Connect with us

আইএসএল

ওড়িশায় যোগ দিলেন ভিগনেশ, চেন্নাইয়েনে মোবাসির

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই আইএসএলের প্রথম লেগ শেষ হয়ে গিয়েছে। জানুয়ারির উইন্টার উইন্ডোতে বেশ কিছু দলে পরিবর্তন আসবে। হায়দ্রাবাদ এফসি থেকে ওড়িশার পথে পা বাড়ালেন ভিগনেশ দক্ষিণামূর্তি। গত মরশুমেই হায়দ্রাবাদে যোগ দিয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী এই লেফটব্যাক। তবে সেভাবে গেম টাইম পাননি তিনি। ২০১৮ সালে মুম্বই সিটি এফসির হয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটে ভিগনেশের। ২০১৮ থেকে ২০২৩ মুম্বইতে ছিলেন তিনি। তখনই মুম্বইতে সার্জিও লোবেরার তত্ত্বাবধানে খেলেছিলেন ভিগনেশ। আবারও লোবেরার দলেই যোগ দিলেন ভারতীয় এই ডিফেন্ডার। ভিগনেশ ওড়িশাতে যোগ দেওয়ায় উচ্ছ্বসিত কোচ সার্জিও লোবেরা। আশা করা যায় মরশুমের বাকিটা ওড়িশা এফসির জার্সিতেই জ্বলে উঠবেন ভিগনেশ দক্ষিণামূর্তি।

অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে চেন্নাইয়েনে যোগ দিলেন মোবাসির রহমান। টাটা ফুটবল একাডেমি থেকে উঠে আসা এই ফুটবলার ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত জামশেদপুর এফসির হয়ে খেলেছেন। সেখান থেকেই ইস্টবেঙ্গলে সই করেন। ওয়েন কোয়েলের সময়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন মোবাসির। ২০২১-২২ মরশুমে আইএসএল শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হয় জামশেদপুর এফসি। সেই দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন মোবাসির রহমান। তারপরেই জামশেদপুর থেকে ইস্টবেঙ্গলে আসেন এই মিডফিল্ডার। এখন উইন্টার ট্রান্সফার উইন্ডোতে লোনে ইস্টবেঙ্গল থেকে চেন্নাইয়েন এফসিতে যোগ দিলেন মোবাসির।

আইএসএল

ISL 2024/25: ঘরের মাঠে গোলের মালা পড়ল মহামেডান

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: আই লিগ জিতে, এবছরই আইএসএলে এসেছে বাংলার আরেক দল মহামেডান স্পোর্টিং। আসার পর শুরুটা খারাপ না করলেও, যত লিগ গড়াচ্ছে, ততই ছন্দ হারাচ্ছে সাদা-কালো ব্রিগেড। বলা যায় যে আই লিগ এবং আইএসএলের মধ্যেকার বিস্তর ফারাক বুঝতে পারছেন আন্দ্রে চেরনিশভের ছেলেরা। যার ফলে শনিবার হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ০-৪ গোলে পরাস্ত হয় মহামেডান।

এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই নিরন্তর আক্রমণ চালায় হায়দরাবাদ ফুটবলাররা। অপরদিকে রক্ষণের অন্যতম স্তম্ভ জোসেফ আর্যারে না থাকা ভাবাচ্ছিল মহামেডান দলকে। যার ফলে ম্যাচের ৪ মিনিটে, গোলরক্ষক এবং নতুন ডিফেন্ডার ওগিয়েরের ভুল বোঝাবুঝিতেই গোল হজম করল মহামেডান। গোলরক্ষক পদম ছেত্রীর দিকে ব্যাক পাস করলেন ওগিয়ের এবং সেটা ক্লিয়ার করতে না পারায় গোল করে যান হায়দরাবাদের ফরোয়ার্ড অ্যালেন পাউলিস্তা। আবার ম্যাচের ১২ মিনিটে স্টেফান সেপিচের গোলে ব্যবধান বাড়ায় নিজামসরা। ম্যাচের ১৫ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোলটি করে ফেলেন অ্যালেন পাউলিস্তা। যার ফলে প্রথমার্ধে ০-৩ গোলে পিছিয়ে থেকে আন্দ্রে চেরনিশভের দল।

দ্বিতীয়ার্ধের খেলাতেও খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি সাদা-কালো ব্রিগেডের। তবে হায়দরাবাদ যথেষ্ট দাপটের সঙ্গেই শুরু করেছিল দ্বিতীয়ার্ধ। যদিও বেশ কয়েকবার আক্রমণে উঠে আসছিলেন আলেক্সিস, ফ্র্যাংকারা কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছিলনা। অপরদিকে ৫১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বাঁক খাওয়ান শটে আরও একটি গোল করে ব্যবধান ০-৪ করে দিলেন পরাগ শ্রীনিবাস। পরের মিনিটেই মানজোকির একটি শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। তার পরেও বেশ কয়েকবার আক্রমণে উঠে এলেও গোল তুলে আনতে পারেননি সাদা-কালো ফুটবলাররা যার ফলে ঘরের মাঠে হায়দরাবাদ এফসির কাছে গোলের মালা পড়তে হয় মহামেডান স্পোর্টিংকে।

Continue Reading

আইএসএল

ISL 2024/25: ম্যাচ হেরেও আশাবাদী কোচ অস্কার ব্রুজো

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: আইএসএলে টানা ছয় ম্যাচে হেরে ইতিমধ্যেই প্রশ্নের মুখে গোটা ইস্টবেঙ্গল দল। তার উপর প্রচুর গোলের সুযোগ তৈরি করেও বারবার তা নষ্ট করছে দলের ফুটবলাররা। মঙ্গলবার, ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে হারের পর, নিজের লক্ষ্য জানিয়ে গেলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো।

মঙ্গলবার ২২ মিনিটের মাথায় রয় কৃষ্ণা গোল করে প্রথমে দলকে এগিয়ে দেন। অপরদিকে প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে, পেনাল্টি থেকে গোল করে, লাল-হলুদকে সমতায় ফেরান তাদের গ্রিক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিয়স দিমানতাকস। কিন্তু ৬৯ মিনিটের মাথায়, ফ্রিকিক থেকে আহমেদ জাহুর ভাসানো বল থেকে হেড করে যান ওড়িশার দীর্ঘদেহী ডিফেন্ডার মুর্তাদা ফল। ফলে ওড়িশা এফসি তাদের ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ গোলে পরাস্ত করে। এই ম্যাচে হারের পর ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার বলেন, “আমরা আজ যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলেছি। বেশি সুযোগ তৈরি করে, ওড়িশা এফসিকে আমরা প্রচুর সমস্যায় ফেলেছি। একটা সময়ে ওরা অপেক্ষা করছিল যে কখন আমরা একটা ভুল করব আর সেখান থেকে ওরা পাল্টা আক্রমণ শুরু করবে। তবে দুর্ভাগ্যবশত, একটি পাল্টা আক্রমণেই গোল করে যান রয় কৃষ্ণা। তবে এই জায়গাটা মেরামতির কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি ইতিমধ্যেই”।

গোলের একঝাঁক সুযোগ পেয়েও, সেই সুযোগ হাতছাড়া হয় এই ম্যাচে। সেই নিয়ে অস্কার বলেন, “আমরা অনেক সুযোগ মিস করেছি। তবে খেলা পুরোপুরি আমাদের দখলেই ছিল। কিন্তু ওরা যখন ১-০ গোলে এগিয়ে যায়, তখন আমাদের কাছে কাজটা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। খেলার গতি কমিয়ে, পাল্টা আক্রমণ তুলে আনছিল ওড়িশা ফুটবলাররা। এটাই ওদের স্ট্র্যাটেজি ছিল”। সামনেই ইস্টবেঙ্গলের এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ এবং নভেম্বরে আন্তর্জাতিক বিরতিও রয়েছে। এই বিরতিকে কাজে লাগিয়ে, আইএসএল লড়াইয়ে ফিরে আসতে চান ব্রুজো। তাদের পরবর্তী ম্যাচ ৯ নভেম্বর মহমেডান স্পোর্টিঙের বিরুদ্ধে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “আমি বিরতি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছি না। আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফলাফলের প্রয়োজন। তবে নতুন কোচের নতুন ধারণাগুলোকে ফুটবলারদের মানিয়ে নেওয়ার জন্য এই বিরতির প্রয়োজন। তবে আমাদের এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, ছয়টি ম্যাচ খেলে আমাদের পয়েন্ট এখনও শূন্য। আমাদের হাতে রয়েছে এখনও ১৮টি ম্যাচ। তার মধ্যে সেরা ছয়ে শেষ করতে হলে দশটি ম্যাচে আমাদের জিততে হবে। আমরা এসব কিছুই হিসেবে রাখছি”।

অপরদিকে টানা ছয় ম্যাচে হেরে মনমরা সমর্থকেরা। তাদের উদ্দেশ্যে কোচ বলেন, “আমরা খুব শিগগিরই ফিরে আসব, আমাদের দলের উপর বিশ্বাস রাখুন। কারণ আপনারাই এই দলের সবকিছু। আসা করছি এই পরিস্থিতি বদলানোর জন্য আমরা আরও ভালো কিছু করবই। তাই আপনারা দলের সাথে থাকুন”।

Continue Reading

আইএসএল

ISL 2024/25: আইএসএলে হারের ‘ডবল হ্যাটট্রিক’ ইস্টবেঙ্গলের

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: ইতিমধ্যেই বদল হয়েছে কোচ। কার্লেসের পরিবর্তে দলের দায়িত্ব সামলাতে এসেছেন স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজো। তবে কোচ বদল হলেও, ভাগ্য বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি লাল-হলুদ ব্রিগেডের। ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে ১-২ গোলে হেরে, টানা ছয় ম্যাচ এবং মরশুমে টানা আট ম্যাচে হারের মুখে দেখল ইস্টবেঙ্গল। ওড়িশার হয়ে গোল করেন রয় কৃষ্ণা ও মোর্তাদা ফল এবং ইস্টবেঙ্গলের হয়ে  পেনাল্টি থেকে একমাত্র গোলটি করেন দিমানতাকোস।

ম্যাচ হারলেও, খেলার ধরনে পরিবর্তন দেখা যায় ইস্টবেঙ্গলের। ডিফেন্সিভ খোলোস থেকে বেরিয়ে যথেষ্ট আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে তাঁরা। প্রথম ১০ মিনিটে নিরন্তর আক্রমণ চালাতে থাকে লাল-হলুদ ফুটবলাররা। যার ফলে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই মাদিহ তালালের বাড়ান ক্রস থেকে হেডে গোল করে ফেলেছিলেন অধিনায়ক সাউল ক্রেসপো। তবে ফাউলের কারণে বাতিল হয় সেই গোলটি। এছাড়াও বেশ কয়েকবার গোলমুখি আক্রমণ তুলে এনে, ওড়িশা গোলরক্ষককে পরীক্ষার মুখে ফেলে দিয়েছিলেন দিমানতাকোস, তালালরা। তবে গোলমুখ খুলতে পারেননি তাঁরা। অপরদিকে ১১ মিনিটে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন হিজাজী মাহের। ম্যাচের ২০ মিনিটের মাথায় রয় কৃষ্ণার একটি অনবদ্য গোলমুখী শট বাঁচান আনোয়ার আলি। তবে ম্যাচের ২২ মিনিটে, সেই রয় কৃষ্ণার করা গোলেই, ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ওড়িশা এফসি। তারপরে বেশ কয়েকবার দুই দলই তাদের আক্রমণ তুলে আনতে থাকে এবং তারই মাঝে ৩৬ মিনিটে নিজের এবং দলের দ্বিতীয় গোলটি করে ফেলেছিলেন রয় কৃষ্ণা। তবে অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল করা হয়। এরপর সংযোজিত সময়ের খেলায় বক্সের ভেতর থেকে পেনাল্টি আদায় করে নেন মাদিহ তালাল। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান দিমানতাকোস। প্রথমার্ধের শেষে ১-১ ফলাফলে সাজঘরে ফেরে দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে, দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা বজায় রাখে। বেশ কয়েকবার গোলকেন্দ্রিক আক্রমণ তুলেও আনেন ফুটবলাররা, তবে গোল তুলে আনতে পারেননি কেউই। ম্যাচের ৫২ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে একটি শট নেন রয় কৃষ্ণা তবে সেই শট বার উঁচিয়ে চলে যায়। অপরদিকে ৬৭ মিনিটে একটি শট নেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার নন্দকুমার কিন্তু তেকাঠিতে রাখতে সক্ষম হননি তিনি। তার পরের মিনিটেই, অময় রানাওয়াড়েকে ফাউল করে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন প্রভাত লাকড়া। ফলে ফ্রিকিক পায় ওড়িশা এফসি। সেই ফ্রিকিক থেকেই ম্যাচের ৬৯ মিনিটে, আহমেদ জাহুর ভাসানো ক্রসে হেডে বল জালে জড়িয়ে দিয়ে যান ওড়িশা রক্ষণের ফুটবলার মোর্তাদা ফল। ফলে ১-২ গোলে আবারও ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে অস্কার ব্রুজোর দল। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে মেজাজ হারিয়ে, আহমেদ জহুকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান প্রভাত লাকড়া। ম্যাচের ৮১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়ে গেছিলেন দিয়েগো মরিসিও, তবে তার শট রুখে দেন ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক প্রভসুখান গিল। এর পরে বেশ কয়েকবার গোলকেন্দ্রিক শট নিয়েছিলেন ওড়িশা ফুটবলাররা তবে সেগুলি সব চলে জয় বার উঁচিয়ে। শেষের দিকে কয়েকবার ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা আক্রমণ তুলে আনলেও, গোল পরিশোধ করতে পারেননি তাঁরা। অবশেষে ১-২ গোলে ম্যাচ হেরে, হারের “ডাবল হ্যাটট্রিক” পূর্ণ করল অস্কার ব্রুজোর ইস্টবেঙ্গল দল।

Continue Reading

Trending