সৌমজিৎ দে: রাত তিনটে বেজে ১৮ মিনিট! নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৪এ গেট থেকে বেরিয়ে এলেন ইস্টবেঙ্গল হেড কোচ অস্কার ব্রুজো এবং আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার কেভিন সিবিল্লে। তবে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছিল প্রায় রাত দুটোর সময় বিমান নেমে গেলেও, কেন এত দেরিতে বেরোলেন অস্কার এবং কেভিন। খোঁজ নিয়ে জানা গেল কাতারের বিমানবন্দরেই রয়ে গেছে অস্কারের সমস্ত ব্যাগ। সেই কারণেই বেরোতে দেরি হল লাল-হলুদ হেড কোচের। তবে শুক্রবার মহম্মদ রশিদকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে প্রচুর ভিড় থাকলেও, শনিবার কিন্তু সমর্থকদের তেমন ভিড় চোখে পড়ল না। যদিও অস্কার এবং কেভিন বেরোতেই বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকা সমর্থকেরা তাঁদের মালা এবং উত্তরীয় দিয়ে বরণ করে নেন। এত রাতেও লাল-হলুদ সমর্থকদের বিমানবন্দরে দেখে স্বাভাবিকভাবেই বেশ খুশি হন অস্কার এবং কেভিন। বেশ কিছু সমর্থককে কেভিনের সঙ্গে ছবি তুলতেও দেখা যায়। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, অস্কার এবং কেভিন দুজনেই শনিবার বিকেলে দলের অনুশীলনে যোগ দেবেন।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতায় পৌঁছে, দীর্ঘ বিমানযাত্রার ক্লান্তি কাটতে না কাটতেই শুক্রবার বিকেলে অনুশীলনে নেমে পড়লেন ইস্টবেঙ্গলের নবাগত বিদেশি ফুটবলার মহম্মদ রশিদ। এদিনের অনুশীলনে নজরের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন প্যালেস্টাইনের এই সেন্ট্রাল ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। প্রথম দিনের অনুশীলনে রশিদকে দেখতে প্রায় জনা পঞ্চাশেক সমর্থক যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ভিড় জমিয়েছিলেন। তবে একা রশিদ নন, এদিন অনুশীলনে যোগ দিলেন দিমিত্রিয়স দিমানতাকোস এবং নন্দকুমার। যদিও কেউই এদিন বল পায়ে অনুশীলন করলেন না। প্রথম কিছুক্ষণ শারীরিক অনুশীলনের পরে সাইডলাইন ধরে বেশ কয়েক পাক দৌড়ালেন। তারপরে নিজেদের মধ্যে খেলার ছলে বল দেওয়া নেওয়া করলেন। বাকি সময়টা গ্রীক তারকা ফুটবলারের সঙ্গে খোশগল্প করেই সময় কাটালেন রশিদ। অন্যদিকে, বাকি ফুটবলারদের নিয়ে পুরোদস্তুর অনুশীলন সারলেন অস্কার ব্রুজোর নতুন সহকারী কোচ আদ্রিয়ান রুবিও মার্টিনেজ। যদিও একান্তে সাইডলাইনে প্রস্তুতি সারলেন সৌভিক চক্রবর্তী। বাকিদের নিয়ে ফিজিক্যাল ফিটনেসের উপরেই বেশি জোর দিলেন সহকারী কোচ। অনুশীলন শেষে রশিদ এবং দিমিত্রিয়সকে ঘিরে সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মত। প্রথম দিনেই তাঁদের কাছে ডার্বি জয়ের আবেদন রাখলেন লাল-হলুদ জনতা।