রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: পঞ্জাব এফসিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে, সুপার কাপের ফাইনালে জায়গা পাকা করল ইস্টবেঙ্গল। গোটা ম্যাচে দাপট দেখিয়েছেন মহেশ, আনোয়ার আলিরা। এদিন লাল-হলুদ ব্রিগেড হয়ে গোল পেয়েছেন মহম্মদ রশিদ, কেভিন সিবিল্লে এবং অধিনায়ক সউল ক্রেসপো। এছাড়াও এদিনের ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষের দিকে রেফারির সঙ্গে বচসায় জড়াতে দেখা গেছে ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ অস্কার ব্রুজোকে। যেই কারণে লাল কার্ডও দেখতে হয়েছে তাঁকে। ফলে ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল ডাগআউটে দেখা যাবেনা অস্কারকে।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ তুলতে শুরু করেন পঞ্জাব ফুটবলাররা। ৫ মিনিটের মাথায় একটি গোলমুখী শটও নিয়েছিলেন পঞ্জাব এফসি ফুটবলার রিকি শাবং। এদিকে ম্যাচের ১১ মিনিটে প্রথম কর্নার পায় ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মহম্মদ রশিদ। মিগুয়েলের ভাসানো কর্নার থেকে হিরোশি ইবুসুকি প্রথমে মাথা ছোয়ানোর পর, সেই বল চলে যায় বক্সের বাইরে। সেখান থেকেই একটি দূরপাল্লা শটে গোল করে যান রশিদ। ২১ মিনিটে প্রথম কর্নার পায় পঞ্জাব এফসি। তবে সেখান থেকে কাজের কাজ হয়নি কিছুই। পরের মিনিটেই আবারও একটি গোলমুখী শট নিয়েছিলেন ভিনিত রাই। তবে সেই শট চলে যায় বাইরে। এদিকে ৩৩ মিনিটে বক্সের ভেতরে বল হাতে লাগিয়ে বসেন বিপিন সিং। যার ফলে পেনাল্টি পায় পঞ্জাব এফসি। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে পঞ্জাবকে সমতায় ফেরালেন ড্যানিয়েল রামিরেজ। ৩৬ মিনিটে ফ্রিকিক পায় ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকে মহম্মদ রশিদের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রথমার্ধের সংযুক্তি সময়ে বক্সের বাইরে ফ্রিকিক পায় ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকে মিগুয়েলের শট পঞ্জাব ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগে বাইরে চলে যায়। সেখান থেকে গোল করে প্রথমার্ধেই ব্যবধান ২-১ করে দিলেন ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগের ফুটবলার কেভিন সিবিল্লে। এদিকে প্রথমার্ধের শেষের দিকে রেফারির সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ অস্কার ব্রুজো। যার ফলে লাল কার্ডও দেখতে হয় তাঁকে।
এদিকে লাল কার্ড দেখায়, দ্বিতীয়ার্ধে অস্কারের জায়গায় ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব ছিল সহকারী আদ্রিয়ান রুবিওর কাছে। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মেজাজেই করে ইস্টবেঙ্গল। ৫৬ মিনিটে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন হিরোশি। ৬৩ মিনিটে রিকি শাবং-এর বাড়ানো বল দারুনভাবে রুখে দিলেন ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগের ফুটবলাররা। ৬৮ মিনিটে একটি শট নেন পঞ্জাব ফুটবলার মহম্মদ সুহেল। এদিকে দ্বিতীয়ার্ধের জলপানের বিরতির পর, পরিবর্তন আসে ইস্টবেঙ্গল দলে। নাওরেম মহেশের জায়গায় মাঠে আসেন এডমুন্ড লালরিনডিকা। ৭১ মিনিটে ব্যবধান ৩-১ করলেন অধিনায়ক সউল ক্রেসপো। মিগুয়েলের বাড়ানো বল থেকে বাঁপায়ের দুরন্ত শটে পঞ্জাব গোলরক্ষককে পরাস্ত করেছেন তিনি। ৭৭ মিনিটে প্রায় গোল পেয়ে যাচ্ছিলেন মিগুয়েল। তবে সেই শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে জোড়া পরিবর্তন আনেন ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ আদ্রিয়ান। মিগুয়েল এবং লালচুংনুঙ্গার জায়গায় মাঠে আসেন জয় গুপ্তা এবং ডেভিড লালাহানসাঙ্গা। দ্বিতীয়ার্ধের একেবারে শেষের দিকে পঞ্জাব ফুটবলার এফিয়ংয়ের একটি দুরন্ত শট রুখে দেন লাল হলুদের গোলরক্ষক প্রভসুখন সিং গিল। শেষের দিকে বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে ব্যবধান বাড়েনি। ফলে ৩-১ গোলে জিতেই মাঠ ছেড়েছেন সউল ক্রেসপোরা।
