সায়ন দে, গোয়া: চেন্নাইয়নের বিরুদ্ধে নামার আগে কিছুটা চাপের মধ্যে ছিল ইস্টবেঙ্গল। ডেম্পো ম্যাচে ড্রয়ের পর, সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছিল অস্কারের উপর দিয়ে। ফলে নিজেও জানতেন এবারে সময় এসেছে নিজেকে প্রমাণ করার। এদিন সেটাই করে দেখালেন অস্কার। মঙ্গলবার গোয়ার বাম্বলিম স্টেডিয়ামে চেন্নাইয়ন এফসিকে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। জোড়া গোল করেছেন বিপিন সিং। এছাড়াও লাল হলুদ জার্সি গায়ে নিজেদের প্রথম গোল করেছেন ডিফেন্ডার কেভিন সিবিল্লে এবং হিরোশি ইবুসুকি।
ম্যাচের শুরুতেই আক্রমনে উঠে আসে ইস্টবেঙ্গল। ৮ মিনিটের মাথায় ফ্রি কিক পায় ইস্টবেঙ্গল। তবে সেখান থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন মিগুয়েল ফেরেরা। ১৩ মিনিটে আরও একটি গোলমুখী শট নেন মিগুয়েল। তবে চেন্নাইয়ন গোলরক্ষক মহম্মদ নাওয়াজ সেটি সেভ করেন। তারপরেও নিরন্তর আক্রমণ করেন মিগুয়েল ফেরারা, মহম্মদ রশিদরা। তবে নিজেদের রক্ষণকে জমাট রেখেছিলেন চেন্নাইয়নের ফুটবলাররাও। ৩৫ মিনিটে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দিলেন কেভিন সিবিল্লে। বাদিক থেকে নাওরেম মহেশ সিংয়ের ভাসানো ফ্রি কিক থেকে গোল করলেন তিনি। ৩৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান বিপিন সিং। এবারেও সেই নাওরেম মহেশ সিংয়ের বাড়ানো বল থেকেই গোলটি হয়। এদিকে ৪৩ মিনিটে একটি হলুদ কার্ড দেখতে হয় চেন্নাইয়ন ফুটবলার নামতেকে। প্রথমার্ধের একেবারে শেষের দিকে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোলটি করলেন বিপিন। অন্যদিকে অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিকও করে ফেললেন মহেশ। যার ফলে প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকেই সাজঘরে ফেরে ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধেও সমানভাবেই আক্রমনে উঠতে থাকেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। ৫৭ মিনিটে গোলমুখী শট মারেন মহেশ। তারপরেও বেশ কয়েকবার চেন্নাইয়ন রক্ষণে আক্রমণ তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন হামিদ, বিপিন সিংরা। অন্যদিকে ৭২ মিনিটে চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন ইরফান ইয়াদওয়াদ। তার জায়গায় মাঠে আসেন গুরকিরাত সিং। ৭৯ মিনিটে পরিবর্তন করেন অস্কারও। আনোয়ার আলি এবং হামিদ আহদাদকে বসিয়ে তিনি মাঠে আনেন জাপানি ফরোয়ার্ড হিরোশি ইবুসুকি এবং জিকসন সিংকে। মাঠে নেমেই প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন মিনিটে হিরোশি। ৮৬ মিনিটে তাঁর শট পোস্টে লিগে প্রতিহত হয়। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে জয় এনে দেন হিরোশি।
