রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: রবিবার মধ্যরাতে কলকাতা বিমানবন্দরে পা রেখেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের নবনিযুক্ত ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মিগুয়েল ফিগুয়েরা। সেদিনই সকাল ৮:১০ এর বিমানে কলকাতায় এলেন ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ মিডিও সউল ক্রেসপো। তবে লাল-হলুদের যেকোনও ফুটবলার যখন কলকাতায় পাড়ি দেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চেহারাটা কিছুটা অন্যরকম থাকে। এই মরশুম যখন মহম্মদ রশিদ এলেন, সেই সময়ও অনেক ইস্টবেঙ্গল সমর্থক ভিড় জমিয়েছিলেন বিমানবন্দরে। এমনকি রবিবার মধ্যরাতে ২:২০-র বিমানে মিগুয়েল বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন। তবে বিমানবন্দর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসতে ঘড়ির কাঁটায় তখন বেজে গিয়েছিল প্রায় ৩:৩০। কিন্তু তখনও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে উল্লাস এবং উত্তেজনাটা ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু ক্রেসপোর বেলায় কোনও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন না বিমানবন্দরের তাকে স্বাগত জানানোর জন্য। যখনই কোনও বিদেশি ফুটবলার কলকাতায় আসেন, তখন তাদেরকে ইস্টবেঙ্গলের পতাকা এবং ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। কিন্তু ক্রেসপোর বেলায় এসব কিছুই দেখা গেলো না।
এমনকি শুধুমাত্র সমর্থক নয়, ক্লাবের তরফ থেকেও ক্রেসপোকে স্বাগত জানাতে কেউই উপস্থিত ছিলেন না বিমানবন্দরে। বিমানবন্দর থেকে বাইরে এসে হাতে ফোন নিয়ে, পরিচিত কাউকে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন স্প্যানিশ এই মিডিও। অবশেষে ক্লাবের তরফ থেকে একজন এসে তাকে গাড়িতে করে নিয়ে যান টিম হোটেলে।
গত মরশুম চোটের কারণে বেশিরভাগ ম্যাচেই সউল ক্রেসপোর সার্ভিস পায়নি ইস্টবেঙ্গল। মরশুমের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে সউল ক্রেসপোর দল থেকে ছিটকে যাওয়ায়, আইএসএলে প্রথম ছয় শেষ করার আশাও শেষ হয়ে গিয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেডের। তবে আসন্ন মরশুমে ক্রেসপোকে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করলেও, শেষে তাকে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট। সামনেই শুরু হতে চলেছে ডুরান্ড কাপ। ফলে সেই প্রতিযোগিতায় সউল ক্রেসপো কিভাবে নিজেকে মেলে ধরেন, সেই দিকে নজর থাকবে সকলের।
এছাড়াও রবিবার সকালের বিমানে কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন ইস্টবেঙ্গলের আরেক বিদেশী ফুটবলার। তবে তিনি পুরুষ দলের ফুটবলার নন। তিনি হলেন ইস্টবেঙ্গল মহিলা দলের উগান্ডান ফরোয়ার্ড রেস্টি নানজিরি। অর্থাৎ একই দিনে ইস্টবেঙ্গলের তিনজন বিদেশী ফুটবলার এসে পৌঁছলেন কলকাতায়।