রে স্পোর্টজের প্রতিবেদন: চেন্নাইয়ন এফসির বিরুদ্ধে হারের পর প্লে-অফের আশা কার্যত শেষ ইস্টবেঙ্গলের। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন লাল-হলুদ ব্রিগেডের হেড কোচ অস্কার ব্রুজো। শেষ তিন ম্যাচে বারবার জয়ের ধারাবাহিকতার কথা বলে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু জয় আসবে কী করে? ফুটবল প্রকৃতপক্ষে একটা বিজ্ঞান। ফুটবল মাঠে সাফল্য পেতে হলে লাগে অনুশীলন এবং কঠিন অধ্যাবসায়। কিন্তু সেটা হচ্ছে কোথায়? ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের চমক দেওয়ার জন্য তড়িঘড়ি উড়িয়ে আনা হল রিচার্ড সেলিসকে। কিন্তু মাঠে নামতে পারলেন না তিনি। সেই সেলিস অল্প দিনেই চোট পেলেন। চেন্নাইয়ন ম্যাচে ইঞ্জেকশন দিয়ে একপ্রকার জোর করে মাঠে নামানো হলে তাঁকে। প্রায় দু’মাস মাঠের বাইরে থাকা আধা ফিট সউল ক্রেসপোকে শুরু থেকেই মাঠে নামিয়ে দেওয়া হল।
যদিও এই প্রসঙ্গে নিজের ভুল স্বীকার করে অস্কার বলেন, “সউলদের বোধহয় এতটা সময় খেলানো উচিত হয়নি। গত ম্যাচের দলটাকেই এই ম্যাচে নামালে বোধহয় ভাল হত।” বিনা অনুশীলনে মাঠে নামলেন নবাগত মেসি বোউলি। ফলে যা হওয়ার তাই হল। চেন্নাইয়ন এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগেই যেন নিজেদের ভুল সিদ্ধান্তে ম্যাচ হেরে বসল ইস্টবেঙ্গল। শুধু তাই নয় দলের বিদেশি নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। হঠাৎ করে সই করিয়ে নিয়ে আসা ফুটবলাররা শুধুই কী চমক? প্রশ্ন উঠছে, ইস্টবেঙ্গল দলের বিদেশি নির্বাচনের হোতা যিনি, তিনি কি আদৌ ইস্টবেঙ্গলের মত ঐতিহ্যশালী একটা দলের ফুটবলার নির্বাচনের দায়িত্বে থাকার যোগ্য? পরিশেষে, ইস্টবেঙ্গল কোচ স্বীকার করলেন প্লে-অফে পৌঁছানোর আশা আর নেই। তিনি বলেন, “এখন আমাদের এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ নিয়ে ভাবতেই হবে। এছাড়াও সুপার কাপ রয়েছে। আমরা চেষ্টা করব আইএসএলে যতটা সম্ভব ভালো জায়গায় শেষ করতে।”