Connect with us

পক্ষপাতিত্বের পাল্টা জবাব গম্ভীরের, বিস্তারিত জানতে পড়ুন

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যাত্রাটা দারুনভাবে শুরু করেছিল ভারত। বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনাল এর জায়গাও পাকা করে ফেলেছিল রোহিত ব্রিগেড। তারপর নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপ স্টেজের সবকটি ম্যাচে জয়ী হয়েছে তারা। সেমিফাইনালে মুখোমুখি হতে হয় অস্ট্রেলিয়ার। লড়াই কঠিন হলেও মঙ্গলবার দুবাইতে অস্ট্রেলিয়াকেও পরাজিত করে ফাইনালে পৌঁছান রোহিত শর্মারা। অর্থাৎ চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোন ম্যাচই হারেনি ভারত। ব্যাটে বলে ঝলসে উঠেছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। তবে ভারতের এই জয়ের নেপথ্যে আইসিসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছিলেন একাধিক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ। পাকিস্তানে দীর্ঘ আট বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজিত হওয়া সত্বেও ভারত সেই দেশে গিয়ে খেলতে রাজি হয়নি। আর তাই হাইব্রিড মডেলের অনুসরণ করে দুবাইতে রাখা হয়েছিল ভারতের ম্যাচগুলি। কিন্তু যেখানে অন্যান্য দলগুলিকে এক শহর থেকে অন্য শহর ছুটে বেড়াতে হচ্ছে, বারবার একাধিক ক্ষেত্রে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হচ্ছে, সেখানেই ভারতীয় ক্রিকেটাররা একটিমাত্র জায়গায় খেলতে পেরে বিশেষ সুযোগ পাচ্ছেন বলে দাবি করেছিলেন অনেকেই। অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের সাথে একই সুরে গেয়ে উঠেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান অধিনায়ক এবং এই মরসুমে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে সরে দাঁড়ানো প্যাট কামিন্সও। তবে এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত মুখ খুলতে দেখা যায়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বা দলের কোন সদস্যকে। যদিও এইবার সরাসরি ক্ষোভে ফেটে পড়লেন ভারতের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর।

মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছানোর পরে সাংবাদিক সম্মেলনে রীতিমতো সমালোচকদের একহাত নিলেন গম্ভীর। যদিও এই খবর চাপা থাকেনি কিন্তু সাংবাদিক সম্মেলনে সরাসরি পক্ষপাতিত্বের প্রশ্ন উঠে আসেনি। কিন্তু পাকিস্তানের পিছে খেললেও এই একই একাদশকে বেছে নেওয়া হতো কি না সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল গম্ভীরকে। ইঙ্গিতটা বুঝতে মোটেই অসুবিধে হয়নি ভারতীয় কোচের। আর তারপরেই স্পষ্ট পাল্টা জবাবও দেন তিনি। “প্রথমত বাকি দলগুলি যেরকম নিরপেক্ষ পিচে খেলছে আমাদের ক্ষেত্রেও দুবাই সেরকম। আমার মনে পড়ছে না এই স্টেডিয়ামে আমরা শেষ কবে কোন ম্যাচ খেলেছি। আর আপনাদের জানিয়ে রাখি আমাদের এরকম কোন প্ল্যান ছিল না। সাবকন্টিনেন্টে খেলার দরুন আমরা প্রথম থেকেই চেয়েছিলাম ১৫ সদস্যের দলে অন্তত চারজন স্পিনার খেলাতে। আর আমার কানে এসেছে ভারতকে বিশেষ সুযোগ সুবিধে দেওয়ার কথা। সত্যি করে বলবেন এখানে কি সুবিধা পেয়েছি আমরা? এই পিচে আমরা প্র্যাকটিস করিনি। আমরা প্র্যাকটিস করেছি আইসিসি অ্যাকাডেমিতে। এই দুটো জায়গার উইকেটের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক। আসলে কিছু মানুষের নাকে কান্না স্বভাব আছে। আমার মনে হয় এদের বড় হওয়া উচিত। আবারো বলছি না আমাদের সাথে কোন রকম পক্ষপাতিত্ব হয়েছে আর না আমরা আগে থেকে এরকম কিছু পরিকল্পনা করেছিলাম” বিরক্তির সুরে বলেন গম্ভীর।

প্রসঙ্গত বুধবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ভারত। নিউজিল্যান্ডের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার লড়াইয়ে যে জিতবে তার সাথেই দুবাইতে ফাইনালি মুখোমুখি হবেন রোহিত শর্মারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য খেলা