রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ঘিরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। আর এই অবস্থাতেই বাংলাদেশে গিয়ে জটিলতায় পড়তে হয় ভারতীয় তীরন্দাজদের। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য বাংলাদেশ পৌঁছলে একাধিক হয়রানীর সম্মুখীন হন খেলোয়াড়রা।
প্রতিযোগিতায় আশানুরূপ ফল করেছে ভারত। মোট দশটি পদক জিতে প্রতিযোগিতায় পদক তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন ভারতীয় তীরন্দাজরা। এরপর দেশে ফেরার জন্য ঢাকা শহর থেকে দিল্লিগামী বিমান ধরার কথা ছিল তাদের। কিন্তু সমস্যার সূত্রপাত এখান থেকেই। প্রথমে কোনরকম নোটিশ না দিয়েই দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করানো হয় ভারতীয় খেলোয়াড়দের । প্রায় শেষ মুহূর্তে গিয়ে তাদের জানানো হয় বিমান বাতিল হয়েছে। কিন্তু পরিবর্ত বিমানের ব্যবস্থা করা যায়নি। তার ফলে প্রায় ১০ ঘণ্টা বিমানবন্দরে কাটাতে হয় ভারতীয় খেলোয়াড়দের। ভারতীয় দলে অভিষেক বর্মা, জ্যোতি সুরেখার মতো সিনিয়র তীরন্দাজ ছিলেন। অলিম্পিক্সে খেলা দীপিকা কুমারী, ধীরজ বোম্মাদেভারাও গিয়েছিলেন বাংলাদেশে। রাত সাড়ে নটা থেকে দুটো পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর অবশেষে একটি বাস দেওয়া হয় তাদের এবং একটি হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা। কিন্তু সেখানেও ঘটে বিপত্তি। বাসে কোন জানলা না থাকার কারণে অসুস্থ বোধ করছিলেন অনেকেই। এরপরেও যে হোটেলে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে পরিস্থিতিও ভালো ছিল না। এই অব্যবস্থা প্রসঙ্গে অভিষেক জানিয়েছেন, “যে হোটেলে আমাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা আসলে একটি ধর্মশালা ছিল। সেখানে পরিছন্নতার দিকে কোন নজরই দেওয়া হয়নি। ভজন মেয়েকে একটি ঘরে থাকতে বলা হয় এবং সেখানে একটি শৌচাগার ছিল, সেটাও অত্যন্ত নোংরা। ফলে কেউই স্নান করতে পারেনি। এরকম পরিস্থিতি হবে জানলে আমরা বিমানবন্দরেই রাত কাটিয়ে দিতে পারতাম।” তিনি আরো জানান সেখানে পৌঁছানোর পর থেকেই ভারতীয় খেলোয়াড়দের কোন ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড কাজ করছিল না। তার ফলে নিজেরাও কোনো রকম ব্যবস্থা করতে পারেননি তারা। আগামীদিন সকালবলাই বিমানবন্দরে পৌঁছে যান ভারতীয় তীরন্দাজরা। কিন্তু দিল্লিগামী বিমান ধরতে বেশ কিছুটা অতিরিক্ত সময় লেগে যায় তাদের। তার ফলের দিল্লি পৌঁছে নির্দিষ্ট শহরের জন্য যে সংযোগ বিমানের ব্যবস্থা ছিল, তা ধরতে পারেননি অনেকেই। ফলে দ্বিতীয়বার বিমানের টিকিট কাটতে হয় ভারতীয় তীরন্দাজদের। যদিও এখনো পর্যন্ত কোনো রকম ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি তাদের এমনটাই সূত্রের খবর।
