নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রথম লেগের ম্যাচে জামশেদপুরে ঘরের মাঠে গিয়ে ১-২ ব্যবধানে ম্যাচ হাতে হয়েছিল মোহনবাগানকে। তবে ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি খেলতে নামার আগে কিছুটা সুবিধেজনক জায়গায় ছিল জোসে মোলিনার দল। কার্ড সমস্যার কারণে এদিন জামশেদপুর দলে ছিলেন না রক্ষণের দুই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার স্টিফেন এজে এবং আশুতোষ মেহতা। ছিলেন না মোবাসীর রহমানও। তবুও নব্বই মিনিটে জামশেদপুরের রক্ষণকে পরাস্ত করতে পায়ের ঘাম মাথায় উঠেছিল জেসন কামিন্স, জেমি ম্যাকলারেনদের। এদিকে নিজেদের ঘরের মাঠে এগিয়ে থাকার সুবাদে, যুবভারতীতে শুরু থেকেই রক্ষণকে আটোসাটো রেখেই ফুটবল খেলতে শুরু করে খালিদ জামিলের দল। তবুও একাধিক সুযোগ তৈরি করেছিল মোহনবাগান। প্রথমার্ধে একাই হ্যাটট্রিক করতে পারতেন কামিন্স। তবে দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করেন তিনি। শেষ মুহুর্তে আপুইয়ার দুর্দান্ত গোলে ২-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে, টানা তৃতীয়বারের জন্য আইএসএলের ফাইনালে উঠল মোহনবাগান।
ম্যাচের ৭ মিনিটের মাথায় একটি মাটি ঘেঁষা গোলমুখী শট নিয়েছিলেন বাগান ফুটবলার অনিরুদ্ধ থাপা। তবে সেই শট রুখতে অসুবিধে হয়নি জামশেদপুর গোলরক্ষক আলবিনো গোমসকে। ১৬ মিনিটে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন জেসন কামিন্স। বক্সের মধ্যে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়েও উড়িয়ে দেন তিনি। ১৯ মিনিটে আরও একটা সুযোগ পায় মোহনবাগান। কর্ণার থেকে উড়ে আসা বলে শট নেন টম অলড্রেড। ফিরতি বলে জেমি ম্যাকলারেনের দুরন্ত ভলি গোল লাইন থেকে বাঁচিয়ে দেন সৌরভ দাস। ৩৫ মিনিটে আশিকের বাড়ানো বল বক্সের মধ্যে পেয়ে গিয়েছিলেন কামিন্স। কিন্তু দুর্বল শটে কাজের কাজটা করে উঠতে পারেননি তিনি। মিনিট দুয়েক পরেই আরও একবার সুযোগ নষ্ট করেছেন সেই কামিন্স।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জামশেদপুর ফুটবলার প্রনয় হালদারের হাতে বল লাগায় পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান জেসন কামিন্স। অপরদিকে ম্যাচের ৫৯ মিনিটে জেমি ম্যাকলারেনের হেডার বাঁচিয়ে দেন আলবিনো। কিছুক্ষণ পরেই একটি গোলমুখী শট নিয়েছিলেন আশিস রাই, তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে ফাঁকা শট বাইরে মেরে বসেন অনিরুদ্ধ থাপা। তবে যুবভারতী অপেক্ষা করছিল এক দর্শনীয় গোল দেখার জন্য। ম্যাচের সংযোজিত সময়ে বক্সের বাইরে থেকে বুলেট শট জামশেদপুর গোলরক্ষক আলবিনো গোমসকে পরাস্ত করে বল জালে ঢোকান আপুইয়া। ফলে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ফাইনালে খেলার টিকিট পাকা করেন বাগান ফুটবলাররা।