রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই ঘরের মাঠে অ্যাশেজ ২০২৫-এ খেলতে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে দীর্ঘ ১৫ বছরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে একবারও অ্যাশেজ সিরিজ জেতেনি ইংল্যান্ড। তবে সেই ইতিহাস বদলাতে শুক্রবার পার্থে নেমেছিলেন বেন স্টোকসরা। সেই ম্যাচের প্রথম দিনেই পড়ল ১৯টি উইকেট। প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয় ১৭২ রানে। জবাবে দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৩। এখনও ৪৯ রানে পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ৭টি উইকেট পেয়েছিলেন মিচেল স্টার্ক। জবাবে ৫ উইকেট নিলেন বেন স্টোকসও।
টসে জিতে ব্যাটিং করতে এসে শুরুতেই ওপেনার জ্যাক ক্রলি-র (০) উইকেট খোয়ায় ইংল্যান্ড। বেন ডাকেট (২১), জো রুটও (০) দ্রুত আউট হন। তিনজনকেই আউট করেন মিচেল স্টার্ক। তিন নম্বরে নামা অলি পোপ (৪৬) এবং পাঁচ নম্বরে নামা ব্রুক (৫২) কিছুটা ইনিংসের হাল ধরেন। চতুর্থ উইকেটের জুটিতে তাঁরা তোলেন ৫৫ রান। সেই পার্টনারশিপ ভাঙেন ক্যামেরুন গ্রিন। ব্যর্থ অধিনায়ক স্টোকসও (৬)। একটিও বড় রানের জুটি তৈরি করতে পারেনি ইংল্যান্ড। তার সবথেকে বড় ভূমিকা ছিল অস্ট্রেলিয়ান জোড়ে বোলার মিচেল স্টার্কের। ৫৮ রানে ৭ উইকেট নিলেন তিনি। এ ছাড়া ২৭ রানে ২ উইকেট ব্রেন্ডন ডগেটের। ১০ রানে ১ উইকেট গ্রিনের। যেই কারণে ৩২.৫ ওভারে শেষ হয় ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে এসে শুরুতেই সমস্যায় পড়ে অস্ট্রেলিয়াও। দুই ওপেনার জ্যাক ওয়েদারাল্ড (০) এবং মার্নাস লাবুশেনের (৯) উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে আয়োজগরা। পাশাপাশি রান পাননি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথও (১৭)। ট্রেভিস হেড (২১) এবং ক্যামেরুন গ্রিন (২৪) কিছুটা ধরে খেলার চেষ্টা করলেও, বিশেষ কিছু করতে পারেননি।পরে অ্যালেক্স ক্যারে (২৬) আগ্রাসী ব্যাটিং করেন। অন্যদিকে ইংল্যান্ডদের বোলারদের মধ্যে সফলতম ছিলেন অধিনায়ক বেন স্টোকস। ২৩ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নিলেন তিনি।
