সায়ন দে, কাঠমান্ডু: নেপালে ফুটবলের প্রতি ভালবাসা অনেকটাই রয়েছে সমর্থকদের মধ্যে। সাফ মহিলা ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচেও নেপালের ঘরের দল এপিএফ এফসির ম্যাচে স্টেডিয়াম ভরিয়েছেন অসংখ্য ফুটবলপ্রেমীরা। এবারে নেপালের ফুটবলের প্রসারের জন্য এগিয়ে এল টিপটো স্পোর্টস একাডেমি। গ্রামাঞ্চল থেকে বাচ্চাদের এই একাডেমিতে নিয়ে এসে তাদের ফুটবলের প্রতি আগ্রহ গড়ে তোলাই লক্ষ্য রয়েছে এই একাডেমির। এছাড়াও জাতীয় দলের জন্যও ফুটবলার তুলে আনতে ‘ফুটবল যাত্রী’ নামে একটা উদ্যোগও নিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার সেই সুন্দর একাডেমিতে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল মহিলা দলের হেড কোচ অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুসকে। বিশ্বমানের এই একাডেমি ঘুরে দেখে খুবই আপ্লুত লাল-হলুদের হেড কোচ। পাশাপাশি এখানের পরিকাঠামো দেখার পর, ভারতেও যেন এমন উন্নতমানের একাডেমি তৈরি করা হয় ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির স্বার্থে, সেই কথা নিজের মুখেই বললেন অ্যান্থনি। তিনি বলেন, “এমন সুন্দর একাডেমিতে আসতে পেরে খুবই ভাল লাগছে। আমি যখন রাস্তা দিয়ে এলাম তখন জায়গাটা সাধারণ লাগলেও, ভেতরে ঢোকার পর মনে হল আমি স্বর্গে চলে এসেছি। এখানের পরিকাঠামো দেখে আমাদেরও শেখা উচিত। যেভাবে তারা গ্রামাঞ্চল থেকে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে এসে ফুটবলের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়াচ্ছেন, সেটা প্রশংসনীয়। নেপালের ফুটবলের উন্নতির জন্যও দীর্ঘবছর ধরে কাজ করছে এই একাডেমি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে তারা প্রতিভাবান ফুটবলারদের তুলে আনেন। এরম একাডেমিগুলোই ছোট বাচ্চাদের এবং তাদের পরিবারকে উজ্জীবিত করে ফুটবলকে ভালবাসার জন্য। আশা করব তারা এভাবেই এগিয়ে চলবে এবং চাইব যেন আমাদের দেশেও এমন একাডেমির ব্যবস্থা করা হয় যেখান থেকে আরও ভাল ফুটবলাররা উঠে আসতে পারবে”।
ফুটবল যাত্রী নামের উদ্যোগের প্রসঙ্গে এই টিপটো স্পোর্টস একাডেমির কর্ণধাররা বলেন, “এটা একটা সামাজিক ক্যাম্পিং। যেটা আমাদের টিপটো স্পোর্টস একাডেমি চালাচ্ছে। শহরাঞ্চলে ফুটবলের প্রসারের থাকলেও গ্রামাঞ্চলে সেভাবে ফুটবলের প্রচার করা হয়না। বিশেষত সেখানে বাচ্চারা ফুটবল সম্পর্কে সেভাবে অবগত থাকে না। আমাদের কাজ সেইসকল বাচ্চাদের খেলাধুলোর প্রতি আগ্রহী করা এবং এটা তাদের বোঝানো যে খেলাধুলো কতটা প্রয়োজনীয়”। তারা আরও বলেন, “আগামী দিনে ফুটবল যাত্রী খেলাধুলোর প্রসারের জন্য নেপালে আরও কাজ করবে। ইতিমধ্যেই আমরা নেপালের ২০টির ও বেশি জায়গায় কাজ করেছি। আমদের লক্ষ্য রয়েছে ফুটবলের প্রতি সেই উন্মাদনাটা নেপালের ফুটবলপ্রেমী মানুষদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া এবং বাচ্চাদের খেলাধুলোর প্রতি আরও আকৃষ্ট করা”। সাফ মহিলা ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে নেপালের এপিএফ এফসি। সেই ম্যাচের প্রসঙ্গে তারা বলেন, “এপিএফ দলটা নেপালের শক্তিশালী দল। তারা তাদের লিগে দাপটের সঙ্গে ফুটবল খেলে। কিন্তু ভারতে ইস্টবেঙ্গলও আইডব্লুএল চ্যাম্পিয়ন। ফলে ফাইনালের লড়াইটা যথেষ্ট হাড্ডাহাড্ডি হবে। কিন্তু আমরা চাইবো নেপালের দল জিতুক”।
