সায়ন দে, ভুবনেশ্বর: বিদেশি সমৃদ্ধ এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে দুরন্ত লড়াই করেও হার মানল মোহনবাগান। কিন্তু বাস্তব রায়ের তত্ত্বাবধানে তরুণ সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্য নয়। ধীরাজ সিংয়ের ব্যক্তিগত ভুলের খেসারত দিয়েই গোয়াকে ম্যাচ উপহার দিল মোহনবাগান। তবে সুপার কাপ শেষে বাগান টিম ম্যানেজমেন্টের মুখে হাসি ফোটালেন সালাহ-সুহেলরা। আইএসএলে দ্বিমুকুট জয়ের পর মূলত জুনিয়রদের উপরেই ভরসা রেখেছিল বাগান ম্যানেজমেন্ট। ধারে ভারে বাকি দলগুলির থেকে কমজোরী হলেও, জয়ের মানসিকতায় বিন্দুমাত্র খামতি ছিলনা তাদের। সেমিফাইনালে প্রতিযোগিতার অন্যতম শক্তিশালী দল এফসি গোয়ার কাছে ১-৩ ব্যবধানে হেরে, সুপার কাপের যাত্রা শেষ করল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। মোহনবাগানের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন সুহেল ভাট। গোয়ার হয়ে গোল পান ব্রাইসন, গুয়ারটচেনা এবং বোরহা হেরেরা।
ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে এফসি গোয়া। প্রথম মিনিটেই একটি গোলমুখী শট নিয়েছিলেন জয় গুপ্ত। পরক্ষণে আক্রমণে উঠে আসে মোহনবাগানও। ডান প্রান্ত দিয়ে গোয়া রক্ষণকে বারংবার চাপে ফেলছিলেন তরুণ উইঙ্গার সালাহউদ্দিন আদনান। অপরদিকে ম্যাচের ২০ মিনিটে কর্নার থেকে ব্রাইসন ফার্নান্দেজের গোলে এগিয়ে যায় এফসি গোয়া। তবে সমতায় ফিরতে বেশিক্ষণ লাগেনি মোহনবাগানের। ২৩ মিনিটে আশিক কুরুনিয়ানের বাড়ানো বল থেকে দলকে সমতায় ফেরান সুহেল ভাট। শেষের দিকে গোয়া নিরন্তর আক্রমণ করলেও, প্রথমার্ধে ফলাফল থাকে ১-১।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সাহালের নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন আকাশ সাংওয়ান। তারপর ৪৯ মিনিটে গোলরক্ষক ধীরাজ সিংয়ের ভুলে পেনাল্টি পায় গোয়া। সেখান থেকে গোল করে ব্যবধান ২-১ করেন ইকার গুয়ারটচেনা। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে কর্নার থেকে অলিম্পিক গোল করে ব্যবধান ৩-১ করেন বোরহা হেরেরা। অপরদিকে গোল পরিশোধের মরিয়া চেষ্টা চালায় মোহনবাগান। ৬৪ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ ছিল সালাহউদ্দিনের কাছে। গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও, সালাহউদ্দিনের গোলমুখী শট রুখে দেন আকাশ সাংওয়ান। শেষ পর্যন্ত এফসি গোয়ার কাছে ১-৩ গোলে পরাজিত হয়ে সুপার কাপ থেকে বিদায় নিল মোহনবাগান।