সৌরভ মুখার্জী: জোর করে সউল ক্রেসপোকে খেলানো থেকে ডিফেন্ডারদের একাধিক ভুল, এই সবকিছুর খেসারত দিয়ে চেন্নাইয়ন এফসির বিরুদ্ধে ০-৩ গোলে হেরে প্রথম ছয়ে শেষ করার করার স্বপ্ন কার্যত শেষ ইস্টবেঙ্গলের। এই ম্যাচে কার্ড সমস্যায় খেলতে পারেননি অভিজ্ঞ সৌভিক চক্রবর্তী। তাঁর অভাব বারবার চোখে পড়ল এই ম্যাচে। তবে ডিফেন্সে একা লড়ে গেলেন লালচুংনুঙ্গা। যদিও ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে তিনি লাল কার্ড দেখেন। এই হারের ফলে আবার ১১ নম্বরে নামল ইস্টবেঙ্গল।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই ছন্নছাড়া ফুটবল খেলে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের আগের দিনই অনুশীলনে বোঝা গিয়েছিল সউল ক্রেসপো পুরোপুরি ম্যাচ ফিট নন। তারপরেও তাঁকে এই ম্যাচে শুরু থেকে খেলানো হল। আর তার ফলস্বরূপ প্রথমার্ধে মাঝমাঠ ঠিকঠাক খেলতেই পারল না। বিশেষ করে ১৩ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল যে আত্মঘাতী গোল হজম করে সেই আক্রমণটা শুরুই হয়েছিল সউলের মিস পাস থেকে। ২১ মিনিটে অনবদ্য গোল করে যান উইলমার জর্ডন গিল। বক্সের মধ্যে ইরফান ইয়াদওয়াদের পাস ধরে দারুণ দক্ষতায় বলটি গোলে রাখেন জর্ডন। ০-২ গোলে এগিয়ে যায় চেন্নাইয়ন। ৩৩ মিনিটে গোলের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন সেলিস। তবে বক্সের মধ্যে তাঁর বাঁ পায়ের শট দক্ষতার সঙ্গে বাঁচিয়ে দেন চেন্নাইয়ন গোলরক্ষক। ৪৩ সউলের সেই ফ্রি-কিক অনেক বাইরে দিয়ে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই হেক্টরের পরিবর্তে মাঠে আসেন প্রভাত লাকড়া। ৫৫ মিনিটে ম্যাচের সহজতম সুযোগটি নষ্ট করেন সউল ক্রেসপো। নিশুর ফ্রি-কিক গোলের একেবারে সামনে থেকে বাইরে মারেন তিনি। এরপরই ইস্টবেঙ্গলের একটি নিশ্চিত পতন রোধ করেন গোলরক্ষক প্রভসুখন গিল। ৫৮ মিনিটে গোলের খুব কাছে পৌঁছেও সাইড নেটে মারেন সেলিস। অবশেষে ৬০ মিনিটে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে আসেন ইস্টবেঙ্গলের নতুন বিদেশি মেসি বোউলি। ঠিক ছ’মিনিটের মধ্যেই বক্সের মধ্যে তাঁর হেড অল্পের জন্য বাইরে যায়। ৭৫ মিনিটে সেলিসের একটি দূরপাল্লার শট বাঁচিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে চেন্নাইয়নের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন ইস্টবেঙ্গল প্রাক্তনী ড্যানিয়েল চিমাচুকু।