রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: ২০২৫ এর শুরুটা দারুন হয়েছে শুভমান গিলের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। তবে তার এই ইনিংস না থাকলে হয়তো বেশ কিছুটা ভুগতে হত ভারতকে। কারণ শুরুর দিকেই পরপর চারটি উইকেট হারায় ভারত। রোহিত শর্মা বিরাট কোহলি শ্রেয়াস আইয়ার এবং অক্ষর প্যাটেলের চলে যাওয়ার পরে কে রাহুলের যোগ্য সঙ্গত ছাড়া হয়তো এই ইনিংস খেলা সম্ভব ছিল না গিলের পক্ষে। আর তাই একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অষ্টম সেঞ্চুরি পেতে বিশেষ সমস্যায় পড়েননি গিল।
ভারতের সামনে টার্গেট ছিল ২৩০। পঞ্চম জুটিতে রাহুল এবং দিল যোগ করেন গুরুত্বপূর্ণ ৮৭ রান। তবে ইংল্যান্ড সিরিজে কম রানের জন্য যে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল রাহুলের বিরুদ্ধে প্রায় সেটার পুরোটাই পুষিয়ে দিলেন এদিন তিনি নিজের পারফরমেন্স দিয়ে। শুধুমাত্র স্টাম্পের পিছনে থেকেই নয় এমনকি গোটা ক্রিকেট দুনিয়ার মন জিতে নিলেন ক্রিজে তরুণ গিলকে সময় দিয়ে। ৪৭ ইরানে দাঁড়িয়েও নিজের অর্ধসেঞ্চুরির পরোয়া না করে সতীর্থকে সেঞ্চুরি পূরণ করতে দিয়ে এক নতুন উদাহরণ তৈরি করলেন রাহুল। আর সেখানেই পার্থক্য করলেন হার্দিক পান্ডিয়ার সাথে। তখন পরবর্তী ব্যাটার ছিলেন পান্ডিয়া। একাধিক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে তার পার্টনার মাইলস্টোনের খুব কাছাকাছি থাকলেও নিজেই ম্যাচ শেষ করেছেন পান্ডিয়া। মাত্র দু বছর আগের ঘটনা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তিলক বর্মা দাঁড়িয়েছিলেন ৪৯ রানে। ছয় মেরে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন পান্ডিয়া। কিন্তু তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছিল তাকে নিয়ে। এমনকি তাকে স্বার্থপর আখ্যা দিতেও ছাড়েনি সোশ্যাল মিডিয়া। আর তাই বৃহস্পতিবার দুবাইতে অনেকেই চিন্তিত ছিলেন যে কে এল রাহুল আউট হলে হয়তো সেঞ্চুরি ছোঁয়া হবে না গিলের। সেই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক বার্তাও দিয়েছেন ক্রিকেট অনুরাগীরা। একজন লিখেছেন ধন্যবাদ রাহুল আউট না হওয়ার জন্য এবং পান্ডিয়ার থেকে গিলের সেঞ্চুরি কেড়ে নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করানোর জন্য। সেখানে আরেক অনুরাগী লিখেছেন পান্ডিয়ার শেখা উচিত রাহুলের থেকে কিভাবে টিম গেম খেলতে হয়। ১১ টি বাউন্ডারি এবং চারটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো গিলের দুরন্ত ইনিংস নিঃসন্দেহে ক্রিকেট অনুরাগীদের অন্যতম প্রিয় হিসেবে মনে থাকবে।