ইস্টবেঙ্গল
SAFF WOMEN’S CLUB CHAMPIONSHIP: ইস্টবেঙ্গলের হয়ে আরও গোল করে দলকে চ্যাম্পিয়ন করাতে মুখিয়ে রয়েছেন উগান্ডিয়ান ফরোয়ার্ড ফাজিলা ইকওয়াপুত। জানতে পড়ুন…
সায়ন দে, কাঠমান্ডু: রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় বাংলাদেশের নাসরিন স্পোর্টস একাডেমিকে একাই দুরমুশ করেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের উগান্ডিয়ান ফরোয়ার্ড ফাজিলা ইকওয়াপুত। সাত গোলের মধ্যে একাই করেছিলেন ৫টি গোল। পাশাপাশি ভারতীয় ফুটবলে দাপটের সঙ্গে ফুটবল খেলেছেন তিনি। এর আগে গোকুলাম কেরালার হয়ে ভারতীয় ফুটবলে পদার্পণ করেছিলেন ফাজিলা। সেই দলের হয়েই দুবার গোল্ডেন বুট জিতেছেন তিনি। এখন রয়েছেন ইস্টবেঙ্গলে। সকল বিষয় নিয়ে রে স্পোর্টজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন ফাজিলা ইকওয়াপুত।
রে স্পোর্টজ: ভারতীয় ফুটবলে যাত্রাটা কেমন? পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে লক্ষ্য কি রয়েছে?
ফাজিলা: ভারতীয় ফুটবলে আমি এই নিয়ে তিন বছর খেলছি। অনেক গোল করেছি। এবছর ইস্টবেঙ্গল দলে আছি এবং ইতিমধ্যে আমরা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রবেশ করেছি। এই প্রতিযোগিতায় আমাদের গোটা দল খুবই ভাল পারফরম্যান্স করছে। গত ম্যাচেও আমরা বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে। আমার সামনে লক্ষ্য রয়েছে এই ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। দলও এই মরশুমে আমাদের খুবই ভাল। তাই আশা করছি আমরা চ্যাম্পিয়ন হব এবং ট্রফি জিতেই ফিরব।
রে স্পোর্টজ: তিনবার গোল্ডেন বুট জয়। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ইতিমধ্যেই সর্বোচ্চ গোলদাতা। কেমন লাগছে?
ফাজিলা: আমার সামনে তৃতীয়বার গোল্ডেন বুট জেতার সুযোগ রয়েছে। তবে তার থেকেও আগে আমার লক্ষ্য ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ভাল ফল করা।
রে স্পোর্টজ: কোচ সবসময় তোমাদের সঙ্গে কথা বলেন অনুশীলন এবং ম্যাচের সময়েও। এটা কি বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগায়?
ফাজিলা: হ্যাঁ। এটা আমাদের বাড়তি উজ্জীবিত করে। কোচ আমাদের সঙ্গে বন্ধু মত মেশেন। আমাদেরও সাহায্য হয় কোচ কি চান সেটা বুঝতে। এমনকি কোথাও ভুলভ্রান্তি হলে সেটাও শুধরে নিতে সুবিধে হয়।
রে স্পোর্টজ: বার্সেলোনার মত দলের বিরুদ্ধে গোল করার অনুভূতিটা কেমন ছিল?
ফাজিলা: অনেক বড় মুহূর্ত ছিল। বার্সেলোনার মত দলের বিরুদ্ধে গোল করাটা যেকোনও ফুটবলারের কাছে অনেক বড় বিষয়। আমি গোল করে অনেক উচ্ছসিত হয়েছিলাম। আবারও কখনও যদি সুযোগ আসে আমার কাছে, আমি ইউরোপে খেলব।
রে স্পোর্টজ: উগান্ডায় এনজিও চালানোর বিষয়ে কি বলবেন?
ফাজিলা: আমি উগান্ডায় ‘ফাজিলা ইনিশিয়েটিভ’ নামে একটা এনজিও চালাই। সেখানে অনেক ছেলে-মেয়েদের পড়ানো থেকে তাদেরকে খেলাধুলোও করাই। আমার কাছে কোনও স্পন্সর নেই। সেটা পাওয়াটাও সম্ভব নয়। তাই যতটা পারি নিজেই করি। তাই চাইব মানুষ যেন এগিয়ে এসে সমর্থন করেন।
