ইস্টবেঙ্গল

IWL 2024/25: ওড়িশাকে হারিয়ে ভারতসেরা ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা। বিস্তারিত পড়ুন…

Published

on

নিজস্ব প্রতিনিধি: ইন্ডিয়ান উমেন্স লিগে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দল। প্রতিটা ম্যাচই দারুণ ফুটবল খেলেছেন এলসাদাই, মৌরিন আচিয়েঙরা। শুক্রবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এই ম্যাচটি জিতলেই প্রথমবারের জন্য আইডব্লুএলের খেতাব নিজেদের নামে করার সুযোগ ছিল ইস্টবেঙ্গলের মহিলাদের কাছে। আর সেই কাজটি খুব ভালভাবেই করলেন তারা। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে সৌম্যা গুগুলথের গোলে ১-০ ব্যবধানে ওড়িশা এফসিকে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল ইস্টবেঙ্গল মহিলা দল। শেষ ম্যাচটি তারা খেলবে গোকুলাম কেরালার বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল মাঠে। এরই পাশাপাশি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রিলিমিনারি স্টেজে খেলার যোগ্যতাও অর্জন করল ইস্টবেঙ্গল।

ম্যাচের শুরু থেকেই জয়ের মানসিকতা পরিষ্কার করে ইস্টবেঙ্গল। তবে লড়াই করে ওড়িশাও। ম্যাচের শুরুর দিকে বক্সের বাইরে থেকে একটি ফ্রিকিক পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল, তবে কার্থিকা অঙ্গামুথুর সেই শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। মাঝে আক্রমণে উঠেছিল ওড়িশা ফুটবলাররাও। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অপরদিকে ম্যাচের ২০ মিনিটে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন মৌরিন আচিয়েঙ। ৩৬ মিনিটে আরও একটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি। কিন্তু প্রথমার্ধে অসাধারণ কিছু সেভ করে ওড়িশাকে খেলায় রাখেন তাদের গোলরক্ষক নন্দিনী। প্রথমার্ধের শেষের দিকে গোলের সুযোগ পায় ওড়িশা ফুটবলাররাও। বারংবার ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে পরীক্ষার মুখে ফেলছিলেন তারা। তবে গোল তুলে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় ০-০ ব্যবধানেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক মেজাজেই শুরু করে ওড়িশা এফসির মহিলারা। শুরুতেই জোড়া কর্নার তুলে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে চাপে ফেলেন তারা। তবে জমাট থাকে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণও। পরক্ষনেই আক্রমণ তুলে আনে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। ৬০ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন এলসাদাই। অপরদিকে অফসাইডের কারণে ওড়িশা এফসির একটি গোল বাতিল হয়। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে পরিবর্ত হিসেবে নেমেই গোলের ঠিকানা লেখা পাস বাড়ান অঞ্জু তামাং। সেখান গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন সৌম্যা গুগুলথ। একদম শেষের দিকে ওড়িশার একটি শট বারে লেগে প্রতিহত হয়। অবশেষে জয় পায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের শেষে ইস্টবেঙ্গল কোচ অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুস বলেন, “আমার দলের প্রত্যেকে গোটা মরশুম ভাল ফুটবল খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সমর্থকেরাও আমাদের অনেক সমর্থন করেছেন। শেষ ম্যাচটি আমরা নিজেদের ক্লাবের মাঠে খেলব। আমি চাইব সমর্থকেরা যেন সেই ম্যাচে পুরো মাঠ ভরান।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version