রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: এফএ কাপে মুখোমুখি হয়েছিল বোর্নমাউথ এবং উলভারহ্যাম্পটন। তবে সেই ম্যাচে ঘটলো এক অভিনব ঘটনা। “ভার” প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েও গোল হয়েছে কিনা সেটা বুঝতে রেফারির সময় লেগে গেল ৭ মিনিটেরও বেশি। রেফারির এই ধীর গতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিরক্ত হন দর্শকেরাও। এর আগে ইংল্যান্ডের কোনও ফুটবল ম্যাচে গোলের সিদ্ধান্ত নিতে কখনও এতটা সময় লাগেনি।
শনিবার এফএ কাপের ম্যাচে প্রথমবারের জন্য এই নতুন অফসাইড প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। যার উদ্দেশ্য ছিল সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং জানানোর প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করা। তবে সেটা করতে গিয়ে উল্টে গোলের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করার রেকর্ড গড়ে ফেললেন রেফারিরা। শুরুতেই গোল করে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বোর্নমাউথ। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে মিলোস কেরকেজের গোলে ব্যবধান হয় ২-০। রেফারি স্যাম ব্যারট সেটিকে গোলের সিদ্ধান্ত জানানোর পর থেকেই শুরু হয় নাটক। “ভার” প্রযুক্তির দায়িত্বে থাকা দুই সহকারী রেফারি টিমোথি উড এবং ড্যারেন ইংল্যান্ড, গোল করার আগে কেরকেজ হ্যান্ডবল করেছেন কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে শুরু করেন।
রিপ্লেতে দেখা যায় যে গোল করার আগে কেরকেজের হাতে বল লেগেছিল। তবে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বল হাতে লাগিয়েছেন নাকি অনিচ্ছাকৃতভাবে, সেটাই বুঝতে সময় লেগে যায়। তবে এইটা দেখার আগেও দেখা হয় বোর্নমাউথের আরেক ফুটবলার ডিন হুইসেনের হাতে বল লেগেছিল কিনা। কিন্তু বল তাঁর হাতে লাগেনি সেটা নিশ্চিত হওয়ার পর দেখা হয় তিনি অফসাইডে ছিলেন কিনা। সেইটা নিশ্চিত করতে গিয়েই প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতার কারণে সমস্যা বাড়ে দুই সহকারী রেফারির। গোল পোস্টের সামনে যদি ফুটবলারদের জটলা থাকে, তাহলে সূক্ষ্ম অফসাইডের সিদ্ধান্ত নেওয়া নতুন প্রযুক্তিতে কঠিন হতে পারে, এমনটা আগেই জানিয়েছিল ইংল্যান্ডের ফুটবল সংস্থা। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রেখা এঁকে অফসাইডের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যার সাহায্যে দ্বিতীয় গোলটি বাতিল করা হয় বোর্নমাউথের। কিন্তু সেই গোল যতক্ষণে বাতিল হয়েছে ততক্ষণে ৭ মিনিট অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হওয়ায় মাঠে উপস্থিত থাকা দর্শকেরা বিরক্ত হয়ে ওঠেন। রেফারি এবং কর্তারা শিকার হন বিদ্রুপের। তবে ৯০ মিনিট এবং এক্সট্রা টাইমেও খেলা ১-১ এ ড্র থাকায়, টাইব্রেকারে উলভারহ্যাম্পটনকে ৫-৪ ব্যবধানে হারিয়ে এফএ কাপের কোয়ার্টারফাইনালে পৌঁছেছে বোর্নমাউথ।