রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: আইপিএলের পরিচিত একটা ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে একটি হল দিল্লি ক্যাপিটাল্স। তবে শুধুমাত্র মাঠের অসামান্য রেকর্ডের জন্যই নয়, এবারে তাদের মাঠের বাইরের কৌশলের জন্যও, ইতিমধ্যেই অনেকের দৃষ্ট আকর্ষণ করেছে। এখন তাদের মূল লক্ষ্য গ্রাসরুট ডেভেলপমেন্ট, আন্তর্জাতিক সম্প্রসারণ এবং সামগ্রিক ক্রীড়াবিদদের লালন-পালনের মাধ্যমে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ পুনর্গঠন করা। বিগত বেশ কিছু বছর ধরে ভারত এবং বিদেশের মাটিতেও একটি কাঠামোগত, স্কেলযোগ্য একাডেমি নেটওয়ার্ক তৈরিতে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করেছে দিল্লি ক্যাপিটাল্স।
দিল্লি ক্যাপিটাল্সের একাডেমির উত্থান: ২০১৯ সালে নিজেদের ব্র্যান্ডিং পুনর্গঠনের পর, পেশাদার টি-টোয়েন্টি দল হিসেবে কাজ করা থেকে একটি বিস্তৃত ক্রিকেট ইকোসিস্টেম তৈরিতে ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবর্তন এনেছে দিল্লি ক্যাপিটাল্স। ভারত জুড়ে এক ডজনেরও বেশি একাডেমি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করার পাশাপাশি ইউনাইটেড কিংডম এবং কানাডার মতো বিশ্ব বাজারেও নিজেদের একাডেমি তৈরি করছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী হাজার হাজার উচ্চাকাঙ্ক্ষী ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা থেকে, উচ্চমানের কোচিং, আধুনিক অবকাঠামো এবং পেশাদার সেটআপের প্রতিফলনকারী পারফরম্যান্সের পথ প্রদান করে এই একাডেমিগুলি। এছাড়াও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের দিকেও অনেকতাই এগিয়ে দিল্লি ক্যাপিটাল্স। যার মধ্যে রয়েছে শারীরিক সুস্থতা, পুষ্টি শিক্ষা, ক্রীড়া মনোবিজ্ঞান এবং মানসিক দৃঢ়তা। শুধুমাত্র গ্র্যাসরুট ক্রিকেটারদের আইপিএল দলে নিয়োগ করাই নয়, তারা যাতে ভারতীয় দলেও নিজেদের জায়গা করে নিতে পারে সেই দিকেও মনোনিবেশ করা হচ্ছে। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে স্কাউট করা বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় তাদের রাজ্য এবং জুনিয়র জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
এই রূপান্তরের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন প্রতীক পুরি, যিনি ২০২৩ সালের শেষের দিকে দিল্লি ক্যাপিটালসের একাডেমির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। একজন উৎসাহী স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট পেশাদার, প্রাক্তন জাতীয় স্তরের ক্রিকেটার এবং বিসিসিআই-প্রত্যয়িত কোচ, পুরি ক্যাপিটালসের গ্রসরুট স্তরের দৃষ্টিভঙ্গিতে কাঠামো, স্কেল এবং কৌশল আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার নিয়োগের পর থেকে, এই নেটওয়ার্কটি আরও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলিতে নতুন একাডেমিও চালু করা হয়েছে। এই সকল বিষয়ে দিল্লির অভ্যন্তরীণ একজন সদস্য বলেছেন, “প্রতীক গ্রাসরুট স্তরের দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি সুশৃঙ্খল, তথ্য-চালিত পদ্ধতি নিয়ে এসেছেন। তিনি কেবল নেটওয়ার্ককে আরও বিস্তৃত করছেন না বরং এমন একটি সংস্কৃতি তৈরি করছেন যা ভারতের খেলাধুলায় একাডেমিগুলি কীভাবে পরিচালিত হয় তা নির্ধারণ করতে পারে”।