রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: এশিয়া কাপে পাকিস্তান বিতর্ক যেন শেষই হচ্ছে না। শুরু থেকেই একের পর এক ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। প্রথমে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টের অপসারণের দাবি খারিজ হয়ে যাওয়ায় বেশ কিছুটা ধাক্কা খেয়েছিল পাকিস্তান। এরপর আইসিসির সাথে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে তারা। আর এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল নিয়ম লঙ্ঘন করার। আইসিসির পক্ষ থেকেই আনা হল এই অভিযোগ।
আইসিসি সিইও সঞ্জয় গুপ্ত বৃহস্পতিবার একটি চিঠিতে সরাসরি পাকিস্তানের টিম ম্যানেজারের বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘন করার অভিযোগ আনেন। পিএমওএ অঞ্চলে যেখানে ফোন ব্যবহার করা একেবারেই নিষিদ্ধ, সেখানেই এই নিয়ম অমান্য করেছেন পাকিস্তানের ম্যানেজার। আইসিসির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ ওঠার সাথে সাথেই শুক্রবার পাল্টা জবাব দিয়েছে পিসিবি। সরকারিভাবে একটি বিবৃতিতে আইসিসিকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, “দলের মিডিয়া ম্যানেজার দলের অংশ। আর তাই পিএমওএ অঞ্চলে তার উপস্থিতিতে কোনরকম নিয়ম লঙ্ঘিত হয় না। মিডিয়া ম্যানেজারদের ক্যামেরা ব্যবহার করায়ও কোন নিষেধ নেই। তার পরেও যদি আইসিসি মনে করে যে নিয়ম লঙ্ঘিত হয়েছে তাহলে ম্যাচ রেফারিকে প্রশ্ন করুক এবং জানতে চাওয়া হোক এসিইউ আধিকারিকদের এই বিষয়ে জানানো হয়েছে কি না।” যদিও এক্ষেত্রে পাকিস্তানের দেওয়া জবাব মোটেই ধোপে টিকবে না এমনটাই মনে করছেন অনেকে। নিয়ম অনুযায়ী পিএমওএ অঞ্চলে মিডিয়া ম্যানেজার থাকতে পারেন এবং নিজের কাছে ফোন রাখতেই পারেন, কিন্তু স্টেডিয়ামের এই অংশটা সুরক্ষা এবং খেলার স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য নন ভায়োলশন জোন হিসেবে চিহ্নিত। এখানে মোবাইল ব্যবহার করা নিয়মবিরুদ্ধ। অথচ ঠিক সেই কাজটিই করতে দেখা যায় পাকিস্তানের টিম ম্যানেজারকে।
প্রসঙ্গত ভারতীয় ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে করমর্দন না করার ঘটনায় আইসিসির দারস্থ হয়েছিল পাকিস্তান। এবং সেক্ষেত্রে ভারতের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল তারা। কিন্তু ম্যাচের শেষে বা ম্যাট চলাকালীন করমর্দন করতে চাওয়া বা না চাওয়া শুধুমাত্র সৌজন্য বিনিময়ের আওতায় পড়ে, কিন্তু এটা বাধ্যতামূলক নয়। তাই ভারতীয় ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে কোনরকম নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়নি এমনটাই জানানো হয়েছিল। এরপরেই ম্যাচ রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে পাকিস্তান। পরবর্তীতে যদিও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয় ম্যাচ রেফারি তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। অথচ ম্যাচ রেফারির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কোন ক্ষমা তিনি চাননি, বরং মাঠে ঘটা সেদিনের ঘটনায় তিনি দুঃখিত শুধু এটুকুই জানিয়েছিলেন।