রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: গত সাড়ে তিন মাস ধরে আই লিগের চ্যাম্পিয়ন নিয়ে যে জটিলতা চলছিল তা অবশেষে শেষ হল। আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত তথা কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে (ক্যাস) জয়ী ইন্টার কাশী। অর্থাৎ শুক্রবার কাশীকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হল। ফেডারেশনের আবেদন খারিজ করে, অবিলম্বে কাশীকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হিসাবে ঘোষণা করার কথা জানিয়ে দিয়েছে ক্যাস। তাদের নির্দেশ অনুযায়ী ৪২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে শেষ করবে ইন্টার কাশী। চার্চিল ব্রাদার্স ৪০, রিয়াল কাশ্মীর ৩৭ এবং নামধারী এফসি ২৯ পয়েন্টে শেষ করবে। পাশাপাশি ক্যাস জানিয়েছে, মামলার খরচের ৫৫ শতাংশ খরচ দেবে ফেডারেশন। এছাড়া ১৫ শতাংশ করে দেবে চার্চিল, নামধারী এবং কাশ্মীর। শুধু তাই নয়, আইনি লড়াই লড়তে কাশীর যে খরচ করেছে সেটাও দিতে হবে এই চার পক্ষকে।
নামধারী এফসি গত এপ্রিল মাসে ফেডারেশনের কাছে অভিযোগ জানায় যে, ইন্টার কাশী আই লিগের নিয়মের ৬.৫.৬ এবং ৬.৫.৭ ধারা ভেঙে, ছয়জন বিদেশির থেকে বেশি বিদেশী সই করিয়েছে। নামধারীর দাবি, নবম রাউন্ডের আগে স্পেনের স্ট্রাইকার মার্কো বারকোর বদলে সার্বিয়ার মাতিজা বাবোভিচকে সই করিয়েছিল কাশী। কিন্তু ১৫তম রাউন্ডের আগে আবার বারকোকে ফিরিয়ে আনা হয়। যেই কারণে নামধারীর সঙ্গে ইন্টার কাশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় চার্চিল ব্রাদার্স এবং রিয়াল কাশ্মীরও। পরবর্তীতে নামধারী, চার্চিল এবং কাশ্মীরের দাবি সঠিক বলে জানায় ফেডারেশনের আপিল কমিটি।
এদিকে ইন্টার কাশীর গত ১৩ জানুয়ারি নামধারী এফসি-র সঙ্গে ম্যাচটি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। যেখানে ০-২ গোলে পরাজিত হয়েছিল ইন্টার কাশী। তবে ম্যাচের পরেই নামধারীর বিরুদ্ধে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের অভিযোগ করে কাশী। যেখানে তাদের অভিযোগ ওই ম্যাচে আগেই চারটি হলুদ কার্ড দেখায় নির্বাসিত থাকার কথা ছিল ক্লেডসনের। তবুও অবৈধভাবে সেই ম্যাচে তাঁকে খেলিয়েছিল নামধারী এফসি। ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি কাশীর আবেদন শুনে সেই ম্যাচে নামধারীকে পরাজিত ঘোষণা করে এবং ইন্টার কাশীকে ম্যাচ হারা সত্ত্বেও গোটা তিন পয়েন্ট দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ২৭ মার্চ নিজেদের সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখায়, তার তীব্র প্রতিবাদ জানায় কাশী।