রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে, ইন্টার মিলানের কাছে ৩-৪ ব্যবধানে পরাজিত হল বার্সেলোনা। এর আগে প্রথম পর্বে ঘরের মাঠে ৩-৩ ব্যবধানে ম্যাচ শেষ করেছিল হ্যান্সি ফ্লিকের দল। দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে ইন্টার মিলানের ঘরের মাঠ সান সিরোতে অতিরিক্ত সময়ে ফ্রাটেসির গোলে শেষ হাসি হাসল সিমোনে ইনজাঘির দল। পাশাপাশি ২০২৩ সালের পর আবারও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল তারা। এদিন ইন্টার মিলানের হয়ে গোল করেন লউতারো মার্টিনেজ, চালানৌঘলু, আসের্বি এবং ফ্রাটেসি। বার্সেলোনার হয়ে গোল পান এরিক গার্সিয়া, ড্যানি অলমো এবং রাফিনহা। এছাড়াও এই ম্যাচের দুই পর্ব মিলিয়ে মোট গোলসংখ্যা ১৩টি। পিএসজি বনাম আর্সেনাল ম্যাচের বিজয়ীর বিরুদ্ধে ফাইনালে খেলবে ইন্টার মিলান।
এর আগে বার্সেলোনার ঘরের মাঠেও শুরুতেই ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইন্টার মিলান। ঠিক একইভাবে মঙ্গলবার রাতে নিজেদের ঘরের মাঠে প্রথমে লউতারো মার্টিনেজ এবং হাকান চালানৌঘলুর পেনাল্টি থেকে করা গোলে, ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় সিমোনে ইনজাঘির দল। আগ্রেগেটে ৫-৩ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইন্টার। তবে প্রথমার্ধে বার্সেলোনার আক্রমণ নিস্প্রভ থাকলেও, দ্বিতীয়ার্ধে জলে ওঠেন ইয়ামাল, রাফিনহারা। দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই ৫৪ মিনিটের মাথায় এরিক গার্সিয়া গোল করে ব্যবধান কমান বার্সেলোনার। ৬০ মিনিটে ড্যানি অলমোর গোলে সমতায় ফেরে বার্সা। তারপর থেকেই ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন বার্সা সমর্থকেরা। ৮৭ মিনিটে রাফিনহার গোলে সেই স্বপ্ন একপ্রকার সত্যি হবে বলেই মনে হলেও, সংযুক্তি সময় শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে আসের্বির গোলে সমতায় ফেরে ইন্টার মিলান। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। আর সেই সময় ম্যাচের নায়ক হয়ে ওঠেন ডেভিড ফ্রাটেসি। ৯৯ মিনিটে ইন্টার মিলানের জন্য জয়সূচক গোলটি এনে দেন তিনি। ম্যাচ শেষে ফ্রাটেসি বলেন, “গোল করে দলকে জেতাতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি”। অপরদিকে বার্সেলোনা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক বলেন, “জানি দলের সবাই খুব হতাশ তবে ফলাফলটা মেনে এগিয়ে যেতে হবে। কিন্তু দলের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি গর্বিত।”