সায়ন দে, ভুবনেশ্বর: ছন্নছাড়া ফুটবল। ফুটবলারদের মধ্যে নেই কোনও বোঝাপড়া। ঠিক যেন মাঠে নেমে খেলতে হয় তাই নামা এমন মনোভাব। ফলে যা হওয়ার তাই হল। অত্যন্ত জঘন্য ফুটবল উপহার দিয়ে, সুপার কাপের প্রথম ম্যাচেই কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ০-২ ব্যবধানে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেল গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের বিরুদ্ধে গোল করলেন জেসুস জিমিনেজ এবং নোয়া সাদিউ। আগামী ২৬ এপ্রিল মোহনবাগানের বিরুদ্ধে কোয়ার্টারফাইনালে মুখোমুখি হবে কেরালা ব্লাস্টার্স।
প্রথমার্ধের শুরুতেই প্রায় গোলমুখ খুলে ফেলেছিলেন কেরালা ফুটবলার জেসুস জিমিনেজ। তবে গোল আসেনি। পাল্টা আক্রমনে আসে ইস্টবেঙ্গলও। ৮ মিনিটে একটি গোলমুখি শটও নেন রিচার্ড সেলিস। পরক্ষণে আক্রমনে উঠে আসে কেরালাও। ম্যাচের ২২ মিনিটে বামপ্রান্ত থেকে পিভি বিষ্ণুর ভাসানো ক্রস থেকে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন মেসি বোউলি। ম্যাচের বয়স তখন ৩৮ মিনিট। বারবার আক্রমণের ফলে একসময় লাল-হলুদ ডিফেন্সের ভুলে পেনাল্টি পায় কেরালা। তবে জেসুস জিমিনেজের সেই পেনাল্টি ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক প্রভসুখান গিল প্রথমবার দারুনভাবে রুখে দিলেও, রেফারির সিদ্ধান্তে আরও একবার পেনাল্টি নেওয়ার সুযোগ পায় কেরালা। দ্বিতীয়বারে আর ভুল আর করেননি জেসুস। গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। ফলে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দুটি পরিবর্তন আনেন অস্কার। রাকিপ এবং জিকশনের জায়গায় মাঠে আসেন সউল ক্রেসপো এবং নিশু কুমার। অপরদিকে পাল্টা আক্রমণে আধিপত্য বেশি থাকে কেরালার। ৫৬ মিনিটে জেসুস জিমিনেজের গোল বাতিলও হয় অফসাইডের কারণে। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ’পায়ের দুরন্ত শটে গোল করে ইস্টবেঙ্গলের কফিনে শেষ পেরেকটি পোতেন নোয়া সাদিউ। পরে আরও দুটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয় কেরালার, নাহলে ব্যবধান আরও বাড়তো। শেষের দিকে গোলের মরিয়া চেষ্টা চালাযন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। তবুও গোল তুলে আনতে ব্যার্থ হন তারা। ফলে শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে ম্যাচ হারে মাঠ ছাড়ে ইস্টবেঙ্গলকে।