Connect with us

ইস্টবেঙ্গল

তিন বছরের চুক্তিতে ইস্টবেঙ্গলে ডেভিড

Published

on

নিজস্ব প্রতিবেদন; কলকাতা, ১৮ জুন – গত মরশুমে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অন্যতম সেরা ভারতীয় ফরোয়ার্ড ডেভিড লালহানসাঙ্গাকে তিন বছরের চুক্তিতে সই করাল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছিল ডেভিড লাল-হলুদে আসবেন। অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে তাঁর নাম ঘোষণা করা হল। প্রসঙ্গত শেষ কলকাতা লিগ এবং ডুরান্ড কাপে সাদা-কালো ব্রিগেডের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন ডেভিড।

লাল-হলুদে সই করার পরে ডেভিড বলছেন,”ইস্টবেঙ্গল একটি বিশাল বড় ক্লাব, যার লক্ষ-লক্ষ সমর্থক গোটা ভারত জুড়ে রয়েছে। আর আমি ফুটবল পাগল সমর্থকদের সামনে খেলতে ভালোবাসি। আমি ইতিমধ্যেই ভারতীয় দলের ক্যাম্পে মহেশ, নন্দ, লালচুংনুঙ্গাদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। ওরা আমায় সব সময় সাহায্য করেছে এবং ভালো খেলতে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি ক্লাবের হয়ে নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে চাই। জয় ইস্টবেঙ্গল।”

অন্যদিকে লাল-হলুদ হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত এই সই নিয়ে বলছেন,”আমরা অনেকদিন ধরেই ডেভিডকে সই করানোর চেষ্টা করছিলাম। ডুরান্ড এবং কলকাতা লিগে ওর খেলা আমাদের সকলের নজর কেড়েছে। সেই সময়ই আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে ডেভিডকে দলে নিতেই হবে। এমন একজন ফুটবলার দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় আমরা সকলেই খুবই খুশি।”

আইএসএল

ISL 2024/25: ৪০০তম কলকাতা ডার্বির রং সবুজ-মেরুন। পরপর পাঁচ ম্যাচে হেরে লজ্জার রেকর্ড ইস্টবেঙ্গলের…

Published

on

নিজস্ব প্রতিনিধি: শনিবার মরসুমের প্রথম কলকাতা ডার্বিতে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। ইতিমধ্যেই ডুরান্ড কাপে বাতিল হয়েছিল বড় ম্যাচ। কিন্তু আইএসএলের বড় ম্যাচেই বাজিমাত সবুজ-মেরুনের। এছাড়াও এটি ছিল ইস্ট-মোহনের ৪০০তম সাক্ষাৎলার। দুই অজি ফুটবলার জেমি ম্যাকলারেন এবং দিমিত্রি পেত্রাতোসের করা গোলে ইস্টবেঙ্গলকে ২-০’তে হারিয়ে কলকাতা ডার্বির রং সবুজ-মেরুন। এর পাশাপাশিই প্রথমবারের জন্য আইএসএলের প্রথম পাঁচ ম্যাচে হারের মুখ দেখল লাল-হলুদ বাহিনী।

এদিন ম্যাচ শুরুর তিন মিনিটের মাথায় প্রথম আক্রমণ তুলে এনেছিল মোহনবাগান। তার পরেই কর্নার পায় সবুজ-মেরুন। তবে সেখান থেকে কাজের কাজ হয়নি কিছুই। এরপর মুহুর্মুহু আক্রমণ তুলতে থাকে বাগান ফুটবলাররা। অনেক ছোট ছোট পাস খেলে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছিল বাগান ফুটবলাররা। তবে খেলার গতির বিপরীতে গিয়ে ইস্টবেঙ্গলও গোলের সুযোগ তৈরি করছিল। আসতে আসতে ইস্টবেঙ্গলও বল ধরে খেলার চেষ্টা চালাচ্ছিল। অপরদিকে ম্যাচের ১৫ মিনিটে বক্সের ভেতরে একটি শট নেন জেমি ম্যাকলারেন। বাঁ প্রান্ত বরাবর বারংবার আক্রমণ তুলে আনছিল লিস্টন কোলাসো। ম্যাচের ১৮ মিনিটে গোল পেয়ে গিয়েছিলেন মানবীর সিং। তবে অফসাইডের কারণে বাতিল করা হয় সেটি। অপরদিকে তালালের একক দক্ষতায় ইস্টবেঙ্গল প্রথম কর্নার পেলেও সেটির ফায়দা তুলতে পারেননি তারা। ম্যাচের ২৬ মিনিটে প্রায় গোল পেয়ে গেছিলেন মাদিহ তালাল। তবে অল্পের লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় তাঁর শট। ম্যাচের ৩০ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর দারুন শট রুখে দেন লাল-হলুদ গোলরক্ষক প্রভসুখান গিল। জলপানের বিরতির পরেই আরেকটি ফ্রিকিক পায় ইস্টবেঙ্গল তবে সেখান থেকেও কিছু আশানুরূপ ফল করতে পারেননি ফুটবলাররা। অবশেষে ম্যাচের ৪১ মিনিটে গোল করে যান মোহনবাগানের অজি তারকা জেমি ম্যাকলারেন। ডানপ্রান্ত থেকে মানবীরের ডিফেন্স চের পাসকে জালে জড়িয়ে দেন তিনি। ফলে প্রথমার্ধের শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ইস্টবেঙ্গল দলে পরিবর্তন করেন হেড কোচ ব্রুজো। ডেভিডকে তুলে পিভি বিষ্ণুকে মাঠে নামান লাল-হলুদ হেড স্যার। অপরদিকে প্রথমার্ধ যেখানে শেষ করেছিল মোহনবাগান, দ্বিতীয়ার্ধেও সেই খেলা বজায় রাখে বাগান ফুটবলাররা। বামপ্রান্ত বরাবর বারংবার ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন লিস্টন। অপরদিকে ম্যাচের ৫৬ মিনিটে ফাউল করে বসেন সবুজ-মেরুনের রক্ষণের ফুটবলার আলবার্তো রদ্রিগেজ। ফলে হলুদ কার্ড দেখতে হয় তাঁকে। ৫৯ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের পাওয়া কর্নার থেকে প্রতি আক্রমণে উঠে আসে মোহনবাগান। সেখান থেকে লিস্টনের গোলমুখি শট রুখে দেন ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক গিল। এদিনের ম্যাচে একদমই নিজের চেনা ছন্দে খেলতে পারছিলেন না লাল-হলুদ অধিনায়ক ক্লেইটন সিলভা। ফলে ম্যাচের ৬৪ মিনিটে, তাঁর পরিবর্তে মাঠে নামেন গতবার আইএসএলের গোল্ডেন বুট বিজয়ী দিমিত্রিয়স দিমানতাকোস। অন্যদিকে ৭০ মিনিটের পরে মাঠে নামেন বাগান জনতার নয়নের মণি দিমিত্রি পেত্রাতোস। মাঠের বাইরে চলে যান প্রথমে মোহনবাগানকে গোল করে এগিয়ে দেওয়া জেমি ম্যাকলারেন। অপরদিকে পরিবর্তন আনে ইস্টবেঙ্গলও। নন্দকুমার এবং রাকিপের জায়গায় মাঠে আসেন নুঙ্গা এবং জেসিন টিকে। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে গ্রেগ স্টুয়ার্টের একটি অনবদ্য শট একটুর জন্য বার ঘেষে চলে যায়। তবে ম্যাচের শেষের দশ মিনিটে জলে উঠতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। তবে তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয় নি। উল্টে ৮৭ মিনিটে বক্সের ভিতরে দিমি পেত্রাতোসকে ফাউল করে বসেন গোলরক্ষক প্রভসুখন গিল। এর ফলে পেনাল্টি পেয়ে যায় মোহনবাগান। সেই পেনাল্টি থেকে জোড়ালো শটে বল জালে জড়িয়ে ব্যবধান বাড়ান পেত্রাতোস। গোলের পরে দেখা যায় তাকে সমর্থকদের দিকে উদ্দেশ্য করে তাঁর সেই চেনা সেলিব্রেশন করতে। অবশেষে ২-০ গোলে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে, লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল হোসে মোলিনার দল।

Continue Reading

আইএসএল

ISL 2024/25: ডার্বিকেই ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচ হিসেবে দেখছেন বিনো জর্জ

Published

on

নিজস্ব প্রতিনিধি: এর আগে বাতিল করা হয়েছিল ডুরান্ড কাপের ডার্বি। ফলে এই মরশুমে প্রথমবারের জন্য মুখোমুখি হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। আগামীকাল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডার্বি ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার আগে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এলেন ইস্টবেঙ্গল দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ বিনো জর্জ এবং অধিনায়ক সাউল ক্রেসপো।

আইএসএলে ইতিমধ্যেই কলকাতা ডার্বির পারদ চড়ছে। মরসুমের প্রথম বড় ম্যাচ নিয়ে ইস্ট-মোহন সমর্থকেদের উত্তেজনা তুঙ্গে। যদিও আইএসএলের পয়েন্ট টেবিলে নজর রাখলে দেখা যাবে, একদম তলানিতে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। আর চার নম্বর স্থানে রয়েছে মোহনবাগান। ইতিমধ্যেই কার্লেস কুয়াদ্রাত জামানা শেষ হয়েছে লাল-হলুদে। এখন দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন কোচ বিনো জর্জ। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতা লিগের ডার্বি নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “কলকাতা লিগে আমার কোচিংয়ে মোহনবাগানকে হারিয়েছি। তবে আইএসএল এবং কলকাতা লিগের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। তবে ডার্বি জিতে তিন পয়েন্ট পেতে আমরাও মুখিয়ে রয়েছি”। অপরদিকে ইস্টবেঙ্গলের নবনিযুক্ত কোচের ব্যাপারে বিনোকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “প্রতিদিন কোচের সঙ্গে দলের ব্যাপারে আলোচনা হয়। সেই মত করেই অনুশীলনও হয়েছে। তিনি নিজেও মুখিয়ে রয়েছেন দলের সঙ্গে যুক্ত হতে। আমরাও তৈরি জিততে। এবারে দেখা যাক আগামীকাল মাঠে কী হয়”।

এছাড়া বিনো জর্জের তত্ত্বাবধানে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই প্রসঙ্গে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “শেষ ম্যাচে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে আমরা যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলেছি। অনেক আক্রমণের পরেও গোল আসেনি। এটাই ফুটবল। আমরা যদি গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারতাম, তাহলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হত”।

অপরদিকে ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক সউল ক্রেসপোকে ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এই মরশুম আইএসএলে আমাদের প্রথম তিন পয়েন্ট প্রয়োজন। তাই এই ম্যাচে পুরো ফোকাস করছি”। অপরদিকে মোহনবাগান দল নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “আমরা নিজেদের খেলায় ফোকাস করছি। ওদের আক্রমণভাগ সম্পর্কে আমরা জানি। তবে আমাদের দলে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা সকলেই মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলেছে। তাই আমরা ভালো ফুটবল খেলতে পারলে অবশ্যই তিন পয়েন্ট অর্জন করতে পারব”। এবারের আইএসএলে পয়েন্ট তালিকায় সবার শেষে থাকলেও ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া লাল-হলুদ ব্রিগেড। এবারে দেখার শনিবারের কলকাতা ডার্বি জিতে জয়ের সরণিতে ফিরতে পারে কিনা ইস্টবেঙ্গল।

Continue Reading

আইএসএল

ISL 2024/25: প্লেঅফ খেলা নিয়ে এখনও আশাবাদী বিনো জর্জ

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: ইতিমধ্যেই আইএসএলে টানা চার ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গল দলকে। কার্লেস কুয়াদ্রাতের চলে যাওয়ার পর দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ বিনো জর্জ। তার তত্ত্বাবধানে শনিবার জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ভালো ফুটবল খেলেও ২-০ গোলে ম্যাচ হারতে হয় লালহলুদ ফুটবলারদের। তারই মাঝে খেলার শেষে ইতিবাচক বার্তা দিলেন ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান কোচ বিনো জর্জ।

দলের টানা চতুর্থ ম্যাচে হারের পরেও বিনো জর্জ বলছেন, “আমার দলের প্রতি আমার পূর্ণ ভরসা রয়েছে। এবং আমি আশাবাদী দল ঘুরে দাঁড়াবেই”। এমনিতেই অজস্র গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছে তার দল। সাউল ক্রেস্পো পেনাল্টি মিস করেন। অপরদিকে ক্লেইটন সিলভা এবং রক্ষণের খেলোয়াড় হেক্টর ইউস্তের শট বাড়ে লাগায়, সেই গোল থেকেও বঞ্চিত হয় তাঁরা। ম্যাচের শুরুতেই রেই তাচিকাওয়ার দূরপাল্লা শটে এবং দ্বিতীয়ার্ধে লালচাংনুংগার আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে তাঁর দল। তবে তিনি মনে করছেন সুযোগের সদ্ব্যবহার না করতে পারাতেই ম্যাচ থেকে হেরে ফিরতে হয় তাদেরকে।

তিনি বলেন, “জামশেদপুর ভালো ফুটবল খেলেছে। তবে তাঁরা তাদের সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে। ম্যাচে তারা যেই দুটো সুযোগ পেয়েছে সেই দুটো থেকেই গোল তুলে নিতে পেরেছে তাঁরা। তবে আমরা আজকে যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলেছি। বলের উপরে দখলও আমাদের অন্য ম্যাচের তুলনায় এই ম্যাচে বেশি ছিল। তবে হ্যাঁ, পয়েন্টটা দরকার যেটা আমরা পাইনি আজকের ম্যাচে”। অপরদিকে তিনি আরও বলেছেন, “ভাগ্যও একটা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। পেনাল্টি মিস করা, গোলের বল বাড়ে লাগা তার পাশাপাশি জামশেদপুর গোলরক্ষকও কিছু দারুন সেভ করেন। তবে আমরা যদি পেনাল্টি থেকে গোল করে দিতে পারতাম তাহলে আমরা ম্যাচে ফিরে আসতে পারতাম”।

তিনি আরও বলেন, “বাকি তিনটে ম্যাচের তুলনায় আমরা যথেষ্ট ভালো ফুটবল খেলেছি এবং আমি ১০০% আশাবাদী যে আমাদের দল এবারে প্রথম ছয়ে শেষ করবেই”। এছাড়াও কলকাতা লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতা জেসিন টিকে দলে থাকা সত্ত্বেও তাকে না খেলানো নিয়ে বিনো জর্জকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “জেসিনের এখন বয়স কম। আমাদের এটা বুঝতে হবে কলকাতা লীগ এবং আইএসএলের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। তাই ওকে আরও সময় দিতে হবে নিজেকে এই মঞ্চে খেলার উপযুক্ত করে তোলার জন্য। তাছাড়াও আমাদের দলে অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা রয়েছে যারা এই চাপের মুহূর্তে ম্যাচের রঙ পরিবর্তন করতে জানেন”।

Continue Reading

Trending