Connect with us

ফুটবল

U-17 ASIAN CUP QUALIFIERS: ১৩ গোলের মালা পরিয়ে যাত্রা শুরু ভারতের

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ার ম্যাচে, ব্রুনেই দারুসালামকে ১৩-০ গোলে হারিয়ে অভিযান শুরু করল ভারতের অনূর্ধ্ব-১৭ দল। এদিন গোল তালিকায় নাম তুললেন ভারতের ১১ জন ফুটবলার। হ্যাটট্রিক করলেন বিশাল যাদব।

ম্যাচের একদম শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে, ব্রুনেই দলকে বিধ্বস্ত করে তুলেছিল ভারতের ছোটরা। যার ফলে, খেলা শুরুর ৮ মিনিটেই প্রথম গোল পান বিশাল যাদব। ২৪ মিনিটে পেনাল্টি আদায় করে, সেই পেনাল্টি থেকে গোল করেন মহম্মদ আরবাস। আবারও ম্যাচের ২৯ মিনিটে, নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোলটি করেন বিশাল। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে, আরবাসের বাড়ানো বল থেকে দলের চতুর্থ গোলটি করেন ভারত লাইরেনজাম। ৪২ মিনিটে মহম্মদ কাইফ গোল করে, প্রথমার্ধের শেষেই ৫-০ গোলে এগিয়ে থাকে ভারত।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ছয় মিনিট পর, ম্যাচের ৫২ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন বিশাল। তারপর ভারতের কোচ ইশফাক আহমেদ দলে কিছু পরিবর্তন করেন। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে, প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের ভুলে গোল তুলে আনেন গমগৌহু মাতে। অপরদিকে পরিবর্ত ফুটবলার হয়ে আসা মনভাকুপার মলাঞ্জিয়াং, ম্যাচের ৭৪ মিনিটে একটি গোল করেন। তারপর, পরপর গোল করে ভারত। ৮২ মিনিটে একটি লুজ বল থেকে গোল করে যান হেমনেইচুং লুঙ্কিম। তারপর ৮৪ মিনিটে দশম গোলটি করেন আজলান শাহ। অপরদিকে ৮৬ মিনিটে মহম্মদ শামি এবং ৮৮ মিনিটে সুমিত শর্মা গোল করে এক ডজন গোলের মালা পড়ায় ব্রুনেই দারুসালাম দলকে। অবশেষে সংযোজিত সময়ে, বক্সের বাইরে থেকে জোড়ালো শটে ম্যাচের ১৩তম গোলটি করেন ঊষাম সিংহ থঙ্গাম্বা। যার ফলে ১৩-০ গোলে ব্রুনেই দারুসালামকে হারায় ভারতের অনূর্ধ্ব-১৭ দলের ছেলেরা। ভারতের পরবর্তী খেলা আগামী শুক্রবার তুর্কিমিনিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৭ দলের বিরুদ্ধে।

আন্তর্জাতিক ফুটবল

UCL 2024/25: হারের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে আনলেন ভিনিরা

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বড় জয় পেল রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথমার্ধে ০-২ গোলে ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েও, দারুন কাম ব্যাক করে ৫-২ গোলের ব্যবধানে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে জয় তুলে নিল রিয়াল। হ্যাটট্রিক করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার ভিনিসিয়াস জুনিয়র।

মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বের্নাবাউ স্টেডিয়ামে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ এবং বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ম্যাচের ৩০ মিনিটে, ড্যানিয়েল মালেনের গোলে এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। এরপর ৩৪ মিনিটে সেই ড্যানিয়েল মালেনের বাড়ানো বল থেকেই দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন গিটেনস। ফলে প্রথমার্ধে, ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেই সাজঘরে ফেরে ডর্টমুন্ড।

প্রথমার্ধের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল, এদিন রিয়াল মাদ্রিদের হার নিশ্চিত। তবে দ্বিতীয়ার্ধে সম্পূর্ণ খেলা ঘুরিয়ে দেন আন্সেলোত্তির ছেলেরা। ম্যাচের ৬০ মিনিটের মাথায়, রিয়ালের প্রথম গোলটি করেন তাদের রক্ষণের ফুটবলার আন্তোনিও রুডিগার। তার মাত্র ২ মিনিট বাদেই ভিনিসিয়াস গোল করে তার দলকে সমতায় ফেরান। তারপর ম্যাচের ৮৩ মিনিটে ভাজকুয়েজের করা গোলে, ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় রিয়াল। আন্সেলোত্তির ছেলেদের দুরন্ত ফুটবলের কারণে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ডর্টমুন্ড। অপরদিকে ৮৬ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যান ভিনি। ৯৩ মিনিটে আরেকটি গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন তিনি। অবশেষে ৫-২ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে, পুরো ৩ পয়েন্ট অর্জন করে রিয়াল মাদ্রিদ।

Continue Reading

আইএসএল

ISL 2024/25: ম্যাচ হেরেও আশাবাদী কোচ অস্কার ব্রুজো

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: আইএসএলে টানা ছয় ম্যাচে হেরে ইতিমধ্যেই প্রশ্নের মুখে গোটা ইস্টবেঙ্গল দল। তার উপর প্রচুর গোলের সুযোগ তৈরি করেও বারবার তা নষ্ট করছে দলের ফুটবলাররা। মঙ্গলবার, ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে হারের পর, নিজের লক্ষ্য জানিয়ে গেলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো।

মঙ্গলবার ২২ মিনিটের মাথায় রয় কৃষ্ণা গোল করে প্রথমে দলকে এগিয়ে দেন। অপরদিকে প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে, পেনাল্টি থেকে গোল করে, লাল-হলুদকে সমতায় ফেরান তাদের গ্রিক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিয়স দিমানতাকস। কিন্তু ৬৯ মিনিটের মাথায়, ফ্রিকিক থেকে আহমেদ জাহুর ভাসানো বল থেকে হেড করে যান ওড়িশার দীর্ঘদেহী ডিফেন্ডার মুর্তাদা ফল। ফলে ওড়িশা এফসি তাদের ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ গোলে পরাস্ত করে। এই ম্যাচে হারের পর ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার বলেন, “আমরা আজ যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলেছি। বেশি সুযোগ তৈরি করে, ওড়িশা এফসিকে আমরা প্রচুর সমস্যায় ফেলেছি। একটা সময়ে ওরা অপেক্ষা করছিল যে কখন আমরা একটা ভুল করব আর সেখান থেকে ওরা পাল্টা আক্রমণ শুরু করবে। তবে দুর্ভাগ্যবশত, একটি পাল্টা আক্রমণেই গোল করে যান রয় কৃষ্ণা। তবে এই জায়গাটা মেরামতির কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি ইতিমধ্যেই”।

গোলের একঝাঁক সুযোগ পেয়েও, সেই সুযোগ হাতছাড়া হয় এই ম্যাচে। সেই নিয়ে অস্কার বলেন, “আমরা অনেক সুযোগ মিস করেছি। তবে খেলা পুরোপুরি আমাদের দখলেই ছিল। কিন্তু ওরা যখন ১-০ গোলে এগিয়ে যায়, তখন আমাদের কাছে কাজটা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। খেলার গতি কমিয়ে, পাল্টা আক্রমণ তুলে আনছিল ওড়িশা ফুটবলাররা। এটাই ওদের স্ট্র্যাটেজি ছিল”। সামনেই ইস্টবেঙ্গলের এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ এবং নভেম্বরে আন্তর্জাতিক বিরতিও রয়েছে। এই বিরতিকে কাজে লাগিয়ে, আইএসএল লড়াইয়ে ফিরে আসতে চান ব্রুজো। তাদের পরবর্তী ম্যাচ ৯ নভেম্বর মহমেডান স্পোর্টিঙের বিরুদ্ধে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “আমি বিরতি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছি না। আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফলাফলের প্রয়োজন। তবে নতুন কোচের নতুন ধারণাগুলোকে ফুটবলারদের মানিয়ে নেওয়ার জন্য এই বিরতির প্রয়োজন। তবে আমাদের এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, ছয়টি ম্যাচ খেলে আমাদের পয়েন্ট এখনও শূন্য। আমাদের হাতে রয়েছে এখনও ১৮টি ম্যাচ। তার মধ্যে সেরা ছয়ে শেষ করতে হলে দশটি ম্যাচে আমাদের জিততে হবে। আমরা এসব কিছুই হিসেবে রাখছি”।

অপরদিকে টানা ছয় ম্যাচে হেরে মনমরা সমর্থকেরা। তাদের উদ্দেশ্যে কোচ বলেন, “আমরা খুব শিগগিরই ফিরে আসব, আমাদের দলের উপর বিশ্বাস রাখুন। কারণ আপনারাই এই দলের সবকিছু। আসা করছি এই পরিস্থিতি বদলানোর জন্য আমরা আরও ভালো কিছু করবই। তাই আপনারা দলের সাথে থাকুন”।

Continue Reading

আইএসএল

ISL 2024/25: আইএসএলে হারের ‘ডবল হ্যাটট্রিক’ ইস্টবেঙ্গলের

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: ইতিমধ্যেই বদল হয়েছে কোচ। কার্লেসের পরিবর্তে দলের দায়িত্ব সামলাতে এসেছেন স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজো। তবে কোচ বদল হলেও, ভাগ্য বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি লাল-হলুদ ব্রিগেডের। ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে ১-২ গোলে হেরে, টানা ছয় ম্যাচ এবং মরশুমে টানা আট ম্যাচে হারের মুখে দেখল ইস্টবেঙ্গল। ওড়িশার হয়ে গোল করেন রয় কৃষ্ণা ও মোর্তাদা ফল এবং ইস্টবেঙ্গলের হয়ে  পেনাল্টি থেকে একমাত্র গোলটি করেন দিমানতাকোস।

ম্যাচ হারলেও, খেলার ধরনে পরিবর্তন দেখা যায় ইস্টবেঙ্গলের। ডিফেন্সিভ খোলোস থেকে বেরিয়ে যথেষ্ট আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে তাঁরা। প্রথম ১০ মিনিটে নিরন্তর আক্রমণ চালাতে থাকে লাল-হলুদ ফুটবলাররা। যার ফলে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই মাদিহ তালালের বাড়ান ক্রস থেকে হেডে গোল করে ফেলেছিলেন অধিনায়ক সাউল ক্রেসপো। তবে ফাউলের কারণে বাতিল হয় সেই গোলটি। এছাড়াও বেশ কয়েকবার গোলমুখি আক্রমণ তুলে এনে, ওড়িশা গোলরক্ষককে পরীক্ষার মুখে ফেলে দিয়েছিলেন দিমানতাকোস, তালালরা। তবে গোলমুখ খুলতে পারেননি তাঁরা। অপরদিকে ১১ মিনিটে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন হিজাজী মাহের। ম্যাচের ২০ মিনিটের মাথায় রয় কৃষ্ণার একটি অনবদ্য গোলমুখী শট বাঁচান আনোয়ার আলি। তবে ম্যাচের ২২ মিনিটে, সেই রয় কৃষ্ণার করা গোলেই, ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ওড়িশা এফসি। তারপরে বেশ কয়েকবার দুই দলই তাদের আক্রমণ তুলে আনতে থাকে এবং তারই মাঝে ৩৬ মিনিটে নিজের এবং দলের দ্বিতীয় গোলটি করে ফেলেছিলেন রয় কৃষ্ণা। তবে অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল করা হয়। এরপর সংযোজিত সময়ের খেলায় বক্সের ভেতর থেকে পেনাল্টি আদায় করে নেন মাদিহ তালাল। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান দিমানতাকোস। প্রথমার্ধের শেষে ১-১ ফলাফলে সাজঘরে ফেরে দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে, দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা বজায় রাখে। বেশ কয়েকবার গোলকেন্দ্রিক আক্রমণ তুলেও আনেন ফুটবলাররা, তবে গোল তুলে আনতে পারেননি কেউই। ম্যাচের ৫২ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে একটি শট নেন রয় কৃষ্ণা তবে সেই শট বার উঁচিয়ে চলে যায়। অপরদিকে ৬৭ মিনিটে একটি শট নেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার নন্দকুমার কিন্তু তেকাঠিতে রাখতে সক্ষম হননি তিনি। তার পরের মিনিটেই, অময় রানাওয়াড়েকে ফাউল করে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন প্রভাত লাকড়া। ফলে ফ্রিকিক পায় ওড়িশা এফসি। সেই ফ্রিকিক থেকেই ম্যাচের ৬৯ মিনিটে, আহমেদ জাহুর ভাসানো ক্রসে হেডে বল জালে জড়িয়ে দিয়ে যান ওড়িশা রক্ষণের ফুটবলার মোর্তাদা ফল। ফলে ১-২ গোলে আবারও ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে অস্কার ব্রুজোর দল। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে মেজাজ হারিয়ে, আহমেদ জহুকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান প্রভাত লাকড়া। ম্যাচের ৮১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়ে গেছিলেন দিয়েগো মরিসিও, তবে তার শট রুখে দেন ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক প্রভসুখান গিল। এর পরে বেশ কয়েকবার গোলকেন্দ্রিক শট নিয়েছিলেন ওড়িশা ফুটবলাররা তবে সেগুলি সব চলে জয় বার উঁচিয়ে। শেষের দিকে কয়েকবার ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা আক্রমণ তুলে আনলেও, গোল পরিশোধ করতে পারেননি তাঁরা। অবশেষে ১-২ গোলে ম্যাচ হেরে, হারের “ডাবল হ্যাটট্রিক” পূর্ণ করল অস্কার ব্রুজোর ইস্টবেঙ্গল দল।

Continue Reading

Trending