ইস্টবেঙ্গল

অঘটন ঘটিয়ে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ডায়মন্ড হারবার এফসি

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: ডার্বি জয়ের আটচল্লিশ ঘন্টার ব্যবধানে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে ডায়মন্ড হারবারের মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু বড় ম্যাচের ক্লান্তি এদিন মূল বাধা হয়ে দাঁড়ায় অস্কার ব্রুজোর দলের জন্য। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে বিপদ ডেকে এনেছিলেন সিবিলে। অজিত কুমারের লম্বা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রায় আত্মঘাতী গোল করে ফেলেছিলেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত বিপদ কিছুই হয়নি। ৮ মিনিটে পলের দূরপাল্লার শট শরীর ছু়ঁড়ে দিয়ে রুখে দেন গিল। এরপর এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের কাছে। কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে সুযোগ নষ্ট করেন মিগুয়েল। ম্যাচের বয়স যখন ২২ মিনিট, আচমকাই মাঝ মাঠ থেকে গোলমুখী শট নিয়েছিলেন আনোয়ার। কিন্তু প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে নেওয়া দূরপাল্লার শট রুখে দেন ডায়মন্ড হারবারের গোলরক্ষক মিরশাদ। মিনিট দুয়েক পরেই প্রায় গোলমুখ খুলে ফেলেছিল ডায়মন্ড হারবার এফসি। জবি জাস্টিনের পাস থেকে স্যামুয়েলের দুরন্ত শট বারে লেগে প্রতিহত হয়। সংযোজিত সময়ে মহেশের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হওয়ায়, গোলশূন্য ভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।

দ্বিতীয়ার্ধে দলে দুটি পরিবর্তন আনেন অস্কার। এডমুন্ডের পরিবর্তে মাঠে নামেন জিকশন এবং লালচুংনুঙ্গার জায়গায় আসেন প্রভাত লাকরা। শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। মহেশের পাস থেকে বক্সের মধ্যে বল পেয়েছিলেন দিমানতাকোস। কিন্তু তাঁর দুর্বল শট লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। ৫৪ মিনিটে ফাঁকা গোলে হেডার মিস করেন দিমানতাকোস। মিগুয়েলের কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে বল সাজিয়ে দিয়েছিলেন আনোয়ার। কিন্তু কাজের কাজ করে উঠতে পারেননি গ্রীক ফরোয়ার্ড। ৬৪ মিনিটে জিকশনের দুরন্ত শট বাঁচিয়ে ডায়মন্ড হারবারকে ম্যাচে রাখেন মিরশাদ। ৬৬ মিনিটে ডেডলক ভাঙে ডায়মন্ড হারবার এফসি। পলের ফ্রিকিক ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে হেড করেছিলেন আনোয়ার। ব্যাকভলিতে গোল করেন সুযোগ সন্ধানী মিকেল। পরের মিনিটেই ম্যাচে সমতা ফেরায় ইস্টবেঙ্গল। প্রায় পঁচিশ গজ দূর থেকে দূরপাল্লার শটে বল জালে জড়িয়ে দেন আনোয়ার। ৭৮ মিনিটের মাথায় মিগুয়েলের শট বারে লেগে প্রতিহত হয়। ৮৩ মিনিটে জটলা থেকে গোল করে ডায়মন্ড হারবারকে এগিয়ে দেন জবি জাস্টিন। ৮৭ মিনিটে কিভিনের হেডার বাঁচিয়ে নিশ্চিত পতন রোধ করেন মিরশাদ। সংযোজিত সময়ে লুকা মাচেন তৃতীয় গোলটি করলেও, অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত, ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের জন্য ডুরান্ড কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল ডায়মন্ড হারবার এফসি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version