ইস্টবেঙ্গল
AFC CHALLENGE LEAGUE: প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জিততে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল, চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে প্রস্তুত পারো এফসি
সৌরভ মুখার্জী ও শুভম মন্ডল, থিম্পু: আগামী শনিবার, এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের প্রথম ম্যাচে, ভুটানের চাংলিমিথাঙ্গ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে পারো এফসি এবং ইস্টবেঙ্গল এফসি। সেই ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার আগে শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন সারলেন পারো এফসি দলের হেড কোচ পুষ্পলাল শর্মা এবং ইস্টবেঙ্গলের সহকারি কোচ বিনো জর্জ। যদিও আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেননা অস্কার ব্রুজোন।
ইস্টবেঙ্গল সহকারী কোচ সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন দলের প্রতিভাবান ফুটবলার নওরেম মহেশ সিংহের সঙ্গে। ভুটানের পরিস্থিতি ভারতের থেকে একদমই আলাদা। নকল ঘাসের মাঠ, বেশি উচ্চতায় খেলা এসব কিছু রয়েইছে। সেসবের মাঝে পারো এফসি ভুটানের লিগ জয়ী দল। সেই বিষয়ে বিনো জর্জ বলেন, “আমরা প্রথমবারের জন্য এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ খেলতে এসেছি এবং আমরা খুবই আশাবাদী। এই চ্যালেঞ্জ লিগে আমরা নকল ঘাসের মাঠে খেলব। এরম মাঠে আমরা খেলে অভ্যস্ত নই। তার পাশাপাশি বেশি উচ্চতায় ফুটবল খেলাটাও একটা কঠিন কাজ। তবে পারো এফসি এই পরিস্থিতিতে খেলে অভ্যস্ত। এটা আমাদের কাছে একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে। তবে আমরাও সেভাবেই নিজেদের তৈরি করেছি এবং পরিকল্পনা সাজিয়েছি। আমরা সেসব নিয়ে বেশি চিন্তিত নই। আমাদের দলে যথেষ্ট ভাল ফুটবলাররা রয়েছেন এবং আমাদের কোচ তাদের উপর ভরসা রেখেছেন। আমরা বিশ্বাসী আমরা ভাল ফল করতে পারব”। এছাড়া বেশ কয়েকদিন ধরে চোটের আওতায় ছিলেন নাওরেম মহেশ সিংহ। বেশ কয়েকটি ম্যাচ চোটের কারণে খেলতে পারেননি তিনি। অবশ্য দলের সঙ্গে ভুটান উড়ে গেছেন তিনি। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, “আমার কাছে এটা অনেক বড় মঞ্চ। এছাড়াও আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জটাও অনেক বড়। কারণ আমরা নকল ঘাস এবং বেশি উচ্চতায় ফুটবলটা খেলব। এছাড়াও আমাদের নতুন কোচ। সেই কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা মানিয়ে নিতে শুরু করেছি। আমাদের দলের অনেকেই এই পরিস্থিতিতে এর আগে খেলেননি। তবে আমি যেই একাডেমী থেকে উঠে এসেছি, সেখানের পরিস্থিতিও এরমই ছিল। তবে এই প্রতিযোগিতাটা আমাদের জন্য কঠিন হবে। কারণ বাকি দল গুলোও তাদের নিজস্ব লিগে ভাল ফল করে আসছে। তবে আমরাও ভাল ফুটবল টা খেলব”।
এরপর পারো এফসির সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হন তাদের হেড কোচ পুষ্পলাল শর্মা এবং ফুটবলার কাজোউ হুমা। কোচ বলেন, “প্রত্যেকবার আমাদের সাংবাদিক সম্মেলনে পরে ঢাকা হয় এবং আমাদের “আন্ডারডগ” ভাবা হয়। তবে আমরা তা নই। আমরা এই প্রতিযোগিতার জন্য খুব ভাল প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের ফুটবলাররা সকলেই ফিট রয়েছেন এবং আমরা লড়াই দিতে প্রস্তুত। মাত্র ৮ বছরের ক্লাব হলেও আমরা এখানের লোকাল লিগের পাশাপাশি ৭ বার বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ভুটানের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছি। তাছাড়া ইস্টবেঙ্গল আমাদের এই পরিবেশে খেলতে এসেছে। তারা এর সঙ্গে অভ্যস্ত নয়। এছাড়া পারো এফসি দলের হেড কোচ হিসেবে আমি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। তাই এটাও আমায় একটা বাড়তি তাগিদ দেবে। এছাড়াও কালকের ম্যাচের দিকে আমাদের ফোকাস রয়েছে। আমি জানি কিছু ম্যাচ ধরে ইস্টবেঙ্গল ভাল ফল করতে পারছে না। তাদের কোচ পরিবর্তন হয়েছে। তবে ইস্টবেঙ্গল অনেক বড় ক্লাব। তাই তাদেরকে আমরা সম্মান করি। লিগের ম্যাচের থেকে এএফসি কাপের ম্যাচে বাড়তি সুবিধে রয়েছে। লিগে ৪ জনের বেশি বিদেশী খেলানো না গেলেও এএফসিতে বিদেশি খেলানোর কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। এই প্রতিযোগিতা পুরোটাই অন্যরকম। এখানে ফুটবলারদের তাদের নিজস্ব দায়িত্ব বুঝে ফুটবল খেলতে হবে”।
অপরদিকে দলের সঙ্গে ভুটান গেলেও, আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হননি ইস্টবেঙ্গল হেড কোচ অস্কার ব্রুজোন। সেই ব্যাপারে খবর নিয়ে জানা গেল কোচ হিসেবে অস্কারের নাম রেজিস্ট্রেশন করার জন্য এআইএফএফের কাছে আরইসিসির জন্য আবেদন করেছিল ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। এটা না করা থাকলে কোচ হিসেবে নাম নথিভুক্ত হবেনা তাঁর। তবে এএফসির কাছে এখনও ইস্টবেঙ্গল হেড কোচ হিসেবে নাম নথিভুক্ত হয়নি অস্কার ব্রোজোর। আগে থেকে আবেদন করা থাকলেও সেই বিষয়ে এআইএফএফ এখনও কোনও সম্মতি না দেওয়ার ফলেই আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারেননি তিনি। তবে ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট আশাবাদী যে আগামীকালের মধ্যে আইএফএফ সম্মতি দিয়ে দেবে এবং হেডকোচার ভূমিকায় ডাগআউটে বসতে পারবেন অস্কার। তবে যদি সম্মতি না আসে তাহলে ডাগআউটে থাকলেও, সহকারী কোচ হিসেবে দলের দায়িত্ব সামলাতে হবে বিনো জর্জকে।
ইস্টবেঙ্গল
AFC CHALLENGE LEAGUE: নেজমেহকে হরান ছাড়া আর কোনও সমীকরণ দেখছেন না অস্কার ব্রোজো
সৌরভ মুখার্জী ও শুভম মন্ডল, থিম্পু: নেজমেহর বিরুদ্ধে এই প্রতিযোগিতার সবথেকে কঠিন ম্যাচটি খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। যদিও বসুন্ধরার বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে দাপুটে জয়ের ফলে মনোবল বেড়েছে লাল-হলুদ ফুটবলারদের। তবে নেজমেহর বিরুদ্ধে জয়ের দিকেই পাখির চোখ করেছেন অস্কার ব্রুজো। বৃহস্পতিবার ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হলেন তিনি এবং দলের অধিনায়ক সাউল ক্রেসপো।
আগামীকালের ম্যাচ নিয়ে অস্কার ব্রোজোকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “অবশ্যই একটা কঠিন ম্যাচ হতে চলেছে। তবে এখানে কোনও সমীকরণের জায়গা নেই। দুই দলের কাছেই এই ম্যাচটা একটা আলাদা মাত্রা নেবে। কারণ এই ম্যাচটা যেই দলই জিতবে সেই গ্রুপের প্রথম দল হিসেবে পরের রাউন্ডে যাবে। তাই আমরাও এই ম্যাচটা জেতার জন্যই মাঠে নামব”। তিনি আরও বলেন, “আমরা কোনও প্রেসার নিচ্ছিনা। এটা আমাদের কাজ। তাই সেরকমভাবেই আমরা নিজেদের প্রস্তুতি সারছি এবং দিনের পর দিন আরও উন্নতি করছি”।
বসুন্ধরা ম্যাচে চোট পেয়েছেন দলের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার হেক্টর ইউস্তে। তার বিষিয়ে জানতে চাওয়া হলে অস্কার বলেন, “তার খেলার সম্ভবনা ৫০-৫০। আগামীকাল তার রিপোর্ট দেখে তবেই মেডিকেল টিম সিদ্ধান্ত নেবে তাকে ম্যাচে খেলতে নামান যাবে কিনা, নয়ত প্ল্যান ‘বি’ ভাবা হবে”। এছাড়া গত ম্যাচে গোটা ম্যাচেই ভাল ফুটবল খেলেছিলেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। সেই বিষয়ে অস্কার বলেছেন, “গত ম্যাচে গোটা দল খুব ভাল ফুটবল খেলেছে বিশেষত প্রথমার্ধে। ফুটবলারদের আমরা বলেছি শুধু ৪৫ মিনিট ভাল ফুটবল খেললে হবেনা, গোটা ম্যাচ ভাল খেলতে হবে। ফুটবলাররাও সেটা বুঝতে পারছে এবং তারাও যথেষ্ট তাগিদ নিয়ে খেলার চেষ্টা করছে”।
সমর্থকদের নিয়েও কথা বললেন অস্কার ব্রুজো। তিন বলেন, “সমর্থকরাই এই দলের আসল চালিকাশক্তি। তাঁরা সব সময় যেকোনও পরিস্থিতিতে দলের পাশে থাকেন। তাছাড়া প্রচুর সমর্থক ভুটানে এসেও আমাদের সমর্থন করেছেন। এবারে আমাদেরও সময় এসেছে তাদের মুখে হাসি ফোটানোর। তাই আমরা চাইছি ভাল ফুটবল খেলে আগামীকাল ম্যাচ জিতে পরের রাউন্ডে কোয়ালিফাই করতে”।
এছাড়া সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত থাকা দলের অধিনায়ক সাউল ক্রেসপোকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আমরা নিজেদের আরও উন্নতি করার চেষ্টা করেছি এবং আমাদের কাছে এই প্রতিযোগিতায় ভাল ফল করাটাই মূল লক্ষ্য”। এছাড়াও বসুন্ধরা ম্যাচে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল হেক্টর ইউসস্তেকে। ফলে দলের রক্ষণ কি হবে সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সাউল জানান, “আমাদের দলে অনেক ফুটবলার রয়েছেন যারা সেই রক্ষণ, মাঝমাঠের জায়গাটায় খেলতে পারেন। তাই আসা করছি সেইটা নিয়ে খুব বেশি সমস্যা হবেনা”।
ইস্টবেঙ্গল
AFC CHALLENGE LEAGUE: নেজমেকে হারাতে নিজেকে উজাড় করে দেবেন নন্দ…
সৌরভ মুখার্জী ও শুভম মন্ডল, থিম্পু: ইতিমধ্যেই হারের খরা কাটিয়ে, জয়ের সরণিতে ফিরেছে ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা কিংসকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে, এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার আশা জিইয়ে রেখেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেখানে গোল পেয়েছেন তারকা উইঙ্গার নন্দকুমার সেকারও। ম্যাচের পর বুধবার সকালে রে স্পোর্টজকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নন্দকুমার। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তার সমস্ত বক্তব্য:
প্রশ্ন: প্রথম ম্যাচে ভাল ছন্দে না থাকলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে বাম প্রান্ত থেকে যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলে দলকে জিতিয়েছেন। এর পিছনের রহস্য কী?
নন্দকুমার: আমরা যথেষ্ট ভাল দল। আমাদের কোচ এবং কোচিং স্টাফেরা আমাদের সব সময় ভাল খেলার জন্য উজ্জীবিত করেন। আমরা গত তিনটে ম্যাচেই ভাল ফুটবল খেলেছি এবং আশা করছি এমনভাবেই ভাল খেলব আগামীতেও এবং পরের ম্যাচ থেকেও তিন পয়েন্ট তুলে আনতে পারব।
প্রশ্ন: নতুন কোচের তত্ত্বাবধানে কি আপনি নিজের ফর্ম ফিরে পাচ্ছেন?
নন্দকুমার: অবশ্যই ফিরে পাচ্ছি। তিনি আমায় সেই স্বাধীনতাটা দিচ্ছেন খেলার এবং আমি সেটাকে কাজে লাগাচ্ছি।
প্রশ্ন: বসুন্ধরার বিরুদ্ধে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে জয় পেলেন। এই জয়টা কি শক্তিশালী নেজমেহর বিরুদ্ধে ম্যাচে বাড়তি সুবিধে দেবে?
নন্দকুমার: অবশ্যই। এছাড়াও ৪-০ গোলে জয়ের পাশাপাশি মরশুমের প্রথম ক্লিনশিটও পেয়েছি আমরা। দলের বাকি ফুটবলাররাও তৈরি রয়েছে নেজমে ম্যাচে ভাল ফুটবল খেলার জন্য।
প্রশ্ন: সমর্থকদের জন্য কী বার্তা দিতে চান?
নন্দকুমার: অবশ্যই সমর্থকরা মাঠে আসুন। আমাদের সমর্থন করুন। পরের ম্যাচটা আমরা জিতলে চ্যালেঞ্জ লিগের পরের রাউন্ডে যোগ্যতা অর্জন করব। তাই সমর্থকেরা আসুন এবং আমাদের সমর্থন করুন।
প্রশ্ন: অনেক সমর্থকেরা ভুটান থেকে ফিরে গেছেন। শেষ ম্যাচে মাঠে সমর্থকেরা অনেক কম ছিল। তাদেরকে কি মিস করছেন?
নন্দকুমার: সমর্থকেরা শেষ ম্যাচটা মিস করেছেন। তাছাড়া শুধু খারাপ সময়তেই নয় আমরা চাই আপনারা আমাদের ভাল সময়তেও আমাদের পাশে থাকুন। আমরা নিজের ২০০% দেওয়ার চেষ্টা করব এবং পরের ম্যাচে ভাল ফল করে আপনাদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করব।
ইস্টবেঙ্গল
AFC CHALLENGE LEAGUE: মশাল জ্বলল ভুটানে, বসুন্ধরাকে নিয়ে ছেলেখেলা করে জিতল ইস্টবেঙ্গল…
সৌরভ মুখার্জী ও শুভম মন্ডল, থিম্পু: এর আগে টানা আট ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি ইস্টবেঙ্গল। ইতিমধ্যে আইএসএলের “লাস্ট বয়” তাঁরা। ফলে মানসিক দিক থেকেও অনেকটাই পিছিয়ে ছিলেন ফুটবলাররা। অবশেষে নবম ম্যাচে এসে সেই যন্ত্রণার অবসান ঘটল। বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন দল বসুন্ধরা কিংসকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে, এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে বহু কাঙ্খিত জয় তুলে নিলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। গোল করলেন দিমিত্রিয়স দিমানতাকোস, সৌভিক চক্রবর্তী, নন্দকুমার সেকর এবং আনোয়ার আলি।
ম্যাচের একেবারে শুরুতেই, ৩৩ সেকেন্ডে নন্দর ক্রস থেকে দিমানতাকোসের শটে প্রথম গোল তুলে নেয় ইস্টবেঙ্গল। ২০ মিনিট পরে সৌভিক চক্রবর্তীর বক্সের বাইরে থেকে জোড়ালো শট জালে জড়িয়ে দিয়ে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। দুই গোলে এগিয়ে এগিয়ে থেকেও আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। বামপ্রান্ত থেকে নন্দকুমার বক্সের ভেতরে ঢুকে অনবদ্য গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে দুর থেকে শট নিয়ে দলের চতুর্থ গোলটি করেন আনোয়ার আলি। ফলে প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকে সাজঘরে ফেরে অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দলে একটি পরিবর্তন আনেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। দিমানতাকোসের জায়গায় তিনি মাঠে নামান ক্লেইটন সিলভাকে। অপরদিকে বসুন্ধরা কোচও মাঠে নামান তাদের মাঝমাঠের ফুটবলার মিগুয়েলকে। তারপর যথেষ্ট গোলমুখি আক্রমণ চালায় বসুন্ধরা। তবে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ তা সামাল দিতে সক্ষম হয়। মাঝে মধ্যে ইস্টবেঙ্গলও আক্রমণে উঠতে থাকে ব্যবধান বাড়ানোর জন্য। একটি গোলের সহজ সুযোগ মাঠে নেমেই হাতছাড়া করেন ক্লেইটন। এছাড়াও অনেক সুযোগ নষ্ট করায় ব্যবধান আর বাড়েনি। এই ম্যাচে জয় পেয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। পরবর্তী ম্যাচে তাঁরা মুখোমুখি হবে শক্তিশালী নেজমেহ এসসির বিরুদ্ধে এবং সেই ম্যাচেই বোঝা যাবে কোন দলটি যাবে পরবর্তী রাউন্ডের জন্য। অপরদিকে দুই ম্যাচ হেরে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেল বসুন্ধরা কিংস।
-
আইএসএল11 months ago
বড় ধাক্কা কেরালা ব্লাস্টার্সের
-
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট1 year ago
ICC CWC 2023: বিশ্বকাপে যুগ্ম দ্রুততম ১০০০ রোহিতের, ভাঙলেন ছয়ের রেকর্ড…
-
ফুটবল1 year ago
এএফসি কাপ আয়োজনের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে
-
ফুটবল11 months ago
এশিয়ান কাপের সম্ভাব্য দল ঘোষণা করল ভারত
-
ফুটবল1 year ago
কলকাতায় প্রাক মরশুম প্রস্তুতি শুরু করল ইন্টার কাশি
-
ইস্টবেঙ্গল1 year ago
দলে আমূল পরিবর্তন, তবুও সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচেই হার ইস্টবেঙ্গলের
-
ফুটবল12 months ago
ঘরের মাঠে অসহায় আত্মসমর্পণ, এএফসি কাপে স্বপ্নভঙ্গ মোহনবাগানের
-
ফুটবল1 year ago
ফিফা বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে ভারতের প্রথম দুটি হোম ম্যাচে আয়োজনের দায়িত্ব পেল ভুবনেশ্বর এবং গুয়াহাটি