Connect with us

জার্সিতেই বাবাকে বাঁচিয়ে রাখতে চান তিরি

শুভম মন্ডল: ২০১৫ সালে এটিকের হাত ধরে ভারতীয় ফুটবলে পদার্পণ করেছিলেন লুইস এসপিনোসা অ্যারোয়ো। ফুটবল ময়দানে “তিরি” নামেই অধিক পরিচিত তিনি। এটিকের পর, জামশেদপুর, মোহনবাগান হয়ে এখন তিনি মুম্বই সিটি এফসির রক্ষণের স্তম্ভ। গত মরশুমে দুরন্ত ফুটবল খেলেছেন। ফলস্বরূপ এই স্প্যানিশ সেন্টার ব্যাকের সঙ্গে আরও এক মরশুমের জন্য চুক্তি বৃদ্ধি করল মুম্বই। তবে আসন্ন মরশুমে আর নিজের নাম লেখা জার্সিতে মাঠে নামবেন না তিরি। জার্সিতে প্রয়াত বাবার নাম লিখে স্মৃতিটুকু আগলে রাখবেন। কেন এই সিদ্ধান্ত? রে স্পোর্টজকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন তিরি।

রে স্পোর্টজ: জার্সিতে বাবার নাম, কেন এই সিদ্ধান্ত?
তিরি: এটা একটা আবেগের বহিঃপ্রকাশ। বাবা বেঁচে থাকতে, সবসময় আমার নাম লেখা জার্সি পরে ঘুরতেন, গর্ববোধ করতেন। এখন বাবা সশরীরে আমার সঙ্গে নেই। কিন্তু আমি আমার ফুটবল জীবনের বাকি সময়টা বাবার নামটা বাঁচিয়ে রাখতে চাই। এবার থেকে আমার জার্সির পিছনে লেখা থাকবে “রুবিও”।

রে স্পোর্টজ: এই সিদ্ধান্ত কি পূর্বপরিকল্পিত?
তিরি: না। বাবা চলে যাওয়ার পর আমি অনেকটা বদলে গিয়েছি। বাবার হাত ধরেই আমার ফুটবল জীবনের সূচনা। তাই তাঁকে ছাড়া আমি কিছুই ভাবতে পারি না।

রে স্পোর্টজ: ফুটবলার হওয়ার পিছনে বাবার অবদান কতটা?
তিরি: সম্পূর্ণটাই বাবার অবদান। তবে বাবা কখনও আমাকে ফুটবলার হওয়ার জন্য জোর করেননি। আমার ৪ বছর বয়স থেকে, বাবা প্রতিটি ম্যাচে দর্শক হিসাবে থেকেছেন। আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। মাইলের পর মাইল গাড়ি চালিয়ে আমাকে ফুটবল মাঠে পৌঁছে দিতেন। পরিবারের আর্থিক অবস্থা সচ্ছল না থাকা সত্ত্বেও, তিনি আমার খেলার বুট কিনে দিতেন। বাবা আমার সমস্ত লড়াইয়ের শক্তি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য খেলা