ইস্টবেঙ্গল
CFL 2025: আসন্ন কলকাতা লিগের মরশুম নিয়ে আশাবাদী ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ। জানতে পড়ুন…
রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: আগামী ২৭ জুন, কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচে মেজারার্স ক্লাবের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হবে বিনো জর্জের ইস্টবেঙ্গল। উল্লেখ্য গত মরশুম দারুন ছন্দে গোটা মরশুম ফুটবল খেলেছিলেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। প্রত্যেক ম্যাচেই নিজেদের উজাড় করে দিয়েছিলেন জেসিন টিকে, সায়ন ব্যানার্জীরা। এমনকি গত মরশুম খাতায় কলমে চ্যাম্পিয়নও হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডায়মন্ড হারবার এফসির থেকে দুই পয়েন্টে এগিয়েও ছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। তবুও সরকারিভাবে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ঘোষিত হয়নি ইস্টবেঙ্গলের নাম। বলা ভালো গত মরশুমের চ্যাম্পিয়ন ছাড়াই, শুরু হয়ে গেছে নতুন মরশুমের কলকাতা লিগ। তবে সেসব না ভেবে আসন্ন মরশুমের জন্য নিজেদের তৈরি করে নিচ্ছেন লাল-হলুদের ফুটবলাররা। বৃহস্পতিবার যুবভারতীর অনুশীলন গ্রাউন্ডে নিজেদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন তন্ময় দাস, আমান সিকেরা। এদিন অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ বলেন, “গত মরশুম আমারা দারুন পারফরম্যান্স করেছিলাম। একটাও ম্যাচে আমরা পরাজয় স্বীকার করিনি। গোটা মরশুম ধারাবাহিকভাবে আমার দল ফুটবল খেলে গেছে। এমনকি ডায়মন্ড হারবার এফসির একটা ম্যাচ বাকি থাকলেও, তাদের থেকে আমরা দুই পয়েন্টে এগিয়ে ছিলাম। কিন্তু সেসব এখন অতীত। আমাদের সামনে কলকাতা লিগের নতুন মরশুম শুরু হতে যাচ্ছে। তাই আমাদের মূল লক্ষ্য আসন্ন মরশুমেও কলকাতা লিগে ভালো ফল করার। সেই মতোই দলকে অনুশীলনও করাচ্ছি”।
তুলনামূলক ছোট দল এই মেজারার্স ক্লাব। তাদের বিরুদ্ধে আগামী শুক্রবার মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল। তবে এখনই কোনো দলকে ছোট দল বলে মেনে নিতে নারাজ বিনো। তিনি বলেন, “এখানে কোনও দলই ছোট নয়। কলকাতা লিগ ভারতবর্ষের স্থানীয় লিগ গুলির মধ্যে অন্যতম কঠিন লিগ। এখানে যেকোনও দল যেকোনও সময় খেলার রং ঘুরিয়ে দিতে পারে। আমার দলের ফুটবলার থেকে শুরু করে আমরা সকলেই সেই জিনিসটা জানি। তাই প্রত্যেকটা দলের বিরুদ্ধে আলাদা পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছি”। এদিকে একটা সময় ভারতীয় ফুটবলের মক্কা বলা হতো এই বাংলাকে। অতীতে অনেক বাঙালি ফুটবলার এই কলকাতা লিগ থেকে উঠে এসেছেন যারা পরে গিয়ে দেশের ফুটবলে নিজেদের ছাপ রেখে গেছেন। ফলে আসন্ন কলকাতা লিগ থেকে যাতে ভবিষ্যতে আরও অনেক বেশি বাঙালি ফুটবলার উঠে আসতে পারে সেই দিকে নজর দিয়েছে আইএফএ। কলকাতা লিগে ভূমিপুত্রের সংখ্যা পাঁচজন থেকে বাড়িয়ে ছয়জন করা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ বলেন, “চলতি মরশুম আইএফএ যেই উদ্যোগটা নিয়েছে যেখানে ভূমিপুত্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, সেটা সত্যিই খুব ভালো উদ্যোগ। এই উদ্যোগে আগামী দিনে বাংলা থেকে অনেক বেশি ফুটবলার উঠে আসবে এবং তাতে লাভ আমাদেরই হবে। এমনকি এই মরশুমে সন্তোষ ট্রফি জিতেছে বাংলা। সেই দল থেকেও আমাদের দলে নেওয়া হয়েছে বিক্রম প্রধান এবং মনোতোষ মাঝির মতো প্রতিভাবান ফুটবলার। যার ফলে আমাদের দলেরও শক্তি বৃদ্ধি পাবে”।