রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: এশিয়া কাপে ভারত পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়া নিয়ে শুরু হয়েছিল তুমুল বিতর্ক। প্রথমে ভারতের অংশগ্রহণ করা নিয়ে উঠেছিল বিভিন্ন প্রশ্ন। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল না বলেই জানা গিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে অবশেষে এশিয়া কাপে অংশ নিতে চলেছে ভারত। যদিও ভারতের এই সিদ্ধান্তে খুশি নয় অনেকেই। আর তার জন্য বারবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে পড়তে হয়েছে সমালোচনার মুখেও। তবে এতদিন পর্যন্ত মুখ খোলেননি বিসিসিআই এর কোন কর্মকর্তাই। তবে এবার সমস্ত আক্রমণের উত্তর দিলেন খোদ বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া।
মূলত কাশ্মীরের পহলগামে জঙ্গিহানার পর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে ফের তৈরি হয় যুদ্ধ পরিস্থিতি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও পাল্টা সিঁদুর অপারেশন ঘটানো হয়। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে পাকিস্তান আয়োজিত এশিয়া কাপে ভারতের অংশগ্রহণ করাকে ভালো চোখে দেখেননি ক্রিকেট মহলের অনেকেই। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানে গিয়ে খেলার তো প্রশ্নই নেই বরং নিরপেক্ষ ভ্যেনুতে খেলার বিষয়েও আপত্তি জানিয়েছিলেন একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। তবে এই প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন দেবজিৎ সাইকিয়া। “বিসিসিআই সেই সিদ্ধান্ত অনুসরণ করতে বাধ্য যা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করে দেবে। তাই আপনাদের সবার সুবিধার্থে জানাই, আমাদের পলিসি অনুযায়ী বর্তমানে ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নেই এরকম কোন দেশের বিরুদ্ধে কোন ইন্টারন্যাশনাল বা মাল্টিন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় ভারতের অংশগ্রহণ করায় কোনরকম বিধিনিষেধ ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আরোপ করা হয়নি। ফলে মাল্টিন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় ভারতকে সমস্ত ম্যাচই খেলতে হবে নিয়ম অনুযায়ী। এশিয়া কাপ গোটা এশিয়া মহাদেশের দলগুলিকে নিয়ে হওয়া একটা প্রতিযোগিতা, আর সেক্ষেত্রে ভারতের অংশগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। ঠিক একইভাবে যেকোনো আইসিসি প্রতিযোগিতায় ভারত অংশগ্রহণ করতে বাধ্য, প্রতিপক্ষ ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখুক বা না রাখুক। তবে দ্বিপাক্ষিক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই এরকম কোন দলের বিরুদ্ধে খেলবো না যে দেশ আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখে না” জানান সাইকিয়া। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, “যে পলিসি বিসিসিআই অনুসরণ করছে তা লঙ্ঘন করার কথা মাথায় আনাও উচিত নয়। এক্ষেত্রে যদি পলিসির বিরোধিতা করা হয় বা অংশগ্রহণ না করা হয়, তাহলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হতে পারে।” অর্থাৎ এক্ষেত্রে তার বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যে ভারতের কাছে অংশগ্রহণ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। এমনকি এই ধরনের ইন্টারন্যাশনাল বা মাল্টিন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় যদি কোন খেলোয়াড় ক্রিকেট ছাড়াও অন্য কোন ক্রীড়া ক্ষেত্রেও অংশগ্রহণ না করেন তাহলে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গুরুতর শাস্তির বিধান রয়েছে। এমনকি তাকে অন্যান্য প্রতিযোগিতার থেকে ব্যান করারও সম্ভাবনা রয়েছে যা কোন খেলোয়াড়ের পক্ষেই কাম্য নয়।
প্রসঙ্গত ৯ তারিখ থেকে শুরু হতে চলা এশিয়া কাপ প্রতিযোগিতায় আগামী ১৪ তারিখ প্রথম বারের জন্য মুখোমুখি হবে ভারত এবং পাকিস্তান। নিঃসন্দেহে এটি একটি উত্তেজনার ম্যাচ এমনটাই মনে করছে ক্রিকেট মহল। তবে যদি দুই দলই ফাইনালে পৌঁছতে পারে তাহলে গোটা প্রতিযোগিতায় মোট তিনবার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দুই দলের।