সৌরভ রায়: ৩ উইকেটে ৪৩০ থেকে ৪৭১ রানে অল আউট। মাত্র ৪১ রানের মধ্যে সাত উইকেট খুইয়ে প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অনেকটাই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করল শুভমন গিল ব্রিগেড। যদিও দ্বিতীয় দিনের শুরুটা দারুন করেছিলেন অধিনায়ক শুভমন গিল এবং ঋষভ পন্থ। দ্বিতীয় নতুন বল সামলে নিজের শতরানও পূর্ণ করেন পন্থ। তবে এই দুজন আউট হতেই রীতিমতো তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ।
প্রসঙ্গত ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে যথেষ্ট বিচক্ষণতার পরিচয় দেন পন্থ এবং গিল। ইংরেজ বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলে খেলা করেন তাঁরা। এরই মাঝে ইংরেজ স্পিনার শোয়েব বসিরের বিরুদ্ধে বিশাল ছয় মেরে নিজের শতরান পূর্ণ করেন পন্থ। তারপরেই দেখা যায় তাঁর স্পেশাল ভল্ট সেলিব্রেশন। নিজের শতরানের পরেই রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন পন্থ। যদিও এরই মাঝে ১৪৭ রানে আউট হয়ে ফেরেন গিল। শেষ হয় ২০৯ রানের পার্টনারশিপ। যদিও আট বছর পরে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে শূন্য রান করে ফিরলেন করুণ নায়ার। স্টোকসের বলে আউট হন তিনি। এরপর ১৩৪ রানের মাথায় আউট হন পন্থও। বাকিরাও বেশিক্ষণ টেকেননি।
বল করতে এসে শুরুতেই ঝটকা দেন বুমরাহ। প্রথম ওভারেই জ্যাক ক্রলিকে ফেরান তিনি। যদিও এর পরেই শুরু হয় ক্যাচ ফেলার বহর। বেন ডাকেটের সহজ ক্যাচ ফেলেন জাদেজা। অবশেষে তাঁকে ৬২ রানে বোল্ড করেন বুমরাহ। এছাড়াও ওলি পোপের ক্যাচ ফেলেন যশস্বী জয়সওয়াল। আর সেই পোপই দিনের শেষে শতরান করে নট আউট রইলেন। জো রুটকে ২৮ রানে ফেরান বুমরাহ। দিনের একেবারে শেষ ওভারে বুমরাহর বলে পুল করতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন হ্যারি ব্রুক। তবে দেখা যায় সেটি ছিল একটি নো বল। তাই দ্বিতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ২০৯। তবে বলাই যায় খারাপ ফিল্ডিংয়ের কারণেই দ্বিতীয় দিনের শেষে কিছুটা হলেও চাপে ভারত।