Connect with us

DURAND CUP 2025: ডায়মন্ডকে হাফ ডজন দিয়ে দ্বিতীয়বার ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন নর্থইস্ট ইউনাইটেড

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: ১৩৪তম ডুরান্ড কাপ ফাইনালে ডায়মন্ড হারবার এফসির মুখোমুখি হয়েছিল নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি। একদিকে অভিষেক মরশুমেই বাজিমাৎ করা ডায়মন্ড হারবার, অন্যদিকে টানা দ্বিতীয়বার ট্রফি জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল জুয়ান পেদ্রো বেনালির দল। ম্যাচের শুরু থেকেই তুল্যমূল্য লড়াইয়ে খেলার ভাগ্য ওঠানামা করছিল। অভিজ্ঞতার বিচারে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি এগিয়ে থাকলেও, প্রত্যাঘাতের জন্য তৈরি ছিল কিবু ভিকুনার দল। তবে আলাদিনকে মধ্যমনি করে ছক কষেছিলেন পেদ্রো বেনালি। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেই বাজিমাৎ করেন আলাদিন, পার্থিবরা। ৬-১ গোলে ডায়মন্ড হারবার এফসিকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের জন্য ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি।

ম্যাচ শুরুর ৪ মিনিটের মধ্যেই প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েছিল নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি৷ আলাদিনের দূরপাল্লার শট প্রথম প্রচেষ্টায় তালুবন্দি করতে পারেননি মিরশাদ। কিন্তু ফিরতি বলে পার্থিব গগৈয়ের হেড তালুবন্দি করেন তিনি। ১৮ মিনিটের মাথায় প্রায় গোলমুখ খুলে ফেলেছিল ডায়মন্ড হারবার এফসি। অজিতের ফ্রি কিক থেকে সেন্টার রেখেছিলেন জবি জাস্টিন। কিন্তু বল নাগালে পেয়েও ঠিক সময় মাথা ছোঁয়াতে পারেননি মিকেল। ২৪ মিনিটে গিরিক খোসলার ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেড করেছিলেন জবি। কিন্তু পরিত্রাতা গুরমিত। মিনিট তিনেক পরেই জবি জাস্টিনের জোরালো শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

ডায়মন্ড হারবার এফসি যখন একের পর এক আক্রমণে চাপ বাড়াচ্ছে আলাদিনদের উপর। ঠিক তখনই খেলার গতির বিরুদ্ধে গোল করে এগিয়ে যায় নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি। ৩০ মিনিটে কর্ণার থেকে জটলার মধ্যে বল পেয়েছিলেন আলাদিন। তাঁর শট রুখে দেন মিরশাদ। ফিরতি বলে গোল করেন আশির আখতার। ৩৬ মিনিটে পার্থিব গগৈয়ের শট বাঁচিয়ে নিশ্চিত পতন রোধ করেন মিরশাদ। ৩৯ মিনিটে আরও একটা সহজ নষ্ট করে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি। বাঁ দিক থেকে পার্থিবের সেন্টার ফাঁকা জায়গায় পেয়েও উড়িয়ে দেন চিমা নুনেজ। প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে নর্থইস্টের হয়ে ব্যবধান বাড়ান পার্থিব গগৈ। বাঁ প্রান্ত থেকে একক দক্ষতায় বক্সের মধ্যে ঢুকে জোড়ালো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে ফের ব্যবধান বাড়ায় নর্থইস্ট ইউনাইটেড। বাঁ প্রান্ত থেকে আলাদিনের নিখুঁত মাইনাস খুঁজে নিয়েছিল থোই সিংকে। বল জালে জড়াতে ভুল করেননি তিনি। তিন গোলে পিছিয়ে পড়ে মরণ কামড় দেয় ডায়মন্ড হারবার এফসি। ম্যাচের বয়স যখন ৬২ মিনিট, আচমকাই মাঝমাঠ থেকে গোলমুখী শট নিয়েছিলেন লিয়ানসাঙ্গা। যদিও দূরপাল্লার শট রুখে দিয়ে ম্যাচের ফলাফল অপরিবর্তিত রাখেন গুরমিত। ৬৮ মিনিটে ডায়মন্ড হারবারের হয়ে ব্যবধান কমান লুকা মাচেন। রবিলাল মান্ডির কর্ণার থেকে হেড করেছিলেন জবি জাস্টিন। সেই বল লুকার গায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। ৮১ মিনিটে ডায়মন্ড হারবার এফসির রক্ষণ ভেঙে চতুর্থ গোলটি করেন জাইরো। মিনিট চারেক পরেই পঞ্চম গোল। আলাদিনের পাস থেকে বল জালে জড়িয়ে দেন অ্যান্ডি। শেষটা করেন আলাদিন। সংযোজিত সময়ে দলের হয়ে ষষ্ঠ গোলটি করেন তিনি। ৬-১ গোলে কিবু ভিকুনার দলকে হারিয়ে ট্রফি জিতল হাইল্যান্ডাররা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য খেলা