রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর। এদিনেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে হারতে হয়েছিল বিরাট কোহলি, রহিত শর্মাদের। কিন্তু দুবছর বাদে আবারও সেই নভেম্বর মাসেই বিশ্বজয় করল ভারত। তবে সেই মুকুট জয় করল এবারে হরমনপ্রীত কৌরের ভারতীয় মহিলা দল। ২০০৫ এবং ২০১৭ সালে, ট্রফির কাছে এসেও ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল। কিন্তু এবারে নবি মুম্বইয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে, প্রথমবারের জন্য বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হল ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল।
রবিবার নবি মুম্বইয়ে টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক লরা উলফার্ট। বৃষ্টিভেজা মুম্বইয়ে ধীরে ধীরে রান গতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মন্ধানা ও শেফালি বর্মা। ১৮ ওভারের মধ্যে ১০০ রানের পার্টনারশিপও গড়ে দুজনে। তারপরেই আউট হন স্মৃতি (৪৫)। ভারতের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান শেফালি। ৭৮ বলে ৮৭ রানের ইনিংস খেলেছেন হরিয়ানার এই মেয়েটি। এদিকে রান পাননি জেমাইমা রডরিগেজ (২৪)। ব্যর্থ হলেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত (২০)। তবে ২৪ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে, রানের গতিকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন রিচা ঘোষ। ৫৮ রানের ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি শর্মাও। যার ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ভারতের রান গিয়ে দাড়ায় ২৯৮ রানে।
জবাবে ব্যাট করতে এসে শুরুতে দারুন করেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। ফাইনালে অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরি করে গেলেন লরা উলফার্ট। অন্যদিকে ২৩ রান করেই রানআউট হন তাজমিন ব্রিটস। রানের খাতা না খুলেই ডাগআউটে ফেরেন আনেকে বশকে। কিন্তু সুনে লুসকে নিয়ে দিব্যি দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন লরা। কিন্তু তখনই বল হাতে জ্বলে উঠলেন শেফালি। বোলিংয়ে প্রায় পরপর দুটি উইকেট তুললেন। ফেরালেন মারিজান ক্যাপকে। যদিও ম্যাচের ১৭তম ওভারে ১৭ রান হজম করতে হয় রাধা যাদবকে। ১০১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন লরা উলফার্ট। তৃতীয় প্রয়াসে তার ক্যাচটি ধরে যেন ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনলেন অমনজ্যোত। পরবর্তীতে দক্ষিণ আফ্রিকার আর কোনও ব্যাটার এই ম্যাচে দাগ কাটতে পারেননি। যেই সুবাদে ৫২ রানে জয় পায় ভারতের মহিলারা। অন্যদিকে হাফসেঞ্চুরির পাশাপাশি বল হাতে ৫ উইকেটও তুললেন দীপ্তি শর্মা।
