আইপিএল
শাপমুক্তি! পঞ্জাবকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন আরসিবি
রে স্পোর্টজের প্রতিবেদন: “আঠারাে বছর বয়স কী দুঃসহ, স্পর্ধায় নেয় মাথা তােলবার ঝুঁকি।” সুকান্ত ভট্টাচার্যের “ছাড়পত্র” কবিতার বাস্তব রূপায়ণ যেন এবারের আইপিএল ফাইনাল। হ্যাজলউডের শেষ বলটা শশাঙ্ক সিং উড়িয়ে দিলেন বাউন্ডারির বাইরে। সেদিকে চোখ নেই বিরাট কোহলির। মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে ক্রিকেট ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানালেন কিং কোহলি। বিরাটের চোখে শুধুই আনন্দাশ্রু। আর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে তখন শুধুই আরসিবি সমর্থকদের বিজয়োল্লাস। অবশেষে আঠারো বছরের শাপমুক্তি ঘটল। পঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে প্রথমবারের জন্য আইপিএল চ্যাম্পিয়ন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এদিন প্রত্যাশা মত ব্যাটিং করতে পারেননি ফিল সল্ট। প্রথমেই বড় শট খেলতে গিয়ে শ্রেয়স আইয়ারের হাতে ধরা পড়েন তিনি। আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে ব্যাটিং শুরু করেও ২৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ময়ঙ্ক আগরওয়াল। ১৬ বলে ২৬ রান করেন অধিনায়ক রজত পাতিদার। আজমাতুল্লাহর দুরন্ত ক্যাচে আউট হয়ে ফিরতে হয় বিরাট কোহলিকে(৪৩)। মাত্র ১০ বলে ২৪ রানের একটা ঝোড়ো ইনিংস খেলেন জিতেশ শর্মা। শেষ দিকে রোমারিও শেফার্ড চেষ্টা করলেও, বড় রান করতে পারেননি। শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে ৩ টি উইকেট তুলে নেন অর্শদীপ সিং৷ ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯০ রানেই থামতে হয় আরসিবিকে।
আহমেদাবাদের ব্যাটিং উইকেটে রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই পরিকল্পনামাফিক ক্রিকেট খেলেন পঞ্জাবের দুই ওপেনার৷ ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই জীবনদান পেয়ে যান প্রভসিমরান। সহজ ক্যাচ ফেলে দেন শেফার্ড। যদিও এক ওভার পরেই ফিল সল্টের দুরন্ত ক্যাচে আউট হয়ে ফিরতে হয় প্রিয়াংশ আর্যকে(২৪)। ২৬ রান করে আউট হন প্রভসিমরান। মাত্র ১ রানে শ্রেয়স আইয়ারকে ফিরিয়ে দিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করেন রোমারিও শেফার্ড। শ্রেয়স ফিরলেও লড়াই চালিয়ে যান জশ ইংলিশ। অবশেষে ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে বাউন্ডারির ধারে ধরা পড়েন ইংলিশ(৩৯)। শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান শশাঙ্ক সিং। ৬১ রানে অপরাজিত থেকেও দলকে ট্রফি এনে দিতে পারলেন না। পঞ্জাবকে ৬ রানে হারিয়ে অধরা স্বপ্ন পূরণ করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।