Connect with us

সুপার কাপ জিতে এএফসিতে প্রতিনিধিত্ব করতে চান জামশেদপুর দলের নির্ভরযোগ্য গোলরক্ষক আলবিনো গোমস। রে স্পোর্টজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে কি বললেন তিনি? জানতে পড়ুন…

সায়ন দে, ভুবনেশ্বর: চলতি মরশুম আইএসএলে দারুন ছন্দে ছিল জামশেদপুর এফসি। গোটা মরশুম ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরমেন্স করেছে প্রত্যেকটি ফুটবলার। তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলেন জামশেদপুর এফসি গোলরক্ষক আলবিনো গোমস। গোটা মরশুম সর্বাধিক ১০২ টি সেভ করেছেন তিনি। সোমবার রে স্পোর্টজকে একান্ত সাক্ষাৎকারে খোলামেলা আলোচনা করলেন আলবিনো। 

রে স্পোর্টজ: গত ম্যাচে টাইব্রেকারে জয় পেয়েছে দল। এই বিষয়ে কি বলবেন? 

আলবিনো: ম্যাচটি সহজ ছিলনা। গোটা ৯০ মিনিটে নর্থইস্ট আক্রমণকে আটকে রাখাটা সহজ না। সবাই দলগত প্রচেষ্টায় ম্যাচটাকে ০-০ ফলাফলে রাখতে পেরেছি এবং পরে ভাগ্য সহায় থাকায় আমরা টাইব্রেকারে জয় পাই।

রে স্পোর্টজ: সেমিফাইনালে আপনাদের প্রতিপক্ষ মুম্বই সিটি এফসি। আক্রমণের দিকে থেকে যথেষ্ট শক্তিশালী সেই দল। সেই ম্যাচে আপনাদের মানসিকতা কি হবে?

আলবিনো: আমরা গত ম্যাচের মতোই মানসিকতা নিয়ে নামবো। হাতে এখনও দুদিন সময় আছে। সেই সময়ে আমরা নিজেদের তৈরি করব। এর আগেও আমরা মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে খেলেছি। তাই আমরা জানি তারা কিরকম ফুটবল খেলে। তবুও এটা একটা আলাদা প্রতিযোগিতা আলাদা মঞ্চ। আমরা চেষ্টা করবো নিজেদের সেরাটা দিয়ে ম্যাচ জেতার। 

রে স্পোর্টজ: আইএসএলে ভালো খেলেও ট্রফি আসেনি। সুপার কাপ নিয়ে কি পরিকল্পনা রয়েছে?

আলবিনো: আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে চাই। কারণ এই প্রতিযোগিতায় একটা ভুল করলেই আমরা প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে জেতে পারি। তাই ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে চাই। অবশ্যই আমরা আইএসএলে ভালো খেলেছি। সেমিফাইনাল পর্যন্ত আমরা পৌঁছে অবশেষে কঠিন প্রতিপক্ষ মোহনবাগানের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে ম্যাচ হারি। আমরাও ভালো খেলেছিলাম। প্রথম লেগে আমরা জিতেওছিলাম। তবে মোহনবাগানের ঘরের মাঠে তাদের সমর্থকদের সামনে খেলাটা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে গেছিল। 

রে স্পোর্টজ: সুপার কাপ জয়ী দলের কাছে সুযোগ থাকে এএফসিতে খেলার। এএফসিতে খেলতে কতটা মুখিয়ে রয়েছেন?

আলবিনো: অবশ্যই এটা আমাদের কাছে অনেক বড় একটা সুযোগ। আমরা আইএসএলেও যথেষ্ট ভাল ফল করেছি। সুপার কাপেও আমরা দুটো ম্যাচ জিতেছি। বাকি দুটো ম্যাচ জিততে পারলে আমরা এএফসিতে খেলতে পারব। তাই আমরা চেষ্টা করব যতটা সম্ভব মানসিকভাবে শক্ত থাকতে। 

রে স্পোর্টজ: চোটের কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে। চোট সারিয়ে ফিরে আপনার পারফরমেন্স দেখার মত। কিন্তু চোট থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসাটা কতটা কঠিন?

আলবিনো: অবশ্যই একটা কঠিন বিষয়। কোনও ফুটবলারই চায়না দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকতে। তাই চোটের পর আমিও চেষ্টা করেছিলাম যত দ্রুত সম্ভব নিজেকে সুস্থ করে তুলতে। ঠিক সেই মতোই গত মরশুম আইলিগে খেললাম আর এই মরশুম জামশেদপুর আমায় একটা সুযোগ দিয়েছে তাদের দলে খেলার। সেখানে নিজেকে প্রমাণ করছি।

রে স্পোর্টজ: এর আগেও খালিদ স্যারের অধীনে আপনি খেলেছেন এবং চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। খালিদ জামিলের অধীনে খেলতে আপনার কেমন লাগে?

আলবিনো: খালিদ প্রত্যেক ফুটবলারকে বাড়তি উৎসাহ দেন। প্রত্যেককে মানসিকভাবে ঠিক থাকতে সাহায্য করেন। তিনি সব সময় বলেন যে সবাইকে নিজেদের সেরাটা দিতে হবে আর ভালো খেলতে হবে। যেই কারণে ফুটবলাররাও দলের জন্য এবং কোচের জন্য এফোর্ট দেয়। তাই ভালো লাগে তার অধীনে খেলতে। 

রে স্পোর্টজ: একমাত্র ভারতীয় কোচ হিসেবে ভারতীয় ফুটবলে অনেক সফলতা এনে দিয়েছেন খালিদ। সেই বিষয়ে কি বলবেন?

আলবিনো: খালিদ খুব ভালোভাবে ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে জানেন। অনেক ফুটবলারকেও তিনি খুব ভালো করে চেনেন। তার ম্যাচ রিড করার ক্ষমতা অসাধারণ। পরবর্তীতে যেই কোচেরা আসবেন তারা তো ভালো করবেন ঠিকই কিন্তু খালিদ স্যার যথেষ্ট ভাল কাজ করছেন।

রে স্পোর্টজ: সমর্থকদের জন্য কি বার্তা দেবেন?

আলবিনো: আমরা যখন সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচটা ঘরের মাঠে খেললাম, সেই সময়েও প্রচুর সমর্থক এসেছিলেন আমাদের সমর্থন করতে। তাছাড়াও আমাদের লিগের ম্যাচগুলোতেও প্রচুর সমর্থক আসতো। জামশেদপুরে মানুষরাও আমাদের অনেক সমর্থন করছিলেন। আশা করব এভাবেই তারা আমাদের সমর্থন করবেন এবং আমরাও চেষ্টা করব তাদের জন্য ভালো কিছু করার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য খেলা