আইএসএল
ISL 2024/25: ম্যাচ হেরেও আশাবাদী কোচ অস্কার ব্রুজো
রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: আইএসএলে টানা ছয় ম্যাচে হেরে ইতিমধ্যেই প্রশ্নের মুখে গোটা ইস্টবেঙ্গল দল। তার উপর প্রচুর গোলের সুযোগ তৈরি করেও বারবার তা নষ্ট করছে দলের ফুটবলাররা। মঙ্গলবার, ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে হারের পর, নিজের লক্ষ্য জানিয়ে গেলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো।
মঙ্গলবার ২২ মিনিটের মাথায় রয় কৃষ্ণা গোল করে প্রথমে দলকে এগিয়ে দেন। অপরদিকে প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে, পেনাল্টি থেকে গোল করে, লাল-হলুদকে সমতায় ফেরান তাদের গ্রিক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিয়স দিমানতাকস। কিন্তু ৬৯ মিনিটের মাথায়, ফ্রিকিক থেকে আহমেদ জাহুর ভাসানো বল থেকে হেড করে যান ওড়িশার দীর্ঘদেহী ডিফেন্ডার মুর্তাদা ফল। ফলে ওড়িশা এফসি তাদের ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ গোলে পরাস্ত করে। এই ম্যাচে হারের পর ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার বলেন, “আমরা আজ যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলেছি। বেশি সুযোগ তৈরি করে, ওড়িশা এফসিকে আমরা প্রচুর সমস্যায় ফেলেছি। একটা সময়ে ওরা অপেক্ষা করছিল যে কখন আমরা একটা ভুল করব আর সেখান থেকে ওরা পাল্টা আক্রমণ শুরু করবে। তবে দুর্ভাগ্যবশত, একটি পাল্টা আক্রমণেই গোল করে যান রয় কৃষ্ণা। তবে এই জায়গাটা মেরামতির কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি ইতিমধ্যেই”।
গোলের একঝাঁক সুযোগ পেয়েও, সেই সুযোগ হাতছাড়া হয় এই ম্যাচে। সেই নিয়ে অস্কার বলেন, “আমরা অনেক সুযোগ মিস করেছি। তবে খেলা পুরোপুরি আমাদের দখলেই ছিল। কিন্তু ওরা যখন ১-০ গোলে এগিয়ে যায়, তখন আমাদের কাছে কাজটা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। খেলার গতি কমিয়ে, পাল্টা আক্রমণ তুলে আনছিল ওড়িশা ফুটবলাররা। এটাই ওদের স্ট্র্যাটেজি ছিল”। সামনেই ইস্টবেঙ্গলের এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ এবং নভেম্বরে আন্তর্জাতিক বিরতিও রয়েছে। এই বিরতিকে কাজে লাগিয়ে, আইএসএল লড়াইয়ে ফিরে আসতে চান ব্রুজো। তাদের পরবর্তী ম্যাচ ৯ নভেম্বর মহমেডান স্পোর্টিঙের বিরুদ্ধে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “আমি বিরতি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছি না। আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফলাফলের প্রয়োজন। তবে নতুন কোচের নতুন ধারণাগুলোকে ফুটবলারদের মানিয়ে নেওয়ার জন্য এই বিরতির প্রয়োজন। তবে আমাদের এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, ছয়টি ম্যাচ খেলে আমাদের পয়েন্ট এখনও শূন্য। আমাদের হাতে রয়েছে এখনও ১৮টি ম্যাচ। তার মধ্যে সেরা ছয়ে শেষ করতে হলে দশটি ম্যাচে আমাদের জিততে হবে। আমরা এসব কিছুই হিসেবে রাখছি”।
অপরদিকে টানা ছয় ম্যাচে হেরে মনমরা সমর্থকেরা। তাদের উদ্দেশ্যে কোচ বলেন, “আমরা খুব শিগগিরই ফিরে আসব, আমাদের দলের উপর বিশ্বাস রাখুন। কারণ আপনারাই এই দলের সবকিছু। আসা করছি এই পরিস্থিতি বদলানোর জন্য আমরা আরও ভালো কিছু করবই। তাই আপনারা দলের সাথে থাকুন”।
আইএসএল
ISL 2024/25: আইএসএলে হারের ‘ডবল হ্যাটট্রিক’ ইস্টবেঙ্গলের
রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: ইতিমধ্যেই বদল হয়েছে কোচ। কার্লেসের পরিবর্তে দলের দায়িত্ব সামলাতে এসেছেন স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজো। তবে কোচ বদল হলেও, ভাগ্য বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি লাল-হলুদ ব্রিগেডের। ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে ১-২ গোলে হেরে, টানা ছয় ম্যাচ এবং মরশুমে টানা আট ম্যাচে হারের মুখে দেখল ইস্টবেঙ্গল। ওড়িশার হয়ে গোল করেন রয় কৃষ্ণা ও মোর্তাদা ফল এবং ইস্টবেঙ্গলের হয়ে পেনাল্টি থেকে একমাত্র গোলটি করেন দিমানতাকোস।
ম্যাচ হারলেও, খেলার ধরনে পরিবর্তন দেখা যায় ইস্টবেঙ্গলের। ডিফেন্সিভ খোলোস থেকে বেরিয়ে যথেষ্ট আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে তাঁরা। প্রথম ১০ মিনিটে নিরন্তর আক্রমণ চালাতে থাকে লাল-হলুদ ফুটবলাররা। যার ফলে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই মাদিহ তালালের বাড়ান ক্রস থেকে হেডে গোল করে ফেলেছিলেন অধিনায়ক সাউল ক্রেসপো। তবে ফাউলের কারণে বাতিল হয় সেই গোলটি। এছাড়াও বেশ কয়েকবার গোলমুখি আক্রমণ তুলে এনে, ওড়িশা গোলরক্ষককে পরীক্ষার মুখে ফেলে দিয়েছিলেন দিমানতাকোস, তালালরা। তবে গোলমুখ খুলতে পারেননি তাঁরা। অপরদিকে ১১ মিনিটে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন হিজাজী মাহের। ম্যাচের ২০ মিনিটের মাথায় রয় কৃষ্ণার একটি অনবদ্য গোলমুখী শট বাঁচান আনোয়ার আলি। তবে ম্যাচের ২২ মিনিটে, সেই রয় কৃষ্ণার করা গোলেই, ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ওড়িশা এফসি। তারপরে বেশ কয়েকবার দুই দলই তাদের আক্রমণ তুলে আনতে থাকে এবং তারই মাঝে ৩৬ মিনিটে নিজের এবং দলের দ্বিতীয় গোলটি করে ফেলেছিলেন রয় কৃষ্ণা। তবে অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল করা হয়। এরপর সংযোজিত সময়ের খেলায় বক্সের ভেতর থেকে পেনাল্টি আদায় করে নেন মাদিহ তালাল। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান দিমানতাকোস। প্রথমার্ধের শেষে ১-১ ফলাফলে সাজঘরে ফেরে দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে, দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা বজায় রাখে। বেশ কয়েকবার গোলকেন্দ্রিক আক্রমণ তুলেও আনেন ফুটবলাররা, তবে গোল তুলে আনতে পারেননি কেউই। ম্যাচের ৫২ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে একটি শট নেন রয় কৃষ্ণা তবে সেই শট বার উঁচিয়ে চলে যায়। অপরদিকে ৬৭ মিনিটে একটি শট নেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার নন্দকুমার কিন্তু তেকাঠিতে রাখতে সক্ষম হননি তিনি। তার পরের মিনিটেই, অময় রানাওয়াড়েকে ফাউল করে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন প্রভাত লাকড়া। ফলে ফ্রিকিক পায় ওড়িশা এফসি। সেই ফ্রিকিক থেকেই ম্যাচের ৬৯ মিনিটে, আহমেদ জাহুর ভাসানো ক্রসে হেডে বল জালে জড়িয়ে দিয়ে যান ওড়িশা রক্ষণের ফুটবলার মোর্তাদা ফল। ফলে ১-২ গোলে আবারও ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে অস্কার ব্রুজোর দল। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে মেজাজ হারিয়ে, আহমেদ জহুকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান প্রভাত লাকড়া। ম্যাচের ৮১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়ে গেছিলেন দিয়েগো মরিসিও, তবে তার শট রুখে দেন ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক প্রভসুখান গিল। এর পরে বেশ কয়েকবার গোলকেন্দ্রিক শট নিয়েছিলেন ওড়িশা ফুটবলাররা তবে সেগুলি সব চলে জয় বার উঁচিয়ে। শেষের দিকে কয়েকবার ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা আক্রমণ তুলে আনলেও, গোল পরিশোধ করতে পারেননি তাঁরা। অবশেষে ১-২ গোলে ম্যাচ হেরে, হারের “ডাবল হ্যাটট্রিক” পূর্ণ করল অস্কার ব্রুজোর ইস্টবেঙ্গল দল।
আইএসএল
ISL 2024/25: ঘরের মাঠে এগিয়ে গিয়ে ম্যাচ হার মহামেডানের
রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: প্রথমে মোহনবাগান এবারে কেরালা। পরপর দুই ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হয় আন্দ্রে চেরনিসভের মহামেডান দলকে। রবিবার প্রথমে এক গোলে এগিয়ে গিয়েও অবশেষে ক্বমে পেপরা এবং জেসাস জিমিনেজের করা গোলে ২-১ গোলে ঘরের মাঠে ম্যাচ হারতে হয় সাদা-কালো ব্রিগেডকে।
ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই নিজেদের আক্রমণাত্মক ছন্দে ফুটবল খেলা শুরু করে দিয়েছিল কেরালা ব্ল্যাস্টার্স দলের ফুটবলাররা। দুই মিনিটের মাথায় বক্সের একটু বাইরে থেকে গোলের দিকে বাঁক খাওয়ান একটা শট নিয়েছিলেন কেরালা দলের উইঙ্গার নোয়া সাদাউই, তবে বার উঁচিয়ে চলে যায় সেই বলটি। অপরদিকে ৭ মিনিটে প্রথম আক্রমণ তুলে আনে মহামেডান স্পোর্টিং। বাম প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে উঠে আসা বিকাশ একটি শট নেন। সেই শটে সেরম জোর ছিলনা, ফলে গোলরক্ষকের সেই বল তালুবন্দি করতে বিশেষ সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি। রুদ্ধশ্বাস ফুটবল খেলতে থাকে দুই দলের ফুটবলাররাই। যার ফলে মুহুর্মুহু হলুদ কার্ড দেখে তাঁরা। অপরদিকে ম্যাচের ২৭ মিনিটের মাথায়, বক্সের ভেতর ফ্রাঙ্কাকে ফাউল করে বসেন কেরালা গোলরক্ষক সোম কুমার। ফলে পেনাল্টি পেয়ে যায় সাদা-কালো ব্রিগেড। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে ১-০ গোলে প্রথমার্ধে দলকে এগিয়ে দেন কাসিমোভ। এর পরে বেশ কয়েকবার সাদা-কালো রক্ষণে আক্রমণ তুলে এনেছিল কেরালার ফুটবলাররা তবে গোল তুলে আনতে পারেনি তাঁরা। ফলে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে সাজঘরে যায় আন্দ্রে চেরনিসোভের দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আক্রমণে উঠে আসতে থাকে মহামেডান। ফ্রাঙ্কার একটা গোলমুখি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৫০ মিনিটে আবারও শট নেন গোল করে এগিয়ে দেওয়া ফুটবলার কাশিমোভ তবে সেই শট অনেকটাই বাইরে ছিল। তারপর ধীরে ধীরে আক্রমণে উঠে আসতে শুরু করে দেয় কেরালা। ৫৬ মিনিটে নোয়ার একটি দূরপাল্লা শট রুখে দেন সাদা-কালো গোলরক্ষক। ৫৯ মিনিটে, ফ্রাঙ্কা একটি সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গেছিলেন ব্যবধান বাড়ানোর তবে তার শট বার উঁচিয়ে বাইরে চলে যায়। অবশেষে ৬৬ মিনিটে লুনার বাড়ান ক্রস বক্সের ভেতর সুন্দরভাবে বাড়িয়ে দেন নোয়া এবং সেই বলকে জালে জড়িয়ে দিতে সক্ষম হন ক্বমে পেপরা। এই গোলের ফলে সমতায় ফেরে কেরালা ব্লাষ্টার্স। তারপরেই ম্যাচের ৭১ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন নোয়া। গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েও সেই বল জালে জড়াতে বিফল হন তিনি। তবে অপেক্ষা বেশিক্ষণ করতে হয়নি তাদের। ৭৪ মিনিটে, নাওচা সিংহের বাড়ান ক্রস থেকে জেসাস জিমিনেজের হেডে বল জালে জড়িয়ে দিয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে ফেলে কেরালা। অপরদিকে দলের খেলায় ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠে বোতল ছুড়তে থাকেন মহামেডান সমর্থকেরা। ফলে খেলা বন্ধ রাখা হয় কিছুক্ষণের জন্য। ম্যাচের একদম শেষের দিকে একটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে মহামেডান। যার ফলে ঘরের মাঠে ২-১ পরাস্ত হতে হয় সাদা-কালো ব্রিগেডকে।
আইএসএল
ISL 2024/25: ৪০০তম কলকাতা ডার্বির রং সবুজ-মেরুন। পরপর পাঁচ ম্যাচে হেরে লজ্জার রেকর্ড ইস্টবেঙ্গলের…
নিজস্ব প্রতিনিধি: শনিবার মরসুমের প্রথম কলকাতা ডার্বিতে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। ইতিমধ্যেই ডুরান্ড কাপে বাতিল হয়েছিল বড় ম্যাচ। কিন্তু আইএসএলের বড় ম্যাচেই বাজিমাত সবুজ-মেরুনের। এছাড়াও এটি ছিল ইস্ট-মোহনের ৪০০তম সাক্ষাৎলার। দুই অজি ফুটবলার জেমি ম্যাকলারেন এবং দিমিত্রি পেত্রাতোসের করা গোলে ইস্টবেঙ্গলকে ২-০’তে হারিয়ে কলকাতা ডার্বির রং সবুজ-মেরুন। এর পাশাপাশিই প্রথমবারের জন্য আইএসএলের প্রথম পাঁচ ম্যাচে হারের মুখ দেখল লাল-হলুদ বাহিনী।
এদিন ম্যাচ শুরুর তিন মিনিটের মাথায় প্রথম আক্রমণ তুলে এনেছিল মোহনবাগান। তার পরেই কর্নার পায় সবুজ-মেরুন। তবে সেখান থেকে কাজের কাজ হয়নি কিছুই। এরপর মুহুর্মুহু আক্রমণ তুলতে থাকে বাগান ফুটবলাররা। অনেক ছোট ছোট পাস খেলে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছিল বাগান ফুটবলাররা। তবে খেলার গতির বিপরীতে গিয়ে ইস্টবেঙ্গলও গোলের সুযোগ তৈরি করছিল। আসতে আসতে ইস্টবেঙ্গলও বল ধরে খেলার চেষ্টা চালাচ্ছিল। অপরদিকে ম্যাচের ১৫ মিনিটে বক্সের ভেতরে একটি শট নেন জেমি ম্যাকলারেন। বাঁ প্রান্ত বরাবর বারংবার আক্রমণ তুলে আনছিল লিস্টন কোলাসো। ম্যাচের ১৮ মিনিটে গোল পেয়ে গিয়েছিলেন মানবীর সিং। তবে অফসাইডের কারণে বাতিল করা হয় সেটি। অপরদিকে তালালের একক দক্ষতায় ইস্টবেঙ্গল প্রথম কর্নার পেলেও সেটির ফায়দা তুলতে পারেননি তারা। ম্যাচের ২৬ মিনিটে প্রায় গোল পেয়ে গেছিলেন মাদিহ তালাল। তবে অল্পের লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় তাঁর শট। ম্যাচের ৩০ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর দারুন শট রুখে দেন লাল-হলুদ গোলরক্ষক প্রভসুখান গিল। জলপানের বিরতির পরেই আরেকটি ফ্রিকিক পায় ইস্টবেঙ্গল তবে সেখান থেকেও কিছু আশানুরূপ ফল করতে পারেননি ফুটবলাররা। অবশেষে ম্যাচের ৪১ মিনিটে গোল করে যান মোহনবাগানের অজি তারকা জেমি ম্যাকলারেন। ডানপ্রান্ত থেকে মানবীরের ডিফেন্স চের পাসকে জালে জড়িয়ে দেন তিনি। ফলে প্রথমার্ধের শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ইস্টবেঙ্গল দলে পরিবর্তন করেন হেড কোচ ব্রুজো। ডেভিডকে তুলে পিভি বিষ্ণুকে মাঠে নামান লাল-হলুদ হেড স্যার। অপরদিকে প্রথমার্ধ যেখানে শেষ করেছিল মোহনবাগান, দ্বিতীয়ার্ধেও সেই খেলা বজায় রাখে বাগান ফুটবলাররা। বামপ্রান্ত বরাবর বারংবার ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন লিস্টন। অপরদিকে ম্যাচের ৫৬ মিনিটে ফাউল করে বসেন সবুজ-মেরুনের রক্ষণের ফুটবলার আলবার্তো রদ্রিগেজ। ফলে হলুদ কার্ড দেখতে হয় তাঁকে। ৫৯ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের পাওয়া কর্নার থেকে প্রতি আক্রমণে উঠে আসে মোহনবাগান। সেখান থেকে লিস্টনের গোলমুখি শট রুখে দেন ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক গিল। এদিনের ম্যাচে একদমই নিজের চেনা ছন্দে খেলতে পারছিলেন না লাল-হলুদ অধিনায়ক ক্লেইটন সিলভা। ফলে ম্যাচের ৬৪ মিনিটে, তাঁর পরিবর্তে মাঠে নামেন গতবার আইএসএলের গোল্ডেন বুট বিজয়ী দিমিত্রিয়স দিমানতাকোস। অন্যদিকে ৭০ মিনিটের পরে মাঠে নামেন বাগান জনতার নয়নের মণি দিমিত্রি পেত্রাতোস। মাঠের বাইরে চলে যান প্রথমে মোহনবাগানকে গোল করে এগিয়ে দেওয়া জেমি ম্যাকলারেন। অপরদিকে পরিবর্তন আনে ইস্টবেঙ্গলও। নন্দকুমার এবং রাকিপের জায়গায় মাঠে আসেন নুঙ্গা এবং জেসিন টিকে। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে গ্রেগ স্টুয়ার্টের একটি অনবদ্য শট একটুর জন্য বার ঘেষে চলে যায়। তবে ম্যাচের শেষের দশ মিনিটে জলে উঠতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। তবে তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয় নি। উল্টে ৮৭ মিনিটে বক্সের ভিতরে দিমি পেত্রাতোসকে ফাউল করে বসেন গোলরক্ষক প্রভসুখন গিল। এর ফলে পেনাল্টি পেয়ে যায় মোহনবাগান। সেই পেনাল্টি থেকে জোড়ালো শটে বল জালে জড়িয়ে ব্যবধান বাড়ান পেত্রাতোস। গোলের পরে দেখা যায় তাকে সমর্থকদের দিকে উদ্দেশ্য করে তাঁর সেই চেনা সেলিব্রেশন করতে। অবশেষে ২-০ গোলে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে, লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল হোসে মোলিনার দল।
-
আইএসএল10 months ago
বড় ধাক্কা কেরালা ব্লাস্টার্সের
-
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট1 year ago
ICC CWC 2023: বিশ্বকাপে যুগ্ম দ্রুততম ১০০০ রোহিতের, ভাঙলেন ছয়ের রেকর্ড…
-
ফুটবল12 months ago
এএফসি কাপ আয়োজনের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে
-
ফুটবল11 months ago
এশিয়ান কাপের সম্ভাব্য দল ঘোষণা করল ভারত
-
ফুটবল1 year ago
কলকাতায় প্রাক মরশুম প্রস্তুতি শুরু করল ইন্টার কাশি
-
ইস্টবেঙ্গল1 year ago
দলে আমূল পরিবর্তন, তবুও সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচেই হার ইস্টবেঙ্গলের
-
ফুটবল11 months ago
ঘরের মাঠে অসহায় আত্মসমর্পণ, এএফসি কাপে স্বপ্নভঙ্গ মোহনবাগানের
-
ফুটবল1 year ago
ফিফা বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে ভারতের প্রথম দুটি হোম ম্যাচে আয়োজনের দায়িত্ব পেল ভুবনেশ্বর এবং গুয়াহাটি