Connect with us

আইএসএল

বিশ্বমানের গোল করেই গোয়ার বঞ্চনার জবাব দিলেন লিস্টন। গোয়ানিজ তারকার উত্থানের কাহিনী জানুন…

Published

on

নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি যে লম্বা রেসের ঘোড়া তা গতবারের আইএসএলেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। হায়দ্রাবাদ এফসির জার্সি গায়ে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন। এটিকে মোহনবাগান রিক্রুটাররা আর দেরি করেননি। বিশাল অঙ্কের ট্রান্সফার ফি দিয়ে হায়দ্রাবাদ থেকে তাঁকে তুলে নেন। সেই বিনিয়োগের প্রতিটা টাকার দাম প্রতিদিন দিচ্ছেন লিস্টন কোলাসো। ৮ ম্যাচে ৫ গোল করে এই মুহূর্তে ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা। প্রতি ম্যাচেই যেন নিজেকে ছাপিয়ে যাচ্ছেন। বুধবার এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বমানের গোল করেছেন। তবে এই ম্যাচে গোল করে যেন বাড়তি তৃপ্ত লিস্টন। কেন? উত্তর খুঁজতেই পিছিয়ে যেতে হবে বছর কয়েক আগে।

২০১৬ সাল। অনূর্ধ্ব-১৮ আই লিগ চলছে। সালগাওকারের এক তরুণ ফুটবলার রীতিমত আগুন ঝরাচ্ছেন মাঠে। কলকাতার মাঠে এসেও মাতিয়ে দিয়েছেন। সেবার যুব আই লিগে ১৬ গোল করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন লিস্টন। সালগাওকারের সিনিয়র দলের হয়ে গোয়া প্রো লিগেও সর্বোচ্চ গোলদাতা। সন্তোষ ট্রফিতে গোয়ার হয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স। বাংলা যেবার শেষবার সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়, সেবার তারা হারিয়েছিল গোয়াকে। সেই দলের অন্যতম তারকা ছিলেন লিস্টন। বেশ কয়েকটি চোখ ধাঁধানো গোলও করেছিলেন সন্তোষে।

তারপর আইএসএল পর্ব। প্রতিভাবান এই গোয়ানিজ ফুটবলার যোগ দেন এফসি গোয়ায়। প্রথমে রিজার্ভ দল। তারপর সিনিয়র দল। ২০১৭-২০ সাল পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৪৬ মিনিট মাঠে থাকতে পেরেছিলেন। সুযোগ না পেয়ে পেয়ে হতাশায় তলিয়ে যাচ্ছিলেন। হয়ত লিস্টন কোলাসো বলে কাউকে ভারতীয় ফুটবল মহল চিনতোই না, যদি না হায়দ্রাবাদ এফসি‌ তাঁকে দলে নিত। তাই গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে নিজেকে প্রমাণ করার শপথ নিয়েছিলেন। ‌ প্রতিটা মিনিট যেন বুঝিয়ে দিতে চাইছিলেন তাঁকে দিনের-পর-দিন বসিয়ে রেখে কতটা ভুল করেছে গোয়া।

গত আইএসএলে নিজেকে চিনিয়েছিলেন। আর এই বছর নিজের জায়গা তিনি প্রতিষ্ঠা করছেন ভারতীয় ফুটবল মহলে। ‌সবে শুরু। আরও অনেকটা দৌড়াতে চান‌‌ লিস্টন। আরও অনেকবার মুগ্ধ করতে চান দর্শকদের।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আইএসএল

চোটের কবলে অনিরুদ্ধ থাপা এবং বিক্রম প্রতাপ সিংহ। জাতীয় দলের ক্যাম্প থেকে বাদ পড়লেন দুজনেই..

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: রবিবার আইএসএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ওড়িশা এফসি এবং মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট। এই ম্যাচে তিন পয়েন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাগান কোচ হোসে মোলিনার কাছে। তবে কোনভাবে ম্যাচ ড্র করে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। কিন্তু এই ম্যাচে চোট পান মোহনবাগান মাঝমাঠের ফুটবলার অনিরুদ্ধ থাপা। যার ফলে আসন্ন জাতীয় দলের ক্যাম্প থেকেও বাদ পড়লেন তিনি। এছাড়াও চোট পেয়ে দল থেকে বাদ পড়েছেন মুম্বাই দলের বিক্রম প্রতাপ সিংহ।

আমরা গতকালই জানিয়েছিলাম যে চোটের কারণে হয়ত জাতীয় দলের ক্যাম্পেও যোগ দিতে পারবেন না অনিরুদ্ধ থাপা। এবারে সেই খবরেই পড়ল সিলমোহর। চোটের কারণে ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়লেন মাঝমাঠের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার অনিরুদ্ধ থাপা। রবিবার আহমেদ জাহু বারবার অনিরুদ্ধকে কড়া ট্যাকেল করেই চলেছিলেন তবে একটিবারও রেফারি তাকে কোনও কার্ড দেখাননি। ঠিক আগের বছর আইএসএলে এই মোহনবাগানের বিরুদ্ধেই কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আহমেদ জহুর করা ট্যাকেলের জন্যই দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়েছিল বাগান ফুটবলার সাহাল আব্দুল সামাদকে। এবারেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। পরিবর্তন হল শুধু স্টেডিয়াম এবং ফুটবলার।

জহুর ট্যাকেলের পর সঙ্গেসঙ্গেই মোহনবাগান চিকিৎসাকর্মীরা মাঠে প্রবেশ করেন থাপার শুশ্রূষার জন্য। তবে অনিরুদ্ধকে দেখেই তাঁরা বুঝে যান এই ম্যাচে আর খেলার মত জায়গায় নেই তিনি। তাই সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে পরিবর্তন করার নির্দেশ দেন চিকিৎসাকর্মীরা। এমনকি মাঠের বাইরে বেরোনোর সময়ও হাঁটতে খুবই অসুবিধে হচ্ছিল অনিরুদ্ধ থাপার। এবারে এই চোটের কারণে আসন্ন ভারতের জাতীয় দলের ক্যাম্প থেকেও বাদ পড়লেন তিনি। তবে শুধু অনিরুদ্ধ নয়, চোটের কারণে বাদ পড়েছেন মুম্বাই দলের আক্রমণভাগের ফুটবলার বিক্রম প্রতাপ সিংহও। তবে তাদের পরিবর্তে দলে জায়গা পেয়েছেন থোইবা সিংহ। এবারে দেখার কত দ্রুত নিজেদের সুস্থ করে আবার ফুটবল মাঠে প্রত্যাবর্তন ঘটে অনিরুদ্ধ থাপা এবং বিক্রম প্রতাপ সিংহের।

Continue Reading

আইএসএল

ISL 2024/25: কলিঙ্গতে জয় অধরা মোহনবাগানের

Published

on

সৌরভ রায়, ভুবনেশ্বর: পরপর তিন ম্যাচে জয় পেয়ে দুরন্ত ছন্দে ছিল মোহনবাগান দল। তবে ওড়িশার বিরুদ্ধে লড়াইটা বরাবরই কঠিন হবে সেটা জানাই ছিল। তার উপর চোটের কারণে দলে ছিলেন না বাগান মাঝমাঠের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ফুটবলার গ্রেগ স্টুয়ার্ট। অপরদিকে দুই প্রাক্তনী সবুজ-মেরুন ফুটবলার শুরু করেছিলেন ওড়িশা দলে। প্রথমে এক গোলে পিছিয়ে গেলেও অবশেষে মনবীর সিংয়ের করা গোলে ১-১ গোলে ম্যাচ শেষ হয় ম্যাচ।

ম্যাচ শুরুর ২ মিনিটেই ডানদিক থেকে ভেসে আসা বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে, মোহনবাগানের ডিফেন্ডার আশিস রাই সেই বল সোজা ব্যাকপাস করে বসেন গোলরক্ষক বিশাল কাইথের হাতে। যার ফলে বক্সের ভিতরে ইনডিরেক্ট ফ্রিকিক দেন ম্যাচ রেফারি ক্রিস্টাল জন। তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করেনি ওড়িশা এফসি। প্রাক্তন মোহনবাগান ফুটবলার হুগো বুমোসের করা গোলে এগিয়ে যায় জাগার্নটসরা। তার কিছুক্ষণ পরে আরেকটি সুযোগ চলে আসে আরেক প্রাক্তন বাগানী রয় কৃষ্ণার কাছে। তবে সেক্ষেত্রে বাগান দূর্গ রক্ষা করেন বিশাল কাইথ। তারপর থেকে নিজেদের ছন্দে ফিরতে শুরু করে মোহনবাগান ফুটবলাররাও। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে কর্নার থেকে ভেসে আসা বল দুরন্ত হেড দিয়ে জালে জড়িয়ে দলকে সমতায় ফেরান মনবীর সিং। ফলে প্রথমার্ধের শেষে ১-১ গোলে সাজঘরে ফেরে দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই মরিয়া চেষ্টা চালায় ব্যবধান বাড়ানোর। ওড়িশা রক্ষণের ফুটবলারদের ভুলে সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন জেমি ম্যাকলারেন তবে সেই বল দুরন্ত সেভ করেন অমরিন্দর সিংহ। বারংবার বাগান রক্ষণে ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন রয় কৃষ্ণা। যদিও পরের দিকে মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে মাঠে নামান জেসন কামিন্স এবং সাহাল আব্দুল সামাদকে। কিন্তু তাও গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ হয় মেরিনার্সরা। অপরদিকে দুরন্ত কিছু সেভ করে মোহনবাগানকে খেলার মধ্যে রেখে দিয়েছিলেন বিশাল কাইথ। যার ফলে ১ পয়েন্টেই সন্তুষ্ট থাকতে হল হোসে মোলিনার ফুটবলারদের। এর পাশাপাশিই ৭ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার দ্বিতীয় স্থানেই থাকল সবুজ-মেরুন দল।

Continue Reading

আইএসএল

ISL 2024/25: জোড়া লাল কার্ড ইস্টবেঙ্গলের। ৯ জনে অনবদ্য লড়ে পয়েন্ট ছিনিয়ে নিলেন আনোয়ার-হিজাজিরা

Published

on

রে স্পোর্টজের প্রতিবেদন: দীর্ঘ বহুবছর বাদে আবারও ভারতীয় ফুটবলে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান স্পোর্টিং। এটাও ছিল এক ঐতিহ্যের ডার্বি। তবে এবারেই প্রথমবারের জন্য বাংলার দুই প্রধান মুখোমুখি হল আইএসএলের মঞ্চে। ম্যাচের ৩০ মিনিটে জোড়া লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় নাওরেম মহেশ সিংহ এবং নন্দকুমার সেকারকে। যার ফলে গোটা ম্যাচে ১১ জনের বিরুদ্ধে ৯ জন নিয়ে অদম্য লড়াই লড়ল ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের এই পরিস্থিতিতেও জয় তুলে নিতে পারল না মহামেডান। বরং লড়াই করে এই মরশুম আইএসএলে প্রথম পয়েন্ট তুলে নিল অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা।

শুরু থেকেই ম্যাচে আধিপত্য বেশিই থাকে সাদা-কালো ফুটবলারদের। তবে ইস্টবেঙ্গলও মাঝে মধ্যে উঠে আসছিল আক্রমণে। তবে আক্রমণ প্রতিআক্রমনে খেলা চললেও বিতর্ক শুরু হয় ম্যাচের ২৮ মিনিটে। মহামেডানের ফুটবলার অমরজিৎ সিং কিয়াম ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার নন্দকুমারকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তখনই নিজের মেজাজ হারিয়ে নন্দার হাত সোজা গিয়ে লাগে অমরজিতের মুখে। সঙ্গে সঙ্গে রেফারি হরিশ কুণ্ডু প্রথমে হলুদ কার্ড দেখালেও পরে সহকারী রেফারির সঙ্গে কথা বলে সোজা লাল কার্ড দেখিয়ে দেন নন্দকে। ঠিক তার পরেই আরও একটি লাল কার্ড দেখেন নাওরেম মহেশ সিংহ। মূলত নন্দার লাল কার্ড দেখা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠে পরে থাকা জলের বোতলে লাথি মারে বসেন তিনি। এর আগে একটি হলুদ কার্ড দেখেছিলেন মহেশ। এবারে রেফারি সামনে থাকায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দিয়ে মাঠের বাইরে বের করে দেন তাকে। যার ফলে ৯ জন নিয়ে গোটা ম্যাচে ফুটবল খেলে যেতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে।

৯ জনে খেলা ইস্টবেঙ্গলকে সামনে পেয়ে মুহুর্মুহু আক্রমণ সানাতে থাকে মহামেডান ফুটবলাররা। তবে তাদের সেই আক্রমণ রুখে দিতে সক্ষম হয় ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের ফুটবলাররা। অপরদিকে আজকের ম্যাচে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন লাল-হলুদ গোলরক্ষক প্রভসুখন সিং গিল। যার ফলে প্রথমার্ধে ০-০ ফলাফল রেখেই মাঠ ছাড়ে দুই দল। এছাড়াও ম্যাচ চলাকালীন দেখা যায় মহামেডান ফুটবলার কাসিমোভ ও অ্যালেক্সিস গোমেজ নিজেদের মধ্যেই ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। শেষে মহামেডান দলের বাকি ফুটবলাররা তাদেরকে শান্ত করান।

দ্বিতীয়ার্ধে অ্যালেক্সিসকে তুলে মাঞ্জোকিকে মাঠে নামান মহামেডান কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ। তার পরেও অনেকবার আক্রমণ তুলে আনছিল সাদা-কালো ফুটবলাররা। বেশ কয়েকবার ইস্টবেঙ্গল বক্সে ঢুকে শট নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তাঁরা তবে সেই সব আক্রমণ রুখে দিতে সক্ষম হয় ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ। এছাড়াও গোটা ম্যাচে অনবদ্য খেলা প্রভসুখন গিল বেশ কয়েকটি গোল বাঁচিয়ে খেলার মধ্যে রাখেন ইস্টবেঙ্গলকে। যার ফলে ০-০ ফলাফলেই ম্যাচ শেষ করে এই মরশুম আইএসএলের প্রথম পয়েন্ট অর্জন করে ফেলল অস্কার ব্রুজোর দল। অপরদিকে ৯ জনে খেলা ইস্টবেঙ্গল দলকে না হারাতে পেরে চাপের মুখে পড়লেন কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ।

Continue Reading

Trending