রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: ইউনাইটেড স্পোর্টসকে ২-০ গোলে হারিয়ে, আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে জয়কা পাকা করে ফেললো মোহনবাগান। আগামী শনিবার শিল্ড ফাইনালে হতে চলেছে কলকাতা ডার্বি। তবে এদিনের ম্যাচে খুব একটা আশানুরূপ ফুটবল খেলতে পারেননি দিমিত্রি পেত্রাতোস, রবসন রবিনহোরা। বরং অনেক ভাল ফুটবল খেলেছেন ইউনাইটেড স্পোর্টসের ফুটবলাররা। মোহনবাগানের হয়ে এদিন গোল পেয়েছেন দিমি। বাগান জার্সিতে দীর্ঘদিন বাদে গোল করেন তিনি। পরের গোলটি আত্মঘাতী গোল হয়েছে। তবে এদিনের ম্যাচে জয় পেয়ে মোহনবাগান ফাইনালে গেলেও, বাগান সমর্থকদের বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে গোটা ম্যাচ জুড়ে।অথচ শেষেও ফুটবলারদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ করেছেন বেশ কিছু বাগান সমর্থকেরা।
ম্যাচের শুরু থেকে মোহনবাগানের তুলনায় ভাল ফুটবল খেলতে দেখা যাচ্ছিল ইউনাইটেড ফুটবলারদের। ২১ মিনিটেই একটি আত্মঘাতী গোল হজম করা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায় মোহনবাগান। ডান প্রান্ত থেকে ইউনাইটেড ফুটবলারের ভাসানো বল হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রায় নিজের জালে বল জড়িয়ে দিচ্ছিলেন মেহতাব সিং। ২৬ মিনিটে নিশ্চিত গোল হাতছাড়া করেন কিয়ান নাসিরি। দুমিনিট পরেই অল্পের জন্য গোল হাতছাড়া করেন ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাবের ফুটবলার সুজল মুন্ডা। ৩৮ মিনিটে বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় মোহনবাগান। তবে সেখান থেকে গোল তুলতে ব্যার্থ হন জেসন কামিন্স। এদিকে ৪৫ মিনিটে কামিন্সের বাড়ানো বল থেকে গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। ফলে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই সাজঘরে ফেরে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ইন্সুরেন্স গোলটি পেয়ে যায় মোহনবাগান। রবসন রবিনহোর ভাসানো ভাসানো ফ্রি কিক থেকে শট নেন কামিন্স। সেই শট গোলরক্ষক সেভ করলেও, ডিফেন্ডার অঙ্কন ভট্টাচার্যর গায়ে লেগে লেগে বল চলে যায় গোলে। ফলে ২-০ এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ৫৮ মিনিটে ফ্রি কিক পেলেও, গোল তুলে নিতে ব্যার্থ হন ইউনাইটেড ফুটবলাররা। ৬৬ মিনিটে ইউনাইটেড ফুটবলার শ্রীনাথের শট রুখে দেন বাগান গোলরক্ষক জাহিদ। শেষের দিকে বেশ কয়েকবার আক্রমণে উঠেছিল দুই দলই। অন্যদিকে মোহনবাগানের বেশ কয়েকটি গোল বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। ফলে অবশেষে ২-০ গোলেই ম্যাচে জয় পায় মোহনবাগান।