রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: বিগত বেশ কিছু বছর ধরে অনলাইন জুয়া থাবা বসিয়েছে ক্রিকেট মহলে। বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ব্যাটিং চলত লাগাতার। সম্প্রতি ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এই বেটিং এর উপর ব্যান ঘোষনা করা হয়, এবং তার ফলস্বরূপ ক্রিকেটের ইকোসিস্টেমে যে বড় পরিবর্তন ঘটতে চলেছে এমনটাই মনে করছেন অনেকে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছেন অনেক নামি ক্রিকেটাররাও।
ড্রিম ইলেভেন, মাই ইলেভেন সার্কেল ইত্যাদি নামগুলোর সাথে আমরা পরিচিত প্রায় সকলেই। সম্প্রতি ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের পরই ড্রিম ইলেভেন ঘোষণা করে এখন থেকে ভারতের জাতীয় দলের জার্সি স্পন্সর পরবে না তারা। এবং যেহেতু আইপিএলের একাংশ বিসিসিআইয়ের স্পন্সরদের অধীনে, এর প্রভাব পড়বে ফ্রাঞ্চাইজি লিগেও এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ক্রিকেট থেকে নিজেদের নজর সরিয়ে নেওয়ার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন অনেক ভারতীয় ক্রিকেটাররাও। সাধারণত আইপিএল বা বিভিন্ন ক্রিকেট প্রতিযোগিতা চলাকালীন মাঝে মাঝেই বিজ্ঞাপনে দেখা যেত নামিদামি ক্রিকেটাররা এই সমস্ত অ্যাপগুলির প্রমোশন করছেন। এখন ব্যান্ডের কারণে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন এই ক্রিকেটাররা এমনটাই শোনা যাচ্ছে। এমপিএল এর কনট্র্যাক্ট থেকে বছরের ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা আয় ছিল বিরাট কোহলির। অন্যদিকে রোহিত শর্মা মহেন্দ্র সিং ধোনি নিতেন ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা ড্রিম ইলেভেন এবং উইনজো থেকে। তরুণ ক্রিকেটাররা যদিও বছরে ১ কোটি টাকা পেতেন তবে প্রাক্তন অধিনায়করাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এমনটাই মনে করছে অর্থনীতি। অন্যদিকে ভারী ক্ষতির মুখোমুখি হতে চলেছেন সিরাজ এবং ওয়াশিংটন সুন্দর। কারণ মূলত এই বিজ্ঞাপন ছিল তাদের আয়ের একটা বড় জায়গা।
প্রসঙ্গত আইপিএল খুব বড় ক্ষতির মুখে না পড়লেও অন্যান্য যে সকল ক্রিকেট প্রতিযোগিতা মূলত গেমিং অ্যাপগুলির থেকে বড় অংকের স্পনসরশিপ পেত, তাদের অবস্থা এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে শোচনীয় বলাই বাহুল্য।