইটন সিলভা। ৪৪ মিনিটে গোল রক্ষককে একা পেয়ে গিয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন নন্দকুমার সেকার। অজস্র গোল মিসের কারণে প্রথমার্ধ শেষে ০-১ গোলে পিছিয়ে থাকে লাল-হলুদ ব্রিগেড।

আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধের খেলা। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে প্রায় গোলমুখ খুলে ফেলেছিল জামশেদপুর। ইমরানের ভাসানো ক্রস সরাসরি গিয়ে লাগে পোস্টে। ৬৩ মিনিটে বক্সের ভেতরে পেনাল্টি আদায় করে নেন ক্লেইটন সিলভা। কিন্তু পেনাল্টি মিস করেন সউল ক্রেস্পো। ৬৫ মিনিটে ক্লেইটনের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। কোনভাবেই গোলমুখ খুলতে পারছিলেণ না লাল-হলুদ ফুটবলাররা। তারই মধ্যে ম্যাচের ৭০ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে বসেন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার লালচুংনুঙ্গা। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় জামশেদপুর এফসি। তার পরেও বেশ কয়েকটা সুযোগ হাতছাড়া করে ইস্টবেঙ্গল। মাদিহ তালালের একটি দুরন্ত শট সেভ করেন জামশেদপুর গোলরক্ষক অ্যালবিনো গোমজ। তারপরে ইস্টবেঙ্গলের পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে আসা পিভি বিষ্ণু এবং আমান সিকেও অনেক চেষ্টা করেও গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ হন। অবশেষে ০-২ গোলে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় বিনো জর্জের দলকে।

Continue Reading

Trending